بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ﴿۱﴾
৩৭-১ : শপথ তাহাদের যাহারা সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান
فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ﴿۲﴾
৩৭-২ : ও যাহারা কঠোর পরিচালক
فَالتّٰلِيٰتِ ذِكۡرًا ۙ﴿۳﴾
৩৭-৩ : এবং যাহারা ‘যিকির’ আবৃত্তিতে রত -
اِنَّ اِلٰهَكُمۡ لَوَاحِدٌ ؕ﴿۴﴾
৩৭-৪ : নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ্ এক,
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ﴿۵﴾
৩৭-৫ : যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর প্রভু এবং প্রভু সকল উদয়স্থলের।
اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِزِيۡنَةِ اۨلۡكَوَاكِبِۙ﴿۶﴾
৩৭-৬ : আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করিয়াছি,
وَحِفۡظًا مِّنۡ كُلِّ شَيۡطٰنٍ مَّارِدٍۚ﴿۷﴾
৩৭-৭ : এবং রক্ষা করিয়াছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হইতে।
لَّا يَسَّمَّعُوۡنَ اِلَى الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰى وَيُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ كُلِّ جَانِبٍۖ ﴿۸﴾
৩৭-৮ : ফলে উহারা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করিতে পারে না এবং উহাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হইতে -
دُحُوۡرًا وَّلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ۙ﴿۹﴾
৩৭-৯ : বিতাড়নের জন্য এবং উহাদের জন্য আছে অবিরাম শাস্তি।
اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ فَاَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ﴿۱۰﴾
৩৭-১০ : তবে কেহ হঠাৎ কিছু শুনিয়া ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তাহার পশ্চাদ্ধাবন করে।
فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَهُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَاؕ اِنَّا خَلَقۡنٰهُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ لَّازِبٍ﴿۱۱﴾
৩৭-১১ : উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, উহারা সৃষ্টিতে দৃঢ়তর, না আমি অন্য যাহা কিছু সৃষ্টি করিয়াছি তাহা? উহাদেরকে আমি সৃষ্টি করিয়াছি আঠাল মৃত্তিকা হইতে।
بَلۡ عَجِبۡتَ وَيَسۡخَرُوۡنَ﴿۱۲﴾
৩৭-১২ : তুমি তো বিস্ময় বোধ করিতেছ, আর উহারা করিতেছে বিদ্রুপ।
وَاِذَا ذُكِّرُوۡا لَا يَذۡكُرُوۡنَ﴿۱۳﴾
৩৭-১৩ : এবং যখন উহাদেরকে উপদেশ দেওয়া হয় উহারা তাহা গ্রহণ করে না।
وَاِذَا رَاَوۡا اٰيَةً يَّسۡتَسۡخِرُوۡنَ﴿۱۴﴾
৩৭-১৪ : উহারা কোন নিদর্শন দেখিলে উপহাস করে
وَقَالُوۡۤا اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِيۡنٌ ۖۚ﴿۱۵﴾
৩৭-১৫ : এবং বলে, ‘ইহা তো এক সুস্পষ্ট জাদু ব্যতীত আর কিছুই নয়।’
ءَاِذَا مِتۡنَا وَكُـنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَۙ ﴿۱۶﴾
৩৭-১৬ : ‘আমরা যখন মরিয়া যাইব এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইব, তখনও কি আমাদেরকে উত্থিত করা হইবে?
اَوَاٰبَآؤُنَا الۡاَوَّلُوۡنَؕ﴿۱۷﴾
৩৭-১৭ : ‘এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও?’
قُلۡ نَعَمۡ وَاَنۡـتُمۡ دٰخِرُوۡنَۚ ﴿۱۸﴾
৩৭-১৮ : বল, ‘হাঁ, এবং তোমরা হইবে লাঞ্ছিত।’
فَاِنَّمَا هِىَ زَجۡرَةٌ وَّاحِدَةٌ فَاِذَا هُمۡ يَنۡظُرُوۡنَ﴿۱۹﴾
৩৭-১৯ : উহা একটি মাত্র প্রচণ্ড শব্দ - আর তখনই উহারা প্রত্যক্ষ করিবে।
وَقَالُوۡا يٰوَيۡلَنَا هٰذَا يَوۡمُ الدِّيۡنِ﴿۲۰﴾
৩৭-২০ : এবং উহারা বলিবে, ‘দুর্ভোগ আমাদের! ইহাই তো কর্মফল দিবস।’
هٰذَا يَوۡمُ الۡفَصۡلِ الَّذِىۡ كُنۡتُمۡ بِهٖ تُكَذِّبُوۡنَ﴿۲۱﴾
৩৭-২১ : ইহাই ফয়সালার দিন যাহা তোমরা অস্বীকার করিতে।
اُحۡشُرُوا الَّذِيۡنَ ظَلَمُوۡا وَاَزۡوَاجَهُمۡ وَمَا كَانُوۡا يَعۡبُدُوۡنَۙ ﴿۲۲﴾
৩৭-২২ : ফিরিশ্তাদেরকে বলা হইবে, ‘একত্র কর জালিম ও উহাদের সহচরগণকে এবং উহাদেরকে যাহাদের ‘ইবাদত করিত তাহারা -
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَاهۡدُوۡهُمۡ اِلٰى صِرَاطِ الۡجَحِيۡمِ﴿۲۳﴾
৩৭-২৩ : আল্লাহ্র পরিবর্তে এবং উহাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,
وَقِفُوۡهُمۡ اِنَّهُمۡ مَّسْـُٔـوۡلُوۡنَۙ﴿۲۴﴾
৩৭-২৪ : ‘অতঃপর উহাদেরকে থামাও, কারণ উহাদেরকে প্রশ্ন করা হইবে :
مَا لَـكُمۡ لَا تَنَاصَرُوۡنَ﴿۲۵﴾
৩৭-২৫ : ‘তোমাদের কী হইল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করিতেছ না?’
بَلۡ هُمُ الۡيَوۡمَ مُسۡتَسۡلِمُوۡنَ﴿۲۶﴾
৩৭-২৬ : বস্তুত সেই দিন উহারা আত্মসর্মপণ করিবে
وَاَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ يَّتَسَآءَلُوۡنَ﴿۲۷﴾
৩৭-২৭ : এবং উহারা একে অপরের সামআন্ নাসামনি হইয়া জিজ্ঞাআস্ সাবাদ করিবে -
قَالُوۡۤا اِنَّكُمۡ كُنۡتُمۡ تَاۡتُوۡنَنَا عَنِ الۡيَمِيۡنِ﴿۲۸﴾
৩৭-২৮ : উহারা বলিবে, ‘তোমরা তো তোমাদের শক্তি লইয়া আমাদের নিকট আসিতে।’
قَالُوۡا بَلْ لَّمۡ تَكُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِيۡنَۚ ﴿۲۹﴾
৩৭-২৯ : তাহারা বলিবে, তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না,
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيۡكُمۡ مِّنۡ سُلۡطٰنِۚ بَلۡ كُنۡتُمۡ قَوۡمًا طٰغِيۡنَ﴿۳۰﴾
৩৭-৩০ : ‘এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিল না ; বস্তুত তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
فَحَقَّ عَلَيۡنَا قَوۡلُ رَبِّنَآ ۖ اِنَّا لَذَآٮِٕقُوۡنَ﴿۳۱﴾
৩৭-৩১ : ‘আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিপালকের কথা সত্য হইয়াছে, আমাদেরকে অবশ্যই শাস্তি আস্বাদন করিতে হইবে।
فَاَغۡوَيۡنٰكُمۡ اِنَّا كُنَّا غٰوِيۡنَ﴿۳۲﴾
৩৭-৩২ : ‘আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।’
فَاِنَّهُمۡ يَوۡمَٮِٕذٍ فِى الۡعَذَابِ مُشۡتَرِكُوۡنَ ﴿۳۳﴾
৩৭-৩৩ : উহারা সকলেই সেই দিন শাস্তির শরীক হইবে।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَفۡعَلُ بِالۡمُجۡرِمِيۡنَ﴿۳۴﴾
৩৭-৩৪ : অপরাধীদের প্রতি আমি এইরূপই করিয়া থাকি।
اِنَّهُمۡ كَانُوۡۤا اِذَا قِيۡلَ لَهُمۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُۙ يَسۡتَكۡبِرُوۡنَۙ﴿۳۵﴾
৩৭-৩৫ : উহাদেরকে ‘আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই’ বলা হইলে উহারা অহংকার করিত
وَيَقُوۡلُوۡنَ اَٮِٕنَّا لَتٰرِكُوۡۤا اٰلِهَـتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجۡـنُوۡنٍ ؕ﴿۳۶﴾
৩৭-৩৬ : এবং বলিত, ‘আমরা কি এক উন্মাদ কবির কথায় আমাদের ইলাহ্গণকে বর্জন করিব?’
بَلۡ جَآءَ بِالۡحَقِّ وَصَدَّقَ الۡمُرۡسَلِيۡنَ﴿۳۷﴾
৩৭-৩৭ : বরং সে তো সত্য লইয়া আসিয়াছে এবং সে রাসূলদেরকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়াছে।
اِنَّكُمۡ لَذَآٮِٕقُوا الۡعَذَابِ الۡاَلِيۡمِۚ ﴿۳۸﴾
৩৭-৩৮ : তোমরা অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করিবে।
وَمَا تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا كُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَۙ﴿۳۹﴾
৩৭-৩৯ : এবং তোমরা যাহা করিতে তাহারই প্রতিফল পাইবে -
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الۡمُخۡلَصِيۡنَ﴿۴۰﴾
৩৭-৪০ : তবে তাহারা নয় যাহারা আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দা।
اُولٰٓٮِٕكَ لَهُمۡ رِزۡقٌ مَّعۡلُوۡمٌۙ﴿۴۱﴾
৩৭-৪১ : তাহাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযিক -
فَوَاكِهُۚ وَهُمۡ مُّكۡرَمُوۡنَۙ﴿۴۲﴾
৩৭-৪২ : ফলমূল; আর তাহারা হইবে সম্মানিত,
فِىۡ جَنّٰتِ النَّعِيۡمِۙ﴿۴۳﴾
৩৭-৪৩ : সুখদ - কাননে
عَلٰى سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِيۡنَ﴿۴۴﴾
৩৭-৪৪ : তাহারা মুখামুখি হইয়া আসনে আসীন হইবে।
يُطَافُ عَلَيۡهِمۡ بِكَاۡسٍ مِّنۡ مَّعِيۡنٍۢ ۙ﴿۴۵﴾
৩৭-৪৫ : তাহাদেরকে ঘুরিয়া ঘুরিয়া পরিবেশন করা হইবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্রে।
بَيۡضَآءَ لَذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيۡنَ ۖۚ﴿۴۶﴾
৩৭-৪৬ : শুভ্র উজ্জ্বল, যাহা হইবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু।
لَا فِيۡهَا غَوۡلٌ وَّلَا هُمۡ عَنۡهَا يُنۡزَفُوۡنَ﴿۴۷﴾
৩৭-৪৭ : উহাতে ক্ষতিকর কিছু থাকিবে না এবং উহাতে তাহারা মাতালও হইবে না,
وَعِنۡدَهُمۡ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ عِيۡنٌۙ﴿۴۸﴾
৩৭-৪৮ : তাহাদের সঙ্গে থাকিবে আনতনয়না, আয়তলোচনা হূরীগণ।
كَاَنَّهُنَّ بَيۡضٌ مَّكۡنُوۡنٌ﴿۴۹﴾
৩৭-৪৯ : তাহারা যেন সুরক্ষিত ডিম্ব।
فَاَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ يَّتَسَآءَلُوۡنَ﴿۵۰﴾
৩৭-৫০ : তাহারা একে অপরের সামআন্ নাসামনি হইয়া জিজ্ঞাআস্ সাবাদ করিবে।
قَالَ قَآٮِٕلٌ مِّنۡهُمۡ اِنِّىۡ كَانَ لِىۡ قَرِيۡنٌۙ﴿۵۱﴾
৩৭-৫১ : তাহাদের কেহ বলিবে, ‘আমার ছিল এক সঙ্গী;
يَقُوۡلُ اَءِ نَّكَ لَمِنَ الۡمُصَدِّقِيۡنَ ﴿۵۲﴾
৩৭-৫২ : ‘সে বলিত, ‘তুমি কি ইহাতে বিশ্বাসী যে,
ءَاِذَا مِتۡنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا ءَاِنَّا لَمَدِيۡنُوۡنَ﴿۵۳﴾
৩৭-৫৩ : ‘আমরা যখন মরিয়া যাইব এবং আমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইব তখনও কি আমাদেরকে প্রতিফল দেওয়া হইবে?’
قَالَ هَلۡ اَنۡتُمۡ مُّطَّلِعُوۡنَ﴿۵۴﴾
৩৭-৫৪ : আল্লাহ্ বলিবেন, ‘তোমরা কি তাহাকে দেখিতে চাও ?’
فَاطَّلَعَ فَرَاٰهُ فِىۡ سَوَآءِ الۡجَحِيۡمِ﴿۵۵﴾
৩৭-৫৫ : অতঃপর সে ঝুঁকিয়া দেখিবে এবং উহাকে দেখিতে পাইবে জাহান্নামের মধ্যস্থলে;
قَالَ تَاللّٰهِ اِنۡ كِدْتَّ لَـتُرۡدِيۡنِۙ ﴿۵۶﴾
৩৭-৫৬ : বলিবে, আল্লাহ্র কসম! তুমি তাে আমাকে প্রায় ধ্বংসই করিয়াছিলে,
وَلَوۡلَا نِعۡمَةُ رَبِّىۡ لَـكُنۡتُ مِنَ الۡمُحۡضَرِيۡنَ﴿۵۷﴾
৩৭-৫৭ : ‘আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না থাকিলে আমিও তো হাযিরকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে শামিল হইতাম।
اَفَمَا نَحۡنُ بِمَيِّتِيۡنَۙ﴿۵۸﴾
৩৭-৫৮ : ‘আমাদের তো আর মৃত্যু হইবে না
اِلَّا مَوۡتَتَـنَا الۡاُوۡلٰى وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِيۡنَ ﴿۵۹﴾
৩৭-৫৯ : ‘প্রথম মৃত্যুর পর এবং আমাদেরকে শাস্তিও দেওয়া হইবে না!’
اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِيۡمُ﴿۶۰﴾
৩৭-৬০ : ইহা তো মহাসাফল্য।
لِمِثۡلِ هٰذَا فَلۡيَعۡمَلِ الۡعٰمِلُوۡنَ﴿۶۱﴾
৩৭-৬১ : এইরূপ সাফল্যের জন্য সাধকদের উচিত সাধনা করা,
اَذٰ لِكَ خَيۡرٌ نُّزُلًا اَمۡ شَجَرَةُ الزَّقُّوۡمِ ﴿۶۲﴾
৩৭-৬২ : আপ্যায়নের জন্য কি ইহাই শ্রেয় না যাক্কুম বৃক্ষ?
اِنَّا جَعَلۡنٰهَا فِتۡنَةً لِّلظّٰلِمِيۡنَ﴿۶۳﴾
৩৭-৬৩ : জালিমদের জন্য আমি ইহা সৃষ্টি করিয়াছি পরীক্ষাস্বরূপ,
اِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخۡرُجُ فِىۡۤ اَصۡلِ الۡجَحِيۡمِۙ﴿۶۴﴾
৩৭-৬৪ : এই বৃক্ষ উদ্গত হয় জাহান্নামের তলদেশ হইতে,
طَلۡعُهَا كَاَنَّهٗ رُءُوۡسُ الشَّيٰطِيۡنِ﴿۶۵﴾
৩৭-৬৫ : ইহার মোচা যেন শয়তানের মাথা
فَاِنَّهُمۡ لَاٰكِلُوۡنَ مِنۡهَا فَمٰلِــُٔــوۡنَ مِنۡهَا الۡبُطُوۡنَ ؕ ﴿۶۶﴾
৩৭-৬৬ : অবশ্যই উহারা ইহা হইতে ভক্ষণ করিবে এবং উদর পূর্ণ করিবে ইহা দ্বারা।
ثُمَّ اِنَّ لَهُمۡ عَلَيۡهَا لَشَوۡبًا مِّنۡ حَمِيۡمٍۚ﴿۶۷﴾
৩৭-৬৭ : তদুপরি উহাদের জন্য থাকিবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ।
ثُمَّ اِنَّ مَرۡجِعَهُمۡ لَا۟اِلَى الۡجَحِيۡمِ﴿۶۸﴾
৩৭-৬৮ : আর উহাদের গন্তব্য হইবে অবশ্যই প্রজ্বলিত অগ্নির দিকে।
اِنَّهُمۡ اَلۡفَوۡا اٰبَآءَهُمۡ ضَآلِّيۡنَۙ﴿۶۹﴾
৩৭-৬৯ : উহারা উহাদের পিতৃপুরুষগণকে পাইয়াছিল বিপথগামী।
فَهُمۡ عَلٰٓى اٰثٰرِهِمۡ يُهۡرَعُوۡنَ﴿۷۰﴾
৩৭-৭০ : এবং তাহাদের পদাঙ্ক অনুসরণে ধাবিত হইয়াছিল।
وَلَـقَدۡ ضَلَّ قَبۡلَهُمۡ اَكۡثَرُ الۡاَوَّلِيۡنَۙ﴿۷۱﴾
৩৭-৭১ : উহাদের পূর্বেও পূর্ববর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হইয়াছিল,
وَلَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا فِيۡهِمۡ مُّنۡذِرِيۡنَ﴿۷۲﴾
৩৭-৭২ : এবং আমি উহাদের মধ্যে সতর্ককারী প্রেরণ করিয়াছিলাম।
فَانْظُرۡ كَيۡفَ كَانَ عَاقِبَةُ الۡمُنۡذَرِيۡنَۙ﴿۷۳﴾
৩৭-৭৩ : সুতরাং লক্ষ্য কর যাহাদেরকে সতর্ক করা হইয়াছিল, তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছিল!
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الۡمُخۡلَصِيۡنَ﴿۷۴﴾
৩৭-৭৪ : তবে আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
وَلَقَدۡ نَادٰٮنَا نُوۡحٌ فَلَنِعۡمَ الۡمُجِيۡبُوۡنَ ۖ﴿۷۵﴾
৩৭-৭৫ : সূরা নূহ্ আমাকে আহ্বান করিয়াছিল, আর আমি কত উত্তম সাড়াদানকারী।
وَنَجَّيۡنٰهُ وَاَهۡلَهٗ مِنَ الۡكَرۡبِ الۡعَظِيۡمِ ۖ﴿۷۶﴾
৩৭-৭৬ : তাহাকে এবং তাহার পরিবারবর্গকে আমি উদ্ধার করিয়াছিলাম মহাসংকট হইতে।
وَجَعَلۡنَا ذُرِّيَّتَهٗ هُمُ الۡبٰقِيۡنَ ۖ﴿۷۷﴾
৩৭-৭৭ : তাহার বংশধরদেরকেই আমি বিদ্যমান রাখিয়াছি বংশপরম্পরায়,
وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِ فِى الۡاٰخِرِيۡنَ ۖ﴿۷۸﴾
৩৭-৭৮ : আমি ইহা পরবর্তীদের স্মরণে রাখিয়াছি।
سَلٰمٌ عَلٰى نُوۡحٍ فِى الۡعٰلَمِيۡنَ ﴿۷۹﴾
৩৭-৭৯ : সকল বিশ্বের মধ্যে সূরা নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক!
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِى الۡمُحۡسِنِيۡنَ ﴿۸۰﴾
৩৭-৮০ : এইভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি,
اِنَّهٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ﴿۸۱﴾
৩৭-৮১ : সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম।
ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا الۡاٰخَرِيۡنَ﴿۸۲﴾
৩৭-৮২ : অন্য সকলকে আমি নিমজ্জিত করিয়াছিলাম।
وَاِنَّ مِنۡ شِيۡعَتِهٖ لَاِبۡرٰهِيۡمَۘ﴿۸۳﴾
৩৭-৮৩ : আর ইব্রাহীম তো তাহার অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত।
اِذۡ جَآءَ رَبَّهٗ بِقَلۡبٍ سَلِيۡمٍ﴿۸۴﴾
৩৭-৮৪ : স্মরণ কর, সে তাহার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হইয়াছিল বিশুদ্ধচিত্তে;
اِذۡ قَالَ لِاَبِيۡهِ وَقَوۡمِهٖ مَاذَا تَعۡبُدُوۡنَۚ﴿۸۵﴾
৩৭-৮৫ : যখন সে তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, ‘তোমরা কিসের পূজা করিতেছ?
اَٮِٕفۡكًا اٰلِهَةً دُوۡنَ اللّٰهِ تُرِيۡدُوۡنَؕ﴿۸۶﴾
৩৭-৮৬ : ‘তােমরা কি আল্লাহ্র পরিবর্তে অলীক ইলাহ্গুলিকে চাও ?
فَمَا ظَنُّكُمۡ بِرَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَ﴿۸۷﴾
৩৭-৮৭ : ‘জগতসমূহের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কী?’
فَنَظَرَ نَظۡرَةً فِى النُّجُوۡمِۙ ﴿۸۸﴾
৩৭-৮৮ : অতঃপর সে তারকারাজির দিকে একবার তাকাইল
فَقَالَ اِنِّىۡ سَقِيۡمٌ﴿۸۹﴾
৩৭-৮৯ : এবং বলিল, ‘আমি অসুস্থ।’
فَتَوَلَّوۡا عَنۡهُ مُدۡبِرِيۡنَ﴿۹۰﴾
৩৭-৯০ : অতঃপর উহারা তাহাকে পশ্চাতে রাখিয়া চলিয়া গেল।
فَرَاغَ اِلٰٓى اٰلِهَتِهِمۡ فَقَالَ اَلَا تَاۡكُلُوۡنَۚ﴿۹۱﴾
৩৭-৯১ : পরে সে সন্তর্পণে উহাদের দেবতাগুলির নিকট গেল এবং বলিল, ‘তোমরা খাদ্য গ্রহণ করিতেছ না কেন?’
مَا لَـكُمۡ لَا تَنۡطِقُوۡنَ﴿۹۲﴾
৩৭-৯২ : ‘তোমাদের কী হইয়াছে যে, তোমরা কথা বল না?’
فَرَاغَ عَلَيۡهِمۡ ضَرۡبًۢا بِالۡيَمِيۡنِ﴿۹۳﴾
৩৭-৯৩ : অতঃপর সে উহাদের উপর সবলে আঘাত হানিল।
فَاَقۡبَلُوۡۤا اِلَيۡهِ يَزِفُّوۡنَ﴿۹۴﴾
৩৭-৯৪ : তখন ঐ লোকগুলি তাহার দিকে ছুটিয়া আসিল।
قَالَ اَتَعۡبُدُوۡنَ مَا تَنۡحِتُوۡنَۙ﴿۹۵﴾
৩৭-৯৫ : সে বলিল, ‘তোমরা নিজেরা যাহাদেরকে খোদাই করিয়া নির্মাণ কর তোমরা কি তাহাদেরই পূজা কর?
وَاللّٰهُ خَلَقَكُمۡ وَمَا تَعۡمَلُوۡنَ﴿۹۶﴾
৩৭-৯৬ : ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করিয়াছেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যাহা তৈরি কর তাহাও।’
قَالُوا ابۡنُوۡا لَهٗ بُنۡيَانًا فَاَلۡقُوۡهُ فِى الۡجَحِيۡمِ ﴿۹۷﴾
৩৭-৯৭ : উহারা বলিল, ‘ইহার জন্য এক ইমারত নির্মাণ কর, অতঃপর ইহাকে জ্বলন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ কর।’
فَاَرَادُوۡا بِهٖ كَيۡدًا فَجَعَلۡنٰهُمُ الۡاَسۡفَلِيۡنَ﴿۹۸﴾
৩৭-৯৮ : উহারা তাহার বিরুদ্ধে চক্রান্তের সংকল্প করিয়াছিল; কিন্তু আমি উহাদেরকে অতিশয় হেয় করিয়া দিলাম।
وَقَالَ اِنِّىۡ ذَاهِبٌ اِلٰى رَبِّىۡ سَيَهۡدِيۡنِ﴿۹۹﴾
৩৭-৯৯ : সে বলিল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চলিলাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত করিবেন;
رَبِّ هَبۡ لِىۡ مِنَ الصّٰلِحِيۡنَ﴿۱۰۰﴾
৩৭-১০০ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর।’
فَبَشَّرۡنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِيۡمٍ﴿۱۰۱﴾
৩৭-১০১ : অতঃপর আমি তাহাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعۡىَ قَالَ يٰبُنَىَّ اِنِّىۡۤ اَرٰى فِى الۡمَنَامِ اَنِّىۡۤ اَذۡبَحُكَ فَانْظُرۡ مَاذَا تَرٰىؕ قَالَ يٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ سَتَجِدُنِىۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِيۡنَ ﴿۱۰۲﴾
৩৭-১০২ : অতঃপর সে যখন তাহার পিতার সঙ্গে কাজ করিবার মত বয়সে উপনীত হইল তখন ইবরাহিম বলিল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নের দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করিতেছি, এখন তোমার অভিমত কি বল?’ সে বলিল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যাহা আদিষ্ট হইয়াছেন তাহাই করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাইবেন।’
فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَتَلَّهٗ لِلۡجَبِيۡنِۚ﴿۱۰۳﴾
৩৭-১০৩ : যখন তাহারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিল এবং ইব্রাহীম তাহার পুত্রকে কাত করিয়া শায়িত করিল,
وَنَادَيۡنٰهُ اَنۡ يّٰۤاِبۡرٰهِيۡمُۙ﴿۱۰۴﴾
৩৭-১০৪ : তখন আমি তাহাকে আহ্বান করিয়া বলিলাম, ‘হে ইব্রাহীম!
قَدۡ صَدَّقۡتَ الرُّءۡيَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِى الۡمُحۡسِنِيۡنَ ﴿۱۰۵﴾
৩৭-১০৫ : ‘তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করিলে!’ - এইভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি।
اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡبَلٰٓؤُا الۡمُبِيۡنُ﴿۱۰۶﴾
৩৭-১০৬ : নিশ্চয়ই ইহা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা।
وَفَدَيۡنٰهُ بِذِبۡحٍ عَظِيۡمٍ﴿۱۰۷﴾
৩৭-১০৭ : আমি তাহাকে মুক্ত করিলাম এক কুরবানীর বিনিময়ে।
وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِ فِى الۡاٰخِرِيۡنَۖ ﴿۱۰۸﴾
৩৭-১০৮ : আমি ইহা পরবর্তীদের স্মরণে রাখিয়াছি।
سَلٰمٌ عَلٰٓى اِبۡرٰهِيۡمَ﴿۱۰۹﴾
৩৭-১০৯ : ইব্রাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
كَذٰلِكَ نَجۡزِى الۡمُحۡسِنِيۡنَ ﴿۱۱۰﴾
৩৭-১১০ : এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি।
اِنَّهٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ﴿۱۱۱﴾
৩৭-১১১ : নিশ্চয়ই সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম;
وَبَشَّرۡنٰهُ بِاِسۡحٰقَ نَبِيًّا مِّنَ الصّٰلِحِيۡنَ﴿۱۱۲﴾
৩৭-১১২ : আমি তাহাকে সুসংবাদ দিয়াছিলাম ইস্হাকের, সে ছিল এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম,
وَبٰرَكۡنَا عَلَيۡهِ وَعَلٰٓى اِسۡحٰقَؕ وَ مِنۡ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحۡسِنٌ وَّظَالِمٌ لِّنَفۡسِهٖ مُبِيۡنٌ﴿۱۱۳﴾
৩৭-১১৩ : আমি তাহাকে বরকত দান করিয়াছিলাম এবং ইস্হাককেও; তাহাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী।
وَلَقَدۡ مَنَنَّا عَلٰى مُوۡسٰى وَهٰرُوۡنَۚ ﴿۱۱۴﴾
৩৭-১১৪ : আমি অনুগ্রহ করিয়াছিলাম মূসা ও হারূনের প্রতি,
وَنَجَّيۡنٰهُمَا وَقَوۡمَهُمَا مِنَ الۡكَرۡبِ الۡعَظِيۡمِۚ﴿۱۱۵﴾
৩৭-১১৫ : এবং তাহাদেরকে এবং তাহাদের সম্প্রদায়কে আমি উদ্ধার করিয়াছিলাম মহাসংকট হইতে।
وَنَصَرۡنٰهُمۡ فَكَانُوۡا هُمُ الۡغٰلِبِيۡنَۚ﴿۱۱۶﴾
৩৭-১১৬ : আমি সাহায্য করিয়াছিলাম তাহাদেরকে ফলে তাহারাই হইয়াছিল বিজয়ী।
وَاٰتَيۡنٰهُمَا الۡكِتٰبَ الۡمُسۡتَبِيۡنَۚ﴿۱۱۷﴾
৩৭-১১৭ : আমি উভয়কে দিয়াছিলাম বিশদ কিতাব।
وَهَدَيۡنٰهُمَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِيۡمَۚ﴿۱۱۸﴾
৩৭-১১৮ : এবং তাহাদেরকে আমি পরিচালিত করিয়াছিলাম সরল পথে।
وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِمَا فِى الۡاٰخِرِيۡنَۙ ﴿۱۱۹﴾
৩৭-১১৯ : আমি তাহাদের উভয়কে পরবর্তীদের স্মরণে রাখিয়াছি।
سَلٰمٌ عَلٰى مُوۡسٰى وَهٰرُوۡنَ﴿۱۲۰﴾
৩৭-১২০ : মূসা ও হারূনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক!
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِى الۡمُحۡسِنِيۡنَ ﴿۱۲۱﴾
৩৭-১২১ : এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি।
اِنَّهُمَا مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ﴿۱۲۲﴾
৩৭-১২২ : তাহারা উভয়েই ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
وَاِنَّ اِلۡيَاسَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِيۡنَؕ﴿۱۲۳﴾
৩৭-১২৩ : ইল্ইয়াসও ছিল রাসূলদের একজন।
اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اَلَا تَتَّقُوۡنَ﴿۱۲۴﴾
৩৭-১২৪ : স্মরণ কর, সে তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা কি সাবধান হইবে না?
اَتَدۡعُوۡنَ بَعۡلًا وَّتَذَرُوۡنَ اَحۡسَنَ الۡخٰلِقِيۡنَۙ ﴿۱۲۵﴾
৩৭-১২৫ : ‘তোমরা কি বা‘আলকে ডাকিবে এবং পরিত্যাগ করিবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা -
اللّٰهَ رَبَّكُمۡ وَرَبَّ اٰبَآٮِٕكُمُ الۡاَوَّلِيۡنَ﴿۱۲۶﴾
৩৭-১২৬ : আল্লাহ্কে, যিনি প্রতিপালক তোমাদের - প্রতিপালক তোমাদের প্রাক্তন পূর্বপুরুষদের ?’
فَكَذَّبُوۡهُ فَاِنَّهُمۡ لَمُحۡضَرُوۡنَۙ﴿۱۲۷﴾
৩৭-১২৭ : কিন্তু উহারা তাহাকে মিথ্যাবাদী বলিয়াছিল, কাজেই উহাদেরকে অবশ্যই শাস্তির জন্য উপস্থিত করা হইবে।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الۡمُخۡلَصِيۡنَ﴿۱۲۸﴾
৩৭-১২৮ : তবে আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِ فِى الۡاٰخِرِيۡنَۙ ﴿۱۲۹﴾
৩৭-১২৯ : আমি ইহা পরবর্তীদের স্মরণে রাখিয়াছি।
سَلٰمٌ عَلٰٓى اِلۡ يَاسِيۡنَ﴿۱۳۰﴾
৩৭-১৩০ : ইল্ইয়াসিনের উপর শান্তি বর্ষিত হউক।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِى الۡمُحۡسِنِيۡنَ ﴿۱۳۱﴾
৩৭-১৩১ : এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি।
اِنَّهٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ﴿۱۳۲﴾
৩৭-১৩২ : সে তো ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম।
وَاِنَّ لُوۡطًا لَّمِنَ الۡمُرۡسَلِيۡنَؕ﴿۱۳۳﴾
৩৭-১৩৩ : লূতও ছিল রাসূলদের একজন।
اِذۡ نَجَّيۡنٰهُ وَاَهۡلَهٗۤ اَجۡمَعِيۡنَۙ﴿۱۳۴﴾
৩৭-১৩৪ : আমি তাহাকে ও তাহার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করিয়াছিলাম -
اِلَّا عَجُوۡزًا فِى الۡغٰبِرِيۡنَ ﴿۱۳۵﴾
৩৭-১৩৫ : এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
ثُمَّ دَمَّرۡنَا الۡاٰخَرِيۡنَ﴿۱۳۶﴾
৩৭-১৩৬ : অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিয়াছিলাম।
وَاِنَّكُمۡ لَتَمُرُّوۡنَ عَلَيۡهِمۡ مُّصۡبِحِيۡنَۙ﴿۱۳۷﴾
৩৭-১৩৭ : তোমরা তো উহাদের ধ্বংসাবশেষগুলি অতিক্রম করিয়া থাক সকালে ও
وَبِالَّيۡلِؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ﴿۱۳۸﴾
৩৭-১৩৮ : সন্ধ্যায়। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করিবে না?
وَاِنَّ يُوۡنُسَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِيۡنَؕ﴿۱۳۹﴾
৩৭-১৩৯ : ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন।
اِذۡ اَبَقَ اِلَى الۡفُلۡكِ الۡمَشۡحُوۡنِۙ﴿۱۴۰﴾
৩৭-১৪০ : স্মরণ কর, যখন সে পলায়ন করিয়া বোঝাই নৌযানে পৌঁছিল,
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الۡمُدۡحَضِيۡنَۚ﴿۱۴۱﴾
৩৭-১৪১ : অতঃপর সে লটারীতে যোগদান করিল এবং পরাভূত হইল।
فَالۡتَقَمَهُ الۡحُوۡتُ وَهُوَ مُلِيۡمٌ﴿۱۴۲﴾
৩৭-১৪২ : পরে এক বৃহদাকার মৎস্য তাহাকে গিলিয়া ফেলিল, তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগিল।
فَلَوۡلَاۤ اَنَّهٗ كَانَ مِنَ الۡمُسَبِّحِيۡنَۙ﴿۱۴۳﴾
৩৭-১৪৩ : সে যদি আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করিত,
لَلَبِثَ فِىۡ بَطۡنِهٖۤ اِلٰى يَوۡمِ يُبۡعَثُوۡنَۚ﴿۱۴۴﴾
৩৭-১৪৪ : তাহা হইলে তাহাকে উত্থান দিবস পর্যন্ত থাকিতে হইত উহার উদরে।
فَنَبَذۡنٰهُ بِالۡعَرَآءِ وَهُوَ سَقِيۡمٌۚ﴿۱۴۵﴾
৩৭-১৪৫ : অতঃপর ইউনুসকে আমি নিক্ষেপ করিলাম এক তৃণহীন প্রান্তরে এবং সে ছিল রুগ্ন।
وَاَنۡۢبَتۡنَا عَلَيۡهِ شَجَرَةً مِّنۡ يَّقۡطِيۡنٍۚ﴿۱۴۶﴾
৩৭-১৪৬ : পরে আমি তাহার উপর এক লাউ গাছ উদ্গত করিলাম.
وَاَرۡسَلۡنٰهُ اِلٰى مِائَةِ اَلۡفٍ اَوۡ يَزِيۡدُوۡنَۚ﴿۱۴۷﴾
৩৭-১৪৭ : তাহাকে আমি এক লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করিয়াছিলাম।
فَاٰمَنُوۡا فَمَتَّعۡنٰهُمۡ اِلٰى حِيۡنٍؕ﴿۱۴۸﴾
৩৭-১৪৮ : এবং তাহারা ঈমান আনিয়াছিল; ফলে আমি তাহাদেরকে কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করিতে দিলাম।
فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَلِرَبِّكَ الۡبَنَاتُ وَلَهُمُ الۡبَنُوۡنَۙ﴿۱۴۹﴾
৩৭-১৪৯ : এখন উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘তোমার প্রতিপালকের জন্যই কি রহিয়াছে কন্যা সন্তান এবং উহাদের জন্য পুত্র সন্তান?’
اَمۡ خَلَقۡنَا الۡمَلٰٓٮِٕكَةَ اِنَاثًا وَّهُمۡ شٰهِدُوۡنَ﴿۱۵۰﴾
৩৭-১৫০ : অথবা আমি কি ফিরিশ্তাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করিয়াছিলাম, আর উহারা প্রত্যক্ষ করিতেছিল?
اَلَاۤ اِنَّهُمۡ مِّنۡ اِفۡكِهِمۡ لَيَقُوۡلُوۡنَۙ﴿۱۵۱﴾
৩৭-১৫১ : দেখ উহারা তো মনগড়া কথা বলে যে,
وَلَدَ اللّٰهُۙ وَاِنَّهُمۡ لَـكٰذِبُوۡنَ﴿۱۵۲﴾
৩৭-১৫২ : ‘আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়াছেন!’ উহারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী।
اَصۡطَفَى الۡبَنَاتِ عَلَى الۡبَنِيۡنَؕ﴿۱۵۳﴾
৩৭-১৫৩ : তিনি কি পুত্র সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পসন্দ করিতেন?
مَا لَـكُمۡ كَيۡفَ تَحۡكُمُوۡنَ﴿۱۵۴﴾
৩৭-১৫৪ : তোমাদের কী হইয়াছে, তোমরা কিরূপ বিচার কর?
اَفَلَا تَذَكَّرُوۡنَۚ﴿۱۵۵﴾
৩৭-১৫৫ : তবে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করিবে না?
اَمۡ لَـكُمۡ سُلۡطٰنٌ مُّبِيۡنٌۙ﴿۱۵۶﴾
৩৭-১৫৬ : তোমাদের কী সুস্পষ্ট দলীল - প্রমাণ আছে?
فَاۡتُوۡا بِكِتٰبِكُمۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ صٰدِقِيۡنَ﴿۱۵۷﴾
৩৭-১৫৭ : তোমরা সত্যবাদী হইলে তোমাদের কিতাব উপস্থিত কর।
وَجَعَلُوۡا بَيۡنَهٗ وَبَيۡنَ الۡجِنَّةِ نَسَبًا ؕ وَلَقَدۡ عَلِمَتِ الۡجِنَّةُ اِنَّهُمۡ لَمُحۡضَرُوۡنَۙ﴿۱۵۸﴾
৩৭-১৫৮ : উহারা আল্লাহ্ ও আল জিন জাতির মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থির করিয়াছে, অথচ আল জিনেরা জানে তাহাদেরকেও নিশ্চয়ই উপস্থিত করা হইবে শাস্তির জন্য।
سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يَصِفُوۡنَۙ﴿۱۵۹﴾
৩৭-১৫৯ : উহারা যাহা বলে তাহা হইতে আল্লাহ্ পবিত্র, মহান -
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الۡمُخۡلَصِيۡنَ﴿۱۶۰﴾
৩৭-১৬০ : আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দাগণ ব্যতিত,
فَاِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُوۡنَۙ﴿۱۶۱﴾
৩৭-১৬১ : তোমরা এবং তোমরা যাহাদের ‘ইবাদত কর উহারা -
مَاۤ اَنۡـتُمۡ عَلَيۡهِ بِفٰتِنِيۡنَۙ﴿۱۶۲﴾
৩৭-১৬২ : তোমরা কাহাকেও আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করিতে পারিবে না -
اِلَّا مَنۡ هُوَ صَالِ الۡجَحِيۡمِ﴿۱۶۳﴾
৩৭-১৬৩ : কেবল প্রজ্বলিত অগ্নিতে প্রবেশকারীকে ব্যতীত।
وَمَا مِنَّاۤ اِلَّا لَهٗ مَقَامٌ مَّعۡلُوۡمٌۙ﴿۱۶۴﴾
৩৭-১৬৪ : আমাদের প্রত্যেকের জন্যই নির্ধারিত স্থান রহিয়াছে,
وَّاِنَّا لَـنَحۡنُ الصَّآفُّوۡنَۚ﴿۱۶۵﴾
৩৭-১৬৫ : আমরা তো সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান
وَاِنَّا لَـنَحۡنُ الۡمُسَبِّحُوۡنَ﴿۱۶۶﴾
৩৭-১৬৬ : ‘এবং আমরা অবশ্যই তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।’
وَاِنۡ كَانُوۡا لَيَقُوۡلُوۡنَۙ﴿۱۶۷﴾
৩৭-১৬৭ : উহারাই তো বলিয়া আসিয়াছে,
لَوۡ اَنَّ عِنۡدَنَا ذِكۡرًا مِّنَ الۡاَوَّلِيۡنَۙ﴿۱۶۸﴾
৩৭-১৬৮ : ‘পূর্ববর্তীদের কিতাবের মত যদি আমাদের কোন কিতাব থাকিত,
لَـكُنَّا عِبَادَ اللّٰهِ الۡمُخۡلَصِيۡنَ﴿۱۶۹﴾
৩৭-১৬৯ : ‘আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দা হইতাম।’
فَكَفَرُوۡا بِهٖ فَسَوۡفَ يَعۡلَمُوۡنَ﴿۱۷۰﴾
৩৭-১৭০ : কিন্তু উহারা কুরআন প্রত্যাখ্যান করিল এবং শীঘ্রই উহারা জানিতে পারিবে;
وَلَقَدۡ سَبَقَتۡ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الۡمُرۡسَلِيۡنَ ۖۚ﴿۱۷۱﴾
৩৭-১৭১ : আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হইয়াছে যে,
اِنَّهُمۡ لَهُمُ الۡمَنۡصُوۡرُوۡنَ ﴿۱۷۲﴾
৩৭-১৭২ : অবশ্যই তাহারা সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে,
وَاِنَّ جُنۡدَنَا لَهُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ﴿۱۷۳﴾
৩৭-১৭৩ : এবং আমার বাহিনীই হইবে বিজয়ী।
فَتَوَلَّ عَنۡهُمۡ حَتّٰى حِيۡنٍۙ﴿۱۷۴﴾
৩৭-১৭৪ : অতএব কিছু কালের জন্য তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর।
وَاَبۡصِرۡهُمۡ فَسَوۡفَ يُبۡصِرُوۡنَ﴿۱۷۵﴾
৩৭-১৭৫ : তুমি উহাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই উহারা প্রত্যক্ষ করিবে।
اَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُوۡنَ﴿۱۷۶﴾
৩৭-১৭৬ : উহারা কি তবে আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে চায়?
فَاِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمۡ فَسَآءَ صَبَاحُ الۡمُنۡذَرِيۡنَ﴿۱۷۷﴾
৩৭-১৭৭ : তাহাদের আঙিনায় যখন শাস্তি নামিয়া আসিবে তখন সতর্কীকৃতদের প্রভাত হইবে কত মন্দ!
وَتَوَلَّ عَنۡهُمۡ حَتّٰى حِيۡنٍۙ﴿۱۷۸﴾
৩৭-১৭৮ : অতএব কিছু কালের জন্য তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর।
وَّاَبۡصِرۡ فَسَوۡفَ يُبۡصِرُوۡنَ﴿۱۷۹﴾
৩৭-১৭৯ : তুমি উহাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই উহারা প্রত্যক্ষ করিবে।
سُبۡحٰنَ رَبِّكَ رَبِّ الۡعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوۡنَۚ﴿۱۸۰﴾
৩৭-১৮০ : উহারা যাহা আরোপ করে তাহা হইতে পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী।
وَسَلٰمٌ عَلَى الۡمُرۡسَلِيۡنَۚ﴿۱۸۱﴾
৩৭-১৮১ : শান্তি বর্ষিত হউক রাসূলদের প্রতি!
وَالۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَ﴿۱۸۲﴾
৩৭-১৮২ : আর সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই প্রাপ্য।