بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
قُلۡ اُوۡحِىَ اِلَىَّ اَنَّهُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الۡجِنِّ فَقَالُوۡۤا اِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡاٰنًاعَجَبًا ۙ﴿۱﴾
৭২-১ : বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, আল জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি,
يَّهۡدِىۡۤ اِلَى الرُّشۡدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ ؕ وَلَنۡ نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ﴿۲﴾
৭২-২ : ‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না,
وَّاَنَّهٗ تَعٰلٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ۙ﴿۳﴾
৭২-৩ : ‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা ; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান।
وَّ اَنَّهٗ كَانَ يَقُوۡلُ سَفِيۡهُنَا عَلَى اللّٰهِ شَطَطًا ۙ﴿۴﴾
৭২-৪ : ‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত।
وَّاَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنۡ لَّنۡ تَقُوۡلَ الۡاِنۡسُ وَالۡجِنُّ عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا ۙ﴿۵﴾
৭২-৫ : ‘অথচ আমরা মনে করিতাম মানুষ ও আল জিন আল্লাহ্ সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা আরোপ করিবে না।
وَّاَنَّهٗ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الۡاِنۡسِ يَعُوۡذُوۡنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الۡجِنِّ فَزَادُوۡهُمۡ رَهَقًا ۙ﴿۶﴾
৭২-৬ : ‘আরও এই যে, কতিপয় মানুষ কতক আল জিনের শরণ লইত, ফলে উহারা আল জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়াইয়া দিত।’
وَّاَنَّهُمۡ ظَنُّوۡا كَمَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ لَّنۡ يَّبۡعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ۙ﴿۷﴾
৭২-৭ : আরও এই যে, আল জিনেরা বলিয়াছিল, ‘তোমাদের মত মানুষও মনে করে যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ্ কাহাকেও পুনরুত্থিত করিবেন না।
وَّاَنَّا لَمَسۡنَا السَّمَآءَ فَوَجَدۡنٰهَا مُلِئَتۡ حَرَسًا شَدِيۡدًا وَّشُهُبًا ۙ﴿۸﴾
৭২-৮ : ‘এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ ;
وَّاَنَّا كُنَّا نَقۡعُدُ مِنۡهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمۡعِ ؕ فَمَنۡ يَّسۡتَمِعِ الۡاٰنَ يَجِدۡ لَهٗ شِهَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾
৭২-৯ : ‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্তু এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়।
وَّاَنَّا لَا نَدۡرِىۡۤ اَشَرٌّ اُرِيۡدَ بِمَنۡ فِى الۡاَرۡضِ اَمۡ اَرَادَ بِهِمۡ رَبُّهُمۡ رَشَدًا ۙ﴿۱۰﴾
৭২-১০ : ‘আমরা জানি না জগদ্বাসীর অমঙ্গলই অভিপ্রেত, না তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের মঙ্গল চান।
وَّاَنَّا مِنَّا الصّٰلِحُوۡنَ وَمِنَّا دُوۡنَ ذٰلِكَؕ كُنَّا طَرَآٮِٕقَ قِدَدًا ۙ﴿۱۱﴾
৭২-১১ : ‘এবং আমাদের কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক ইহার ব্যতিক্রম, আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী;
وَّاَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنۡ لَّنۡ نُّعۡجِزَ اللّٰهَ فِى الۡاَرۡضِ وَلَنۡ نُّعۡجِزَهٗ هَرَبًا ۙ﴿۱۲﴾
৭২-১২ : ‘এখন আমরা বুঝিয়াছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ্কে পরাভূত করিতে পারিব না এবং পলায়ন করিয়াও তাঁহাকে ব্যর্থ করিতে পারিব না।
وَّاَنَّا لَمَّا سَمِعۡنَا الۡهُدٰٓى اٰمَنَّا بِهٖ ؕ فَمَنۡ يُّؤۡمِنۡۢ بِرَبِّهٖ فَلَا يَخَافُ بَخۡسًا وَّلَا رَهَقًا ۙ﴿۱۳﴾
৭২-১৩ : ‘আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনিলাম তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিলাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তাহার কোন ক্ষতি ও কোন অন্যায়ের আশংকা থাকিবে না।
وَّاَنَّا مِنَّا الۡمُسۡلِمُوۡنَ وَمِنَّا الۡقٰسِطُوۡنَؕ فَمَنۡ اَسۡلَمَ فَاُولٰٓٮِٕكَ تَحَرَّوۡا رَشَدًا﴿۱۴﴾
৭২-১৪ : ‘আমাদের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী ; যাহারা আত্মসর্মপণ করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্যপথ বাছিয়া নেয়।
