بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَۙ﴿۱﴾
২৩-১ : অবশ্যই সফলকাম হইয়াছে মু’মিনগণ,
الَّذِيۡنَ هُمۡ فِىۡ صَلَاتِهِمۡ خَاشِعُوۡنَ ۙ﴿۲﴾
২৩-২ : যাহারা বিনয় - নম্র নিজেদের সালাতে,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَۙ﴿۳﴾
২৩-৩ : যাহারা অসার ক্রিয়াকলাপ হইতে বিরত থাকে,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِلزَّكٰوةِ فَاعِلُوۡنَۙ ﴿۴﴾
২৩-৪ : যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِهِمۡ حٰفِظُوۡنَۙ﴿۵﴾
২৩-৫ : যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে,
اِلَّا عَلٰٓى اَزۡوَاجِهِمۡ اَوۡ مَا مَلَـكَتۡ اَيۡمَانُهُمۡ فَاِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُوۡمِيۡنَۚ﴿۶﴾
২৩-৬ : নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসিগণ ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না,
فَمَنِ ابۡتَغٰى وَرَآءَ ذٰ لِكَ فَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ ۚ﴿۷﴾
২৩-৭ : এবং কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِاَمٰنٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَاعُوۡنَ ۙ﴿۸﴾
২৩-৮ : এবং যাহারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ عَلٰى صَلَوٰتِهِمۡ يُحَافِظُوۡنَۘ﴿۹﴾
২৩-৯ : এবং যাহারা নিজেদের সালাতসমূহে যত্নবান থাকে,
اُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡوَارِثُوۡنَ ۙ﴿۱۰﴾
২৩-১০ : তাহারাই হইবে অধিকারী -
الَّذِيۡنَ يَرِثُوۡنَ الۡفِرۡدَوۡسَؕ هُمۡ فِيۡهَا خٰلِدُوۡنَ﴿۱۱﴾
২৩-১১ : অধিকারী হইবে ফিরদাওসের যাহাতে উহারা স্থায়ী হইবে।
وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَةٍ مِّنۡ طِيۡنٍ ۚ﴿۱۲﴾
২৩-১২ : আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি মৃত্তিকার উপাদান হইতে,
ثُمَّ جَعَلۡنٰهُ نُطۡفَةً فِىۡ قَرَارٍ مَّكِيۡنٍ﴿۱۳﴾
২৩-১৩ : অতঃপর আমি উহাকে শুক্রবিন্দুরূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে;
ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَةَ مُضۡغَةً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَةَ عِظٰمًا فَكَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰـرَكَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِيۡنَ ؕ﴿۱۴﴾
২৩-১৪ : পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি আল আলাক - এ, অতঃপর আল আলাক্কে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থি - পঞ্জরে ; অতঃপর অস্থি - পঞ্জরকে ঢাকিয়া দেই গোশ্ত দ্বারা; অবশেষে উহাকে গড়িয়া তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ কত মহান!
ثُمَّ اِنَّكُمۡ بَعۡدَ ذٰلِكَ لَمَيِّتُوۡنَؕ﴿۱۵﴾
২৩-১৫ : ইহার পর তোমরা অবশ্যই মরিবে,
ثُمَّ اِنَّكُمۡ يَوۡمَ الۡقِيٰمَةِ تُبۡعَثُوۡنَ﴿۱۶﴾
২৩-১৬ : অতঃপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমাদেরকে উত্থিত করা হইবে।
وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعَ طَرَآٮِٕقَ ۖ وَمَا كُنَّا عَنِ الۡخَـلۡقِ غٰفِلِيۡنَ﴿۱۷﴾
২৩-১৭ : আমি তো তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করিয়াছি সপ্তস্তর এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই,
وَاَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡكَنّٰهُ فِى الۡاَرۡضِۖ وَاِنَّا عَلٰى ذَهَابٍۢ بِهٖ لَقٰدِرُوۡنَ ۚ﴿۱۸﴾
২৩-১৮ : এবং আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম।
فَاَنۡشَاۡنَا لَـكُمۡ بِهٖ جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِيۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ ۘ لَـكُمۡ فِيۡهَا فَوَاكِهُ كَثِيۡرَةٌ وَّمِنۡهَا تَاۡكُلُوۡنَ ۙ﴿۱۹﴾
২৩-১৯ : অতঃপর আমি উহা দ্বারা তোমাদের জন্য খর্জুর ও আংগুরের বাগান সৃষ্টি করি; ইহাতে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল; আর উহা হইতে তোমরা আহার করিয়া থাক;
وَشَجَرَةً تَخۡرُجُ مِنۡ طُوۡرِ سَيۡنَآءَ تَنۡۢبُتُ بِالدُّهۡنِ وَصِبۡغٍ لِّلۡاٰكِلِيۡنَ﴿۲۰﴾
২৩-২০ : এবং সৃষ্টি করি এক বৃক্ষ যাহা জন্মায় সিনাই পর্বতে, ইহাতে উৎপন্ন হয় তৈল এবং আহারকারীদের জন্য ব্যঞ্জন।
وَ اِنَّ لَـكُمۡ فِى الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَةً ؕ نُسۡقِيۡكُمۡ مِّمَّا فِىۡ بُطُوۡنِهَا وَلَـكُمۡ فِيۡهَا مَنَافِعُ كَثِيۡرَةٌ وَّمِنۡهَا تَاۡكُلُوۡنَ ۙ﴿۲۱﴾
২৩-২১ : এবং তোমাদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয় বিষয় আছে আন‘আম - এ; তোমাদেরকে আমি পান করাই উহাদের উদরে যাহা আছে তাহা হইতে এবং উহাতে তোমাদের জন্য রহিয়াছে প্রচুর উপকারিতা; তোমরা উহা হইতে আহার কর,
وَعَلَيۡهَا وَعَلَى الۡـفُلۡكِ تُحۡمَلُوۡنَ﴿۲۲﴾
২৩-২২ : এবং তোমরা উহাতে ও নৌযানে আরোহণও করিয়া থাক।
وَلَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰى قَوۡمِهٖ فَقَالَ يٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَـكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَيۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ﴿۲۳﴾
২৩-২৩ : আমি তো সূরা নূহকে পাঠাইয়াছিলাম তাহার সম্প্রদায়ের নিকট। সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই, তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’
فَقَالَ الۡمَلَؤُا الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنۡ قَوۡمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُكُمۡ ۙ يُرِيۡدُ اَنۡ يَّـتَفَضَّلَ عَلَيۡكُمۡ ؕ وَلَوۡ شَآءَ اللّٰهُ لَاَنۡزَلَ مَلٰٓٮِٕكَةً ۖۚ مَّا سَمِعۡنَا بِهٰذَا فِىۡۤ اٰبَآٮِٕنَا الۡاَوَّلِيۡنَ ۚ﴿۲۴﴾
২৩-২৪ : তাহার সম্প্রদায়ের প্রধানরা, যাহারা কুফরী করিয়াছিল, তাহারা বলিল, ‘এ তো তোমাদের মত একজন মানুষই, তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিতে চাহিতেছে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে ফিরিশ্তাই পাঠাইতেন; আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষগণের কালে এইরূপ ঘটিয়াছে, একথা শুনি নাই।
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِهٖ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوۡا بِهٖ حَتّٰى حِيۡنٍ﴿۲۵﴾
২৩-২৫ : ‘এ তো এমন লোক যাহাকে উন্মত্ততা পাইয়া বসিয়াছে; সুতরাং তোমরা ইহার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।’
قَالَ رَبِّ انْصُرۡنِىۡ بِمَا كَذَّبُوۡنِ﴿۲۶﴾
২৩-২৬ : সূরা নূহ্ বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর, কারণ উহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলিতেছে।’
فَاَوۡحَيۡنَاۤ اِلَيۡهِ اَنِ اصۡنَعِ الۡفُلۡكَ بِاَعۡيُنِنَا وَ وَحۡيِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَفَارَ التَّـنُّوۡرُۙ فَاسۡلُكۡ فِيۡهَا مِنۡ كُلٍّ زَوۡجَيۡنِ اثۡنَيۡنِ وَاَهۡلَكَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَيۡهِ الۡقَوۡلُ مِنۡهُمۡۚ وَلَا تُخَاطِبۡنِىۡ فِى الَّذِيۡنَ ظَلَمُوۡاۚ اِنَّهُمۡ مُّغۡرَقُوۡنَ ﴿۲۷﴾
২৩-২৭ : অতঃপর আমি তাহার নিকট ওহী পাঠাইলাম, ‘তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ কর, অতঃপর যখন আমার আদেশ আসিবে ও উনুন উথলিয়া উঠিবে তখন উঠাইয়া লইও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবার - পরিজনকে, তাহাদেরকে ছাড়া তাহাদের মধ্যে যাহাদের বিরুদ্ধে পূর্বে সিদ্ধান্ত হইয়াছে। আর তাহাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলিও না যাহারা জুলুম করিয়াছে। তাহারা তো নিমজ্জিত হইবে।
فَاِذَا اسۡتَوَيۡتَ اَنۡتَ وَمَنۡ مَّعَكَ عَلَى الۡـفُلۡكِ فَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِىۡ نَجّٰٮنَا مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ﴿۲۸﴾
২৩-২৮ : যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করিবে তখন বলিও, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাদেরকে উদ্বার করিয়াছেন জালিম সম্প্রদায় হইতে।’
وَقُلْ رَّبِّ اَنۡزِلۡنِىۡ مُنۡزَلًا مُّبٰـرَكًا وَّاَنۡتَ خَيۡرُ الۡمُنۡزِلِيۡنَ﴿۲۹﴾
২৩-২৯ : আরও বলিও, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করাও যাহা হইবে কল্যাণকর; আর তুমিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী।’
اِنَّ فِىۡ ذٰ لِكَ لَاٰيٰتٍ وَّاِنۡ كُنَّا لَمُبۡتَلِيۡنَ﴿۳۰﴾
২৩-৩০ : ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। আর আমি তো উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছিলাম।
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا اٰخَرِيۡنَ ۚ﴿۳۱﴾
২৩-৩১ : অতঃপর তাহাদের পরে অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করিয়াছিলাম;
فَاَرۡسَلۡنَا فِيۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَـكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَيۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ﴿۳۲﴾
২৩-৩২ : এবং উহাদেরই একজনকে উহাদের নিকট রাসূল করিয়া পাঠাইয়াছিলাম! সে বলিয়াছিল, ‘তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই, তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’
وَقَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِهِ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَكَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ الۡاٰخِرَةِ وَاَتۡرَفۡنٰهُمۡ فِى الۡحَيٰوةِ الدُّنۡيَا ۙ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُكُمۡ ۙ يَاۡكُلُ مِمَّا تَاۡكُلُوۡنَ مِنۡهُ وَيَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُوۡنَ ۙ﴿۳۳﴾
২৩-৩৩ : তাহার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ, যাহারা কুফরী করিয়াছিল ও আখিরাতের সাক্ষাতকারকে অস্বীকার করিয়াছিল এবং যাহাদেরকে আমি দিয়াছিলাম পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগসম্ভার, তাহারা বলিয়াছিল, ‘এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ; তোমরা যাহা আহার কর, সে তাহাই আহার করে এবং তোমরা যাহা পান কর, সেও তাহাই পান করে;
وَلَٮِٕنۡ اَطَعۡتُمۡ بَشَرًا مِّثۡلَـكُمۡ اِنَّكُمۡ اِذًا لَّخٰسِرُوۡنَۙ﴿۳۴﴾
২৩-৩৪ : ‘যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে;
اَيَعِدُكُمۡ اَنَّكُمۡ اِذَا مِتُّمۡ وَكُنۡتُمۡ تُرَابًا وَّعِظَامًا اَنَّكُمۡ مُّخۡرَجُوۡنَ ۙ﴿۳۵﴾
২৩-৩৫ : ‘সে কি তোমাদেরকে এই প্রতিশ্রুতিই দেয় যে, তোমাদের মৃত্যু হইলে এবং তোমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইলেও তোমাদেরকে উত্থিত করা হইবে?
هَيۡهَاتَ هَيۡهَاتَ لِمَا تُوۡعَدُوۡنَ ۙ﴿۳۶﴾
২৩-৩৬ : ‘অসম্ভব, তোমাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা অসম্ভব।
اِنۡ هِىَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنۡيَا نَمُوۡتُ وَنَحۡيَا وَمَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِيۡنَ ۙ﴿۳۷﴾
২৩-৩৭ : ‘একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন, আমরা মরি বাঁচি এইখানেই এবং আমরা উত্থিত হইব না।
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلُ اۨفۡتَـرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا وَّمَا نَحۡنُ لَهٗ بِمُؤۡمِنِيۡنَ﴿۳۸﴾
২৩-৩৮ : ‘সে তো এমন ব্যক্তি যে আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং আমরা তাহাকে বিশ্বাস করিবার নই।’
قَالَ رَبِّ انْصُرۡنِىۡ بِمَا كَذَّبُوۡنِ﴿۳۹﴾
২৩-৩৯ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর; কারণ উহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে।’
قَالَ عَمَّا قَلِيۡلٍ لَّيُصۡبِحُنَّ نٰدِمِيۡنَۚ﴿۴۰﴾
২৩-৪০ : আল্লাহ্ বলিলেন, অচিরে উহারা তো অনুতপ্ত হইবে।
فَاَخَذَتۡهُمُ الصَّيۡحَةُ بِالۡحَـقِّ فَجَعَلۡنٰهُمۡ غُثَآءًۚ فَبُعۡدًا لِّـلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ﴿۴۱﴾
২৩-৪১ : অতঃপর সত্য সত্যই এক বিকট আওয়াজ উহাদেরকে আঘাত করিল এবং আমি উহাদেরকে তরঙ্গ - তাড়িত আবর্জআন্ নাসদৃশ করিয়া দিলাম। সুতরাং ধ্বংস হইয়া গেল জালিম সম্প্রদায়।
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قُرُوۡنًا اٰخَرِيۡنَؕ﴿۴۲﴾
২৩-৪২ : অতঃপর তাহাদের পরে আমি বহু জাতি সৃষ্টি করিয়াছি।
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّةٍ اَجَلَهَا وَمَا يَسۡتَـاۡخِرُوۡنَؕ﴿۴۳﴾
২৩-৪৩ : কোন জাতিই তাহার নির্ধারিত কালকে ত্বরান্বিত করিতে পারে না, বিলম্বিতও করিতে পারে না।
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡـرَا ؕ كُلَّ مَا جَآءَ اُمَّةً رَّسُوۡلُهَا كَذَّبُوۡهُ فَاَتۡبَـعۡنَا بَعۡـضَهُمۡ بَعۡـضًا وَّجَعَلۡنٰهُمۡ اَحَادِيۡثَ ۚ فَبُـعۡدًا لِّـقَوۡمٍ لَّا يُؤۡمِنُوۡنَ﴿۴۴﴾
২৩-৪৪ : অতঃপর আমি একের পর এক আমার রাসূল প্রেরণ করিয়াছি। যখনই কোন জাতির নিকট তাহার রাসূল আসিয়াছে তখনই উহারা তাহাকে মিথ্যাবাদী বলিয়াছে। অতঃপর আমি উহাদের একের পর এককে ধ্বংস করিলাম। আমি উহাদেরকে কাহিনীর বিষয় করিয়াছি। সুতরাং ধ্বংস হউক অবিশ্বাসীরা!
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰى وَاَخَاهُ هٰرُوۡنَ ۙ بِاٰيٰتِنَا وَسُلۡطٰنٍ مُّبِيۡنٍۙ﴿۴۵﴾
২৩-৪৫ : অতঃপর আমি আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ মূসা ও তাহার ভ্রাতা হারূনকে পাঠাইলাম,
اِلٰى فِرۡعَوۡنَ وَمَلَا۟ٮِٕهٖ فَاسۡتَكۡبَرُوۡا وَكَانُوۡا قَوۡمًا عٰلِيۡنَ ۚ﴿۴۶﴾
২৩-৪৬ : ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট। কিন্তু উহারা অহংকার করিল; উহারা ছিল উদ্ধত সম্প্রদায়।
فَقَالُـوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَيۡنِ مِثۡلِنَا وَقَوۡمُهُمَا لَـنَا عٰبِدُوۡنَۚ﴿۴۷﴾
২৩-৪৭ : উহারা বলিল, ‘আমরা কি এমন দুই ব্যক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করিব যাহারা আমাদেরই মত এবং যাহাদের সম্প্রদায় আমাদের দাসত্ব করে?’
فَكَذَّبُوۡهُمَا فَكَانُوۡا مِنَ الۡمُهۡلَـكِيۡنَ﴿۴۸﴾
২৩-৪৮ : অতঃপর উহারা তাহাদেরকে অস্বীকার করিল, ফলে উহারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হইল।
وَلَـقَدۡ اٰتَيۡنَا مُوۡسَى الۡـكِتٰبَ لَعَلَّهُمۡ يَهۡتَدُوۡنَ﴿۴۹﴾
২৩-৪৯ : আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়াছিলাম যাহাতে উহারা সৎপথ পায়।
وَجَعَلۡنَا ابۡنَ مَرۡيَمَ وَاُمَّهٗۤ اٰيَةً وَّاٰوَيۡنٰهُمَاۤ اِلٰى رَبۡوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّمَعِيۡنٍ﴿۵۰﴾
২৩-৫০ : এবং আমি মার্ইয়াম - তনয় ও তাহার জননীকে করিয়াছিলাম এক নিদর্শন, তাহাদেরকে আশ্রয় দিয়াছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবণবিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে।
يٰۤـاَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوۡا مِنَ الطَّيِّبٰتِ وَاعۡمَلُوْا صَالِحًـا ؕ اِنِّىۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِيۡمٌ ؕ﴿۵۱﴾
২৩-৫১ : ‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হইতে আহার কর ও সৎকর্ম কর; তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।
وَاِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُكُمۡ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّاَنَا رَبُّكُمۡ فَاتَّقُوۡنِ﴿۵۲﴾
২৩-৫২ : ‘এবং তোমাদের এই যে জাতি ইহা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর।’
فَتَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَيۡنَهُمۡ زُبُرًا ؕ كُلُّ حِزۡبٍۢ بِمَا لَدَيۡهِمۡ فَرِحُوۡنَ﴿۵۳﴾
২৩-৫৩ : কিন্তু তাহারা নিজেদের মধ্যে তাহাদের দীনকে বহুধা বিভক্ত করিয়াছে। প্রত্যেক দলই তাহাদের নিকট যাহা আছে তাহা লইয়া আনন্দিত।
فَذَرۡهُمۡ فِىۡ غَمۡرَتِهِمۡ حَتّٰى حِيۡنٍ﴿۵۴﴾
২৩-৫৪ : সুতরাং কিছুকালের জন্য উহাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকিতে দাও।
اَيَحۡسَبُوۡنَ اَنَّمَا نُمِدُّهُمۡ بِهٖ مِنۡ مَّالٍ وَّبَنِيۡنَۙ﴿۵۵﴾
২৩-৫৫ : উহারা কি মনে করে যে, আমি উহাদেরকে সাহায্যস্বরূপ যে ধনৈশ্বর্য ও সন্তান - সন্ততি দান করি, তদ্দারা
نُسَارِعُ لَهُمۡ فِى الۡخَيۡـرٰتِ ؕ بَلْ لَّا يَشۡعُرُوۡنَ﴿۵۶﴾
২৩-৫৬ : উহাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করিতেছি? না, উহারা বুঝে না।
اِنَّ الَّذِيۡنَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡيَةِ رَبِّهِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَۙ﴿۵۷﴾
২৩-৫৭ : নিশ্চয় যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের ভয়ে সন্ত্রস্ত,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ بِاٰيٰتِ رَبِّهِمۡ يُؤۡمِنُوۡنَۙ﴿۵۸﴾
২৩-৫৮ : যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে,
وَالَّذِيۡنَ هُمۡ بِرَبِّهِمۡ لَا يُشۡرِكُوۡنَۙ﴿۵۹﴾
২৩-৫৯ : যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সঙ্গে শরীক করে না,
وَالَّذِيۡنَ يُؤۡتُوۡنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّ قُلُوۡبُهُمۡ وَجِلَةٌ اَنَّهُمۡ اِلٰى رَبِّهِمۡ رٰجِعُوۡنَ ۙ﴿۶۰﴾
২৩-৬০ : এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে এই বিশ্বাসে তাহাদের যাহা দান করিবার তাহা দান করে ভীত - কম্পিত হৃদয়ে,
اُولٰٓٮِٕكَ يُسَارِعُوۡنَ فِىۡ الۡخَيۡـرٰتِ وَهُمۡ لَهَا سٰبِقُوۡنَ﴿۶۱﴾
২৩-৬১ : তাহারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তাহারা উহাতে অগ্রগামী হয়।
وَلَا نُـكَلِّفُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا وَلَدَيۡنَا كِتٰبٌ يَّـنۡطِقُ بِالۡحَـقِّ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُوۡنَ﴿۶۲﴾
২৩-৬২ : আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করি না এবং আমার নিকট আছে এক কিতাব যাহা সত্য ব্যক্ত করে এবং উহাদের প্রতি জুলুম করা হইবে না।
بَلۡ قُلُوۡبُهُمۡ فِىۡ غَمۡرَةٍ مِّنۡ هٰذَا وَلَهُمۡ اَعۡمَالٌ مِّنۡ دُوۡنِ ذٰلِكَ هُمۡ لَهَا عٰمِلُوۡنَ﴿۶۳﴾
২৩-৬৩ : বরং এই বিষয়ে উহাদের অন্তর অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন, এতদ্ব্যতীত তাহাদের আরও কাজ আছে যাহা উহারা করিয়া থাকে।
حَتّٰۤى اِذَاۤ اَخَذۡنَا مُتۡـرَفِيۡهِمۡ بِالۡعَذَابِ اِذَا هُمۡ يَجۡـــَٔرُوۡنَؕ﴿۶۴﴾
২৩-৬৪ : আর আমি যখন উহাদের ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করি তখনই উহারা আর্তনাদ করিয়া উঠে।
لَا تَجۡـــَٔرُوا الۡيَوۡمَ اِنَّكُمۡ مِّنَّا لَا تُنۡصَرُوۡنَ ﴿۶۵﴾
২৩-৬৫ : তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘আজ আর্তনাদ করিও না, তোমরা আমার সাহায্য পাইবে না।’
قَدۡ كَانَتۡ اٰيٰتِىۡ تُتۡلٰى عَلَيۡكُمۡ فَـكُنۡتُمۡ عَلٰٓى اَعۡقَابِكُمۡ تَـنۡكِصُوۡنَۙ﴿۶۶﴾
২৩-৬৬ : আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হইত, কিন্তু তোমরা পিছনে ফিরিয়া সরিয়া পড়িতে -
مُسۡتَكۡبِرِيۡنَ ۖ بِهٖ سٰمِرًا تَهۡجُرُوۡنَ﴿۶۷﴾
২৩-৬৭ : দম্ভভরে, এই বিষয়ে অর্থহীন গল্প - গুজব করিতে করিতে।
اَفَلَمۡ يَدَّبَّرُوا الۡقَوۡلَ اَمۡ جَآءَهُمۡ مَّا لَمۡ يَاۡتِ اٰبَآءَهُمُ الۡاَوَّلِيۡنَ﴿۶۸﴾
২৩-৬৮ : তবে কি উহারা এই বাণী অনুধাবন করে না? অথবা উহাদের নিকট কি এমন কিছু আসিয়াছে যাহা উহাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসে নাই?
اَمۡ لَمۡ يَعۡرِفُوۡا رَسُوۡلَهُمۡ فَهُمۡ لَهٗ مُنۡكِرُوۡنَ﴿۶۹﴾
২৩-৬৯ : অথবা উহারা কি উহাদের রাসূলকে চিনে না বলিয়া তাহাকে অস্বীকার করে?
اَمۡ يَـقُوۡلُوۡنَ بِهٖ جِنَّةٌ ؕ بَلۡ جَآءَهُمۡ بِالۡحَـقِّ وَاَكۡثَرُهُمۡ لِلۡحَقِّ كٰرِهُوۡنَ﴿۷۰﴾
২৩-৭০ : অথবা উহারা কি বলে যে, সে উন্মাদনাগ্রস্ত, বস্তুত সে উহাদের নিকট সত্য আনিয়াছে এবং উহাদের অধিকাংশ সত্যকে অপসন্দ করে।
وَلَوِ اتَّبَعَ الۡحَـقُّ اَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِيۡهِنَّؕ بَلۡ اَتَيۡنٰهُمۡ بِذِكۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَنۡ ذِكۡرِهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَؕ﴿۷۱﴾
২৩-৭১ : সত্য যদি উহাদের কামনা - বাসনার অনুগামী হইত তবে বিশৃংখল হইয়া পড়িত আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুই। পক্ষান্তরে আমি উহাদেরকে দিয়াছি উপদেশ, কিন্তু উহারা উপদেশ হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয়।
اَمۡ تَسۡــَٔـلُهُمۡ خَرۡجًا فَخَرٰجُ رَبِّكَ خَيۡرٌ ۖ وَّهُوَ خَيۡرُ الرّٰزِقِيۡنَ﴿۷۲﴾
২৩-৭২ : অথবা তুমি কি উহাদের নিকট কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।
وَاِنَّكَ لَـتَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسۡتَقِيۡمٍ﴿۷۳﴾
২৩-৭৩ : তুমি তো উহাদেরকে সরল পথে আহ্বান করিতেছ।
وَاِنَّ الَّذِيۡنَ لَا يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَةِ عَنِ الصِّرَاطِ لَـنٰكِبُوۡنَ﴿۷۴﴾
২৩-৭৪ : যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত,
وَلَوۡ رَحِمۡنٰهُمۡ وَكَشَفۡنَا مَا بِهِمۡ مِّنۡ ضُرٍّ لَّـلَجُّوۡا فِىۡ طُغۡيَانِهِمۡ يَعۡمَهُوۡنَ﴿۷۵﴾
২৩-৭৫ : আমি উহাদেরকে দয়া করিলেও এবং উহাদের দুঃখ - দৈন্য দূর করিলেও উহারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিতে থাকিবে।
وَلَقَدۡ اَخَذۡنٰهُمۡ بِالۡعَذَابِ فَمَا اسۡتَكَانُوۡا لِرَبِّهِمۡ وَمَا يَتَضَرَّعُوۡنَ﴿۷۶﴾
২৩-৭৬ : আমি তো উহাদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করিলাম, কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি বিনত হইল না এবং কাতর প্রার্থনাও করে না।
حَتّٰٓى اِذَا فَتَحۡنَا عَلَيۡهِمۡ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِيۡدٍ اِذَا هُمۡ فِيۡهِ مُبۡلِسُوۡنَ﴿۷۷﴾
২৩-৭৭ : অবশেষে যখন আমি উহাদের জন্য কঠিন শাস্তির দুয়ার খুলিয়া দেই তখনই উহারা ইহাতে হতাশ হইয়া পড়ে।
وَهُوَ الَّذِىۡۤ اَنۡشَاَ لَـكُمُ السَّمۡعَ وَالۡاَبۡصَارَ وَالۡاَفۡـِٕدَةَ ؕ قَلِيۡلًا مَّا تَشۡكُرُوۡنَ﴿۷۸﴾
২৩-৭৮ : তিনিই তোমাদের জন্য কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করিয়াছেন; তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া থাক।
وَهُوَ الَّذِىۡ ذَرَاَكُمۡ فِى الۡاَرۡضِ وَاِلَيۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ﴿۷۹﴾
২৩-৭৯ : তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করিয়াছেন এবং তোমাদেরকে তাঁহারই নিকট একত্র করা হইবে।
وَهُوَ الَّذِىۡ يُحۡىٖ وَيُمِيۡتُ وَلَـهُ اخۡتِلَافُ الَّيۡلِ وَالنَّهَارِؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ﴿۸۰﴾
২৩-৮০ : তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং তাঁহারই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝিবে না?
بَلۡ قَالُوۡا مِثۡلَ مَا قَالَ الۡاَوَّلُوۡنَ﴿۸۱﴾
২৩-৮১ : এতদসত্ত্বেও উহারা বলে, যেমন বলিয়াছিল পূর্ববর্তীরা।
قَالُوۡۤا ءَاِذَا مِتۡنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ﴿۸۲﴾
২৩-৮২ : উহারা বলে, ‘আমাদের মৃত্যু ঘটিলে ও আমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইলেও কি আমরা উত্থিত হইব?
لَـقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَاٰبَآؤُنَا هٰذَا مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِيۡرُ الۡاَوَّلِيۡنَ﴿۸۳﴾
২৩-৮৩ : ‘আমাদেরকে তো এই বিষয়েই প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছে এবং অতীতে আমাদের পূর্বপুরুষগণকেও। ইহা তো সে কালের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’
قُلْ لِّمَنِ الۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِيۡهَاۤ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ﴿۸۴﴾
২৩-৮৪ : জিজ্ঞাসা কর, ‘এই পৃথিবী এবং ইহাতে যাহারা আছে তাহারা কাহার, যদি তোমরা জান?’
سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِؕ قُلۡ اَفَلَا تَذَكَّرُوۡنَ﴿۸۵﴾
২৩-৮৫ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করিবে না?’
قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبۡعِ وَرَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِيۡمِ﴿۸۶﴾
২৩-৮৬ : জিজ্ঞাসা কর, ‘কে সপ্ত আকাশ এবং মহা‘আর্শের অধিপতি?’
سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِؕ قُلۡ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ﴿۸۷﴾
২৩-৮৭ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’
قُلۡ مَنۡۢ بِيَدِهٖ مَلَكُوۡتُ كُلِّ شَىۡءٍ وَّهُوَ يُجِيۡرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيۡهِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ﴿۸۸﴾
২৩-৮৮ : জিজ্ঞাসা কর, ‘সকল কিছুর কর্তৃত্ব কাহার হাতে, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁহার উপর আশ্রয়দাতা নাই, যদি তোমরা জান?’
سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِؕ قُلۡ فَاَنّٰى تُسۡحَرُوۡنَ﴿۸۹﴾
২৩-৮৯ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও তোমরা কেমন করিয়া মোহগ্রস্ত হইতেছ?’
بَلۡ اَتَيۡنٰهُمۡ بِالۡحَـقِّ وَاِنَّهُمۡ لَكٰذِبُوۡنَ﴿۹۰﴾
২৩-৯০ : বরং আমি তো উহাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছি; কিন্তু উহারা তো নিশ্চিত মিথ্যাবাদী।
مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنۡ وَّلَدٍ وَّمَا كَانَ مَعَهٗ مِنۡ اِلٰهٍ اِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ اِلٰهٍۢ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يَصِفُوۡنَۙ﴿۹۱﴾
২৩-৯১ : আল্লাহ্ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নাই এবং তাঁহার সঙ্গে অপর কোন ইলাহ্ নাই; যদি থাকিত তবে প্রত্যেক ইলাহ্ স্বীয় সৃষ্টি লইয়া পৃথক হইয়া যাইত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করিত। উহারা যাহা বলে তাহা হইতে আল্লাহ্ কত পবিত্র!
عٰلِمِ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ فَتَعٰلٰى عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ﴿۹۲﴾
২৩-৯২ : তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, উহারা যাহাকে শরীক করে তিনি তাহার ঊর্ধ্বে।
قُل رَّبِّ اِمَّا تُرِيَنِّىۡ مَا يُوۡعَدُوۡنَۙ﴿۹۳﴾
২৩-৯৩ : বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইতেছে, তুমি যদি তাহা আমাকে দেখাইতে চাও,
رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِىۡ فِى الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ﴿۹۴﴾
২৩-৯৪ : ‘তবে, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করিও না।’
وَاِنَّا عَلٰٓى اَنۡ نُّرِيَكَ مَا نَعِدُهُمۡ لَقٰدِرُوۡنَ﴿۹۵﴾
২৩-৯৫ : আমি তাহাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করিতেছি আমি তাহা তোমাকে দেখাইতে অবশ্যই সক্ষম।
اِدۡفَعۡ بِالَّتِىۡ هِىَ اَحۡسَنُ السَّيِّئَةَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا يَصِفُوۡنَ ﴿۹۶﴾
২৩-৯৬ : মন্দের মুকাবিলা কর যাহা উত্তম তাহা দ্বারা; উহারা যাহা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।
وَقُلْ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِكَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّيٰطِيۡنِۙ ﴿۹۷﴾
২৩-৯৭ : বল, ‘হে আমার প্রতি - পালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হইতে,
وَاَعُوۡذُ بِكَ رَبِّ اَنۡ يَّحۡضُرُوۡنِ﴿۹۸﴾
২৩-৯৮ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট উহাদের উপস্থিতি হইতে।’
حَتّٰٓى اِذَا جَآءَ اَحَدَهُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِۙ﴿۹۹﴾
২৩-৯৯ : যখন উহাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় প্রেরণ কর,
لَعَلِّىۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًـا فِيۡمَا تَرَكۡتُؕ كَلَّا ؕ اِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَآٮِٕلُهَاؕ وَمِنۡ وَّرَآٮِٕهِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰى يَوۡمِ يُبۡعَثُوۡنَ﴿۱۰۰﴾
২৩-১০০ : ‘যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা আমি পূর্বে করি নাই।’ না, ইহা হইবার নয়। ইহা তো উহার একটি উক্তি মাত্র। উহাদের সম্মুখে বারযাখ থাকিবে উত্থান দিবস পর্যন্ত।
فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَٮِٕذٍ وَّلَا يَتَسَآءَلُوۡنَ﴿۱۰۱﴾
২৩-১০১ : এবং যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকিবে না, এবং একে অপরের খোঁজ - খবর লইবে না,
فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِيۡنُهٗ فَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ﴿۱۰۲﴾
২৩-১০২ : এবং যাহাদের পাল্লা ভারী হইবে তাহারাই হইবে সফলকাম,
وَمَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِيۡنُهٗ فَاُولٰٓٮِٕكَ الَّذِيۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِىۡ جَهَـنَّمَ خٰلِدُوۡنَ ۚ﴿۱۰۳﴾
২৩-১০৩ : এবং যাহাদের পাল্লা হাল্কা হইবে তাহারাই নিজেদের ক্ষতি করিয়াছে; উহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে।
تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَهُمۡ فِيۡهَا كٰلِحُوۡنَ﴿۱۰۴﴾
২৩-১০৪ : অগ্নি উহাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করিবে এবং উহারা সেখানে থাকিবে বীভৎস চেহারায়;
اَلَمۡ تَكُنۡ اٰيٰتِىۡ تُتۡلٰى عَلَيۡكُمۡ فَكُنۡتُمۡ بِهَا تُكَذِّبُوۡنَ﴿۱۰۵﴾
২৩-১০৫ : তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হইত না? অথচ তোমরা সেই সকল অস্বীকার করিতে।
قَالُوۡا رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَيۡنَا شِقۡوَتُنَا وَكُنَّا قَوۡمًا ضَآلِّيۡنَ﴿۱۰۶﴾
২৩-১০৬ : উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পাইয়া বসিয়াছিল এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়;
رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡهَا فَاِنۡ عُدۡنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوۡنَ﴿۱۰۷﴾
২৩-১০৭ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই অগ্নি হইতে আমাদেরকে উদ্ধার কর; অতঃপর আমরা যদি পুনরায় কুফরী করি তবে তো আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হইব।’
قَالَ اخۡسَـُٔـوۡا فِيۡهَا وَلَا تُكَلِّمُوۡنِ﴿۱۰۸﴾
২৩-১০৮ : আল্লাহ্ বলিবেন, ‘তোরা হীন অবস্থায় এইখানে থাক্ এবং আমার সহিত কোন কথা বলিস্ না।’
اِنَّهٗ كَانَ فَرِيۡقٌ مِّنۡ عِبَادِىۡ يَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَـنَا وَارۡحَمۡنَا وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَۖۚ﴿۱۰۹﴾
২৩-১০৯ : আমার বান্দাগণের মধ্যে একদল ছিল যাহারা বলিত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
فَاتَّخَذۡتُمُوۡهُمۡ سِخۡرِيًّا حَتّٰٓى اَنۡسَوۡكُمۡ ذِكۡرِىۡ وَكُنۡتُمۡ مِّنۡهُمۡ تَضۡحَكُوۡنَ﴿۱۱۰﴾
২৩-১১০ : ‘কিন্তু তাহাদেরকে লইয়া তোমরা এতো ঠাট্টা - বিদ্রপ করিতে যে, উহা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলাইয়া দিয়াছিল। তোমরা তো তাহাদেরকে লইয়া হাসি - ঠাট্টাই করিতে।’
اِنِّىۡ جَزَيۡتُهُمُ الۡيَوۡمَ بِمَا صَبَرُوۡۤا ۙ اَنَّهُمۡ هُمُ الۡفَآٮِٕزُوۡنَ﴿۱۱۱﴾
২৩-১১১ : ‘আমি আজ তাহাদেরকে তাহাদের ধৈর্যের কারণে এমনভাবে পুরস্কৃত করিলাম যে, তাহারাই হইল সফলকাম।’
قٰلَ كَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِى الۡاَرۡضِ عَدَدَ سِنِيۡنَ﴿۱۱۲﴾
২৩-১১২ : আল্লাহ্ বলিবেন, ‘তােমরা পৃথিবীতে কত বৎসর অবস্থান করিয়াছিলে?’
قَالُوۡا لَبِثۡنَا يَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٍ فَسۡــَٔـلِ الۡعَآدِّيۡنَ﴿۱۱۳﴾
২৩-১১৩ : উহারা বলিবে, ‘আমরা অবস্থান করিয়াছিলাম একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ; আপনি না হয়, গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’
قٰلَ اِنۡ لَّبِثۡـتُمۡ اِلَّا قَلِيۡلًا لَّوۡ اَنَّكُمۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ﴿۱۱۴﴾
২৩-১১৪ : তিনি বলিবেন, ‘তোমরা অল্প কালই অবস্থান করিয়াছিলে, যদি তোমরা জানিতে!
اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰكُمۡ عَبَثًا وَّاَنَّكُمۡ اِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ﴿۱۱۵﴾
২৩-১১৫ : ‘তোমরা কি মনে করিয়াছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করিয়াছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে না?’
فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَـقُّ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡـكَرِيۡمِ﴿۱۱۶﴾
২৩-১১৬ : মহিমান্বিত আল্লাহ্ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; সম্মানিত আর্শের তিনি অধিপতি।
وَمَنۡ يَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفۡلِحُ الۡـكٰفِرُوۡنَ﴿۱۱۷﴾
২৩-১১৭ : যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে ডাকে অন্য ইলাহ্কে, এই বিষয়ে তাহার নিকট কোন সনদ নাই; তাহার হিসাব তাহার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হইবে না।
وَقُلْ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَارۡحَمۡ وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ ﴿۱۱۸﴾
২৩-১১৮ : বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’