وَاَمَّا الۡقٰسِطُوۡنَ فَكَانُوۡا لِجَهَنَّمَ حَطَبًا ۙ﴿۱۵﴾
৭২-১৫ : ‘অপরপক্ষে সীমালংঘন - কারী তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।’
وَّاَنْ لَّوِ اسۡتَقَامُوۡا عَلَى الطَّرِيۡقَةِ لَاَسۡقَيۡنٰهُمۡ مَّآءً غَدَقًا ۙ﴿۱۶﴾
৭২-১৬ : উহারা যদি সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত থাকিত উহাদেরকে আমি প্রচুর বারি বর্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করিতাম,
لِّنَفۡتِنَهُمۡ فِيۡهِ ؕ وَمَنۡ يُّعۡرِضۡ عَنۡ ذِكۡرِ رَبِّهٖ يَسۡلُكۡهُ عَذَابًا صَعَدًا ۙ﴿۱۷﴾
৭২-১৭ : যদ্দ্বারা আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিতাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের স্মরণ হইতে বিমুখ হয় তিনি তাহাকে দুঃসহ শাস্তিতে প্রবেশ করাইবেন।
وَّاَنَّ الۡمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدۡعُوۡا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًا ۙ﴿۱۸﴾
৭২-১৮ : এবং এই যে মসজিদসমূহ আল্লাহ্রই জন্য। সুতরাং আল্লাহ্র সঙ্গে তোমরা অন্য কাহাকেও ডাকিও না।
وَّاَنَّهٗ لَمَّا قَامَ عَبۡدُ اللّٰهِ يَدۡعُوۡهُ كَادُوۡا يَكُوۡنُوۡنَ عَلَيۡهِ لِبَدًا ؕ﴿۱۹﴾
৭২-১৯ : আর এই যে, যখন আল্লাহ্র বান্দা তাঁহাকে ডাকিবার জন্য দণ্ডায়মান হইল তখন তাহারা তাহার নিকট ভিড় জমাইল।
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَدۡعُوۡا رَبِّىۡ وَلَاۤ اُشۡرِكُ بِهٖۤ اَحَدًا﴿۲۰﴾
৭২-২০ : বল, ‘আমি আমার প্রতিপালককেই ডাকি এবং তাঁহার সঙ্গে কাহাকেও শরীক করি না।’
قُلۡ اِنِّىۡ لَاۤ اَمۡلِكُ لَـكُمۡ ضَرًّا وَّلَا رَشَدًا﴿۲۱﴾
৭২-২১ : বল, ‘আমি তোমাদের ইষ্ট - অনিষ্টের মালিক নই।’
قُلۡ اِنِّىۡ لَنۡ يُّجِيۡرَنِىۡ مِنَ اللّٰهِ اَحَدٌ ۙ وَّلَنۡ اَجِدَ مِنۡ دُوۡنِهٖ مُلۡتَحَدًا ۙ﴿۲۲﴾
৭২-২২ : বল, আল্লাহ্র শাস্তি হইতে কেহই আমাকে রক্ষা করিতে পারিবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়ও পাইব না,
اِلَّا بَلٰغًا مِّنَ اللّٰهِ وَرِسٰلٰتِهٖ ؕ وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاِنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَاۤ اَبَدًا ؕ﴿۲۳﴾
৭২-২৩ : ‘কেবল আল্লাহ্র পক্ষ হইতে পৌঁছান এবং তাঁহার বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলকে অমান্য করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের অগ্নি, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে।
حَتّٰٓى اِذَا رَاَوۡا مَا يُوۡعَدُوۡنَ فَسَيَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ اَضۡعَفُ نَاصِرًا وَّاَقَلُّ عَدَدًا﴿۲۴﴾
৭২-২৪ : যখন উহারা প্রতিশ্রুতি শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, বুঝিতে পারিবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়া দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প।
قُلۡ اِنۡ اَدۡرِىۡۤ اَقَرِيۡبٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ اَمۡ يَجۡعَلُ لَهٗ رَبِّىۡۤ اَمَدًا﴿۲۵﴾
৭২-২৫ : বল, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা কি আসন্ন, না আমার প্রতিপালক ইহার জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করিবেন?’
عٰلِمُ الۡغَيۡبِ فَلَا يُظۡهِرُ عَلٰى غَيۡبِهٖۤ اَحَدًا ۙ﴿۲۶﴾
৭২-২৬ : তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁহার অদৃশ্যের জ্ঞান কাহারও নিকট প্রকাশ করেন না,
اِلَّا مَنِ ارۡتَضٰى مِنۡ رَّسُوۡلٍ فَاِنَّهٗ يَسۡلُكُ مِنۡۢ بَيۡنِ يَدَيۡهِ وَمِنۡ خَلۡفِهٖ رَصَدًا ۙ﴿۲۷﴾
৭২-২৭ : তাঁহার মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ্ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন,
لِّيَـعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ اَبۡلَغُوۡا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمۡ وَاَحَاطَ بِمَا لَدَيۡهِمۡ وَاَحۡصٰى كُلَّ شَىۡءٍ عَدَدًا﴿۲۸﴾
৭২-২৮ : রাসূলগণ তাহাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছেন কি না জানিবার জন্য। রাসূলগণের নিকট যাহা আছে তাহা তাঁহার জ্ঞানগোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন।