দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন২৬-১ : তা - সীন - মীম।
২৬-২ : এইগুলি সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
২৬-৩ : উহারা মু’মিন হইতেছে না বলিয়া তুমি হয়ত মনোকষ্টে আত্মবিনাশী হইয়া পড়িবে।
২৬-৪ : আমি ইচ্ছা করিলে আকাশ হইতে উহাদের নিকট এক নিদর্শন প্রেরণ করিতাম, ফলে উহাদের গ্রীবা বিনত হইয়া পড়িত উহার প্রতি।
২৬-৫ : যখনই উহাদের কাছে দয়াময়ের নিকট হইতে কোন নূতন উপদেশ আসে, তখনই উহারা উহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয়।
২৬-৬ : উহারা তো অস্বীকার করিয়াছে। সুতরাং উহারা যাহা লইয়া ঠাট্টা - বিদ্রপ করিত তাহার প্রকৃত বার্তা তাহাদের নিকট শীঘ্রই আসিয়া পড়িবে।
২৬-৭ : উহারা কি যমীনের দিকে লক্ষ্য করে না? আমি উহাতে প্রত্যেক প্রকারের কত উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদ্গত করিয়াছি।
২৬-৮ : নিশ্চয় ইহাতে আছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-৯ : নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১০ : স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মূসাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘তুমি জালিম সম্প্রদায়ের নিকট যাও,
২৬-১১ : ‘ফির‘আওনের সম্প্রদায়ের নিকট; উহারা কি ভয় করে না?’
২৬-১২ : তখন সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমি আশংকা করি যে, উহারা আমাকে অস্বীকার করিবে,
২৬-১৩ : ‘এবং আমার হৃদয় সংকুচিত হইয়া পড়িতেছে, আর আমার জিহ্বা তো সাবলীল নাই ! সুতরাং হারূনের প্রতিও প্রত্যাদেশ পাঠাও।
২৬-১৪ : ‘আমার বিরুদ্ধে তো উহাদের এক অভিযোগ আছে, আমি আশংকা করি উহারা আমাকে হত্যা করিবে।’
২৬-১৫ : আল্লাহ্ বলিলেন, ‘না, কখনই নহে, অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনসহ যাও, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, শ্রবণকারী।
২৬-১৬ : ‘অতএব তোমরা উভয়ে ফির‘আওনের নিকট যাও এবং বল, ‘আমরা তো জগতসমূহের প্রতিপালকের রাসূল,
২৬-১৭ : ‘আমাদের সঙ্গে যাইতে দাও বনী ইসরাঈলকে।’
২৬-১৮ : ফির‘আওন বলিল, ‘আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মধ্যে লালন - পালন করি নাই? আর তুমি তো তোমার জীবনের বহু বৎসর আমাদের মধ্যে কাটাইয়াছ,
২৬-১৯ : ‘এবং তুমি তোমার কর্ম যাহা করিবার তাহা তো করিয়াছ ; তুমি অকৃতজ্ঞ।’
২৬-২০ : মূসা বলিল, ‘আমি তো ইহা করিয়াছিলাম তখন, যখন ছিলাম অনবধান।
২৬-২১ : ‘অতঃপর আমি যখন তোমাদের ভয়ে ভীত হইলাম তখন আমি তোমাদের নিকট হইতে পলাইয়া গিয়াছিলাম। তৎপর আমার প্রতিপালক আমাকে জ্ঞান দান করিয়াছেন এবং আমাকে রাসূল করিয়াছেন।
২৬-২২ : ‘আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করিতেছ, তাহা তো এই যে, তুমি বনী ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করিয়াছ।’
২৬-২৩ : ফির‘আওন বলিল, ‘জগতসমূহের প্রতিপালক আবার কী?’
২৬-২৪ : মূসা বলিল, ‘তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।’
২৬-২৫ : ফির‘আওন তাহার পারিষদবর্গকে লক্ষ্য করিয়া বলিল, ‘তোমরা শুনিতেছ তো !’
২৬-২৬ : মূসা বলিল, ‘তিনি তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষগণেরও প্রতিপালক।’
২৬-২৭ : ফির‘আওন বলিল, ‘তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রাসূল তো নিশ্চয়ই পাগল।’
২৬-২৮ : মূসা বলিল, ‘তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক; যদি তোমরা বুঝিতে !’
২৬-২৯ : ফির‘আওন বলিল, ‘তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে ইলাহ্রূপে গ্রহণ কর আমি তোমাকে অবশ্যই কারারুদ্ধ করিব।’
২৬-৩০ : মূসা বলিল, ‘আমি যদি তোমার নিকট কোন স্পষ্ট নিদর্শন আনয়ন করি, তবুও?’
২৬-৩১ : ফির‘আওন বলিল, ‘তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে উহা উপস্থিত কর।’
২৬-৩২ : অতঃপর মূসা তাহার লাঠি নিক্ষেপ করিলে তৎক্ষণাৎ উহা এক সাক্ষাৎ অজগর হইল।
২৬-৩৩ : এবং মূসা হাত বাহির করিল আর তৎক্ষণাৎ উহা দর্শকদের দৃষ্টিতে শুভ্র উজ্জ্বল প্রতিভাত হইল।
২৬-৩৪ : ফির‘আওন তাহার পারিষদবর্গকে বলিল, ‘এ তো এক সুদক্ষ জাদুকর !
২৬-৩৫ : ‘এ তোমাদেরকে তোমাদের দেশ হইতে তাহার জাদুবলে বহিষ্কার করিতে চায়। এখন তোমরা কী করিতে বল?’
২৬-৩৬ : উহারা বলিল, ‘তাহাকে ও তাহার ভ্রাতাকে কিছু অবকাশ দাও এবং নগরে নগরে সংগ্রাহকদেরকে পাঠাও,
২৬-৩৭ : ‘যেন তাহারা তোমার নিকট প্রতিটি অভিজ্ঞ জাদুকর উপস্থিত করে।’
২৬-৩৮ : অতঃপর এক নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ে জাদুকরদেরকে একত্র করা হইল,
২৬-৩৯ : এবং লোকদেরকে বলা হইল, ‘তোমরাও সমবেত হইতেছ কি?
২৬-৪০ : যেন আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করিতে পারি, যদি উহারা বিজয়ী হয়।’
২৬-৪১ : অতঃপর জাদুকরেরা আসিয়া ফিরা‘আওনকে বলিল, ‘আমরা যদি বিজয়ী হই আমাদের জন্য পুরস্কার থাকিবে তো?
২৬-৪২ : ফিরা‘আওন বলিল, ‘হ্যাঁ, তখন তোমরা অবশ্যই আমার ঘনিষ্ঠদের শামিল হইবে।’
২৬-৪৩ : মূসা উহাদেরকে বলিল, ‘তোমাদের যাহা নিক্ষেপ করিবার তাহা নিক্ষেপ কর।’
২৬-৪৪ : অতঃপর উহারা উহাদের রজ্জু ও লাঠি নিক্ষেপ করিল এবং উহারা বলিল, ‘ফির‘আওনের ইয্যতের শপথ! আমরাই বিজয়ী হইব।’
২৬-৪৫ : অতঃপর মূসা তাহার লাঠি নিক্ষেপ করিল, সহসা উহা উহাদের অলীক সৃষ্টিগুলিকে গ্রাস করিতে লাগিল।
২৬-৪৬ : তখন জাদুকরেরা সিজ্দাবনত হইয়া পড়িল।
২৬-৪৭ : এবং বলিল, ‘আমরা ঈমান আনয়ন করিলাম জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রতি -
২৬-৪৮ : ‘যিনি মূসা ও হারূনেরও প্রতিপালক।’
২৬-৪৯ : ফির‘আওন বলিল, ‘কী ! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার পূর্বেই তোমরা উহাতে বিশ্বাস করিলে? সে - ই তো তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়াছে। শীঘ্রই তোমরা ইহার পরিণাম জানিবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক হইতে কর্তন করিব এবং তোমাদের সকলকে শূলবিদ্ধ করিবই।’
২৬-৫০ : উহারা বলিল, ‘কোন ক্ষতি নাই, আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকটই প্রত্যাবর্তন করিব।
২৬-৫১ : ‘আমরা তো আশা করি, আমাদের প্রতিপালক আমাদের অপরাধ মার্জনা করিবেন, কারণ আমরা মু’মিনদের মধ্যে অগ্রণী।’
২৬-৫২ : আমি মূসার প্রতি ওহী করিয়াছিলাম এই মর্মে : ‘আমার বান্দাদেরকে লইয়া রাত্রিকালে বাহির হও, তোমাদের তো পশ্চাদ্ধাবন করা হইবে।’
২৬-৫৩ : অতঃপর ফির‘আওন শহরে শহরে লোক সংগ্রহকারী পাঠাইল,
২৬-৫৪ : এই বলিয়া, ‘ইহারা তো ক্ষুদ্র একটি দল
২৬-৫৫ : এবং ‘উহারা তো আমাদের ক্রোধ উদ্রেক করিয়াছে ;
২৬-৫৬ : এবং আমরা তো সকলেই সদাশংকিত।’
২৬-৫৭ : পরিণামে আমি ফির‘আওন গোষ্ঠীকে বহিষ্কার করিলাম উহাদের উদ্যানরাজি ও প্রস্রবণ হইতে
২৬-৫৮ : এবং ধনভাণ্ডার ও সুরম্য সৌধমালা হইতে।
২৬-৫৯ : এইরূপই ঘটিয়াছিল এবং বনী ইসরাঈলকে করিয়াছিলাম এই সমুদয়ের অধিকারী।
২৬-৬০ : উহারা সূর্যোদয়কালে তাহাদের পশ্চাতে আসিয়া পড়িল।
২৬-৬১ : অতঃপর যখন দুই দল পরস্পরকে দেখিল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলিল, ‘আমরা তো ধরা পড়িয়া গেলাম।’
২৬-৬২ : মূসা বলিল, ‘কখনই নহে ! আমার সঙ্গে আছেন আমার প্রতিপালক ; সত্বর তিনি আমাকে পথনির্দেশ করিবেন।’
২৬-৬৩ : অতঃপর মূসার প্রতি ওহী করিলাম, ‘তোমার যষ্টি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে উহা বিভক্ত হইয়া প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হইয়া গেল ;
২৬-৬৪ : আমি সেখানে উপনীত করিলাম অপর দলটিকে,
২৬-৬৫ : এবং আমি উদ্ধার করিলাম মূসা ও তাহার সঙ্গী সকলকে,
২৬-৬৬ : তৎপর নিমজ্জিত করিলাম অপর দলটিকে।
২৬-৬৭ : ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-৬৮ : তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-৬৯ : উহাদের নিকট ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত বর্ণনা কর।
২৬-৭০ : সে যখন তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা কিসের ‘ইবাদত কর?’
২৬-৭১ : উহারা বলিল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি এবং আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে উহাদের পূজায় নিরত থাকিব।’
২৬-৭২ : সে বলিল, ‘তোমরা প্রার্থনা করিলে উহারা কি শুনে?’
২৬-৭৩ : ‘অথবা উহারা কি তোমাদের উপকার কিংবা অপকার করিতে পারে?’
২৬-৭৪ : উহারা বলিল, ‘না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এইরূপই করিতে দেখিয়াছি।’
২৬-৭৫ : সে বলিল, ‘তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, কিসের পূজা করিতেছ,
২৬-৭৬ : ‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা?
২৬-৭৭ : ‘উহারা সকলেই আমার শত্রু, জগতসমূহের প্রতিপালক ব্যতীত;
২৬-৭৮ : ‘যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন।
২৬-৭৯ : ‘তিনিই আমাকে দান করেন আহার্য ও পানীয়।
২৬-৮০ : ‘এবং রোগাক্রান্ত হইলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন ;
২৬-৮১ : ‘এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাইবেন, অতঃপর পুনর্জীবিত করিবেন।
২৬-৮২ : ‘এবং আশা করি, তিনি কিয়ামত দিবসে আমার অপরাধ মার্জনা করিয়া দিবেন।
২৬-৮৩ : ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে জ্ঞান দান কর এবং সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর।
২৬-৮৪ : ‘আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী কর,
২৬-৮৫ : ‘এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর,
২৬-৮৬ : ‘আর আমার পিতাকে ক্ষমা কর, তিনি তো পথভ্রষ্টদের শামিল ছিলেন।
২৬-৮৭ : ‘এবং আমাকে লাঞ্ছিত করিও না পুনরুত্থান দিবসে
২৬-৮৮ : ‘যেদিন ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি কোন কাজে আসিবে না ;
২৬-৮৯ : ‘সেদিন উপকৃত হইবে কেবল সে, যে আল্লাহ্র নিকট আসিবে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ লইয়া।’
২৬-৯০ : মুত্তাকীদের নিকটবর্তী করা হইবে জান্নাত,
২৬-৯১ : এবং পথভ্রষ্টদের জন্য উন্মোচিত করা হইবে জাহান্নাম ;
২৬-৯২ : উহাদেরকে বলা হইবে, ‘তাহারা কোথায়, তোমরা যাহাদের ‘ইবাদত করিতে -
২৬-৯৩ : ‘আল্লাহ্র পরিবর্তে? উহারা কি তোমাদের সাহায্য করিতে পারে অথবা উহারা কি আত্মরক্ষা করিতে সক্ষম?
২৬-৯৪ : অতঃপর উহাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হইবে অধোমুখী করিয়া,
২৬-৯৫ : এবং ইব্লীসের বাহিনীর সকলকেও।
২৬-৯৬ : উহারা সেখানে বিতর্কে লিপ্ত হইয়া বলিবে,
২৬-৯৭ : আল্লাহ্র শপথ ! আমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিলাম,
২৬-৯৮ : ‘যখন আমরা তোমাদেরকে জগতসমূহের প্রতিপালকের সমকক্ষ গণ্য করিতাম।
২৬-৯৯ : ‘আমাদেরকে দুষ্কৃতিকারীরাই বিভ্রান্ত করিয়াছিল।
২৬-১০০ : ‘পরিণামে আমাদের কোন সুপারিশকারী নাই।
২৬-১০১ : ‘এবং কোন সহৃদয় বন্ধুও নাই।
২৬-১০২ : ‘হায়, যদি আমাদের একবার প্রত্যাবর্তনের সুযোগ ঘটিত, তাহা হইলে আমরা মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাইতাম!
২৬-১০৩ : ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে, কিন্তু উহাদের অধিকাংশ মু’মিন নহে।
২৬-১০৪ : তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১০৫ : সূরা নূহের সম্প্রদায় রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করিয়াছিল।
২৬-১০৬ : যখন উহাদের ভ্রাতা সূরা নূহ্ উহাদেরকে বলিল, ‘তোমরা কি সাবধান হইবে না?
২৬-১০৭ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
২৬-১০৮ : অতএব তােমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
২৬-১০৯ : ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না ; আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে।
২৬-১১০ : ‘সুতরাং তােমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।’
২৬-১১১ : উহারা বলিল, ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিব অথচ ইতরজনেরা তোমার অনুসরণ করিতেছে?’
২৬-১১২ : সূরা নূহ্ বলিল, ‘উহারা কী করিত তাহা আমার জানা নাই।’
২৬-১১৩ : উহাদের হিসাব গ্রহণ তো আমার প্রতিপালকেরই কাজ; যদি তোমরা বুঝিতে!
২৬-১১৪ : ‘মু’মিনদেরকে তাড়াইয়া দেওয়া আমার কাজ নহে।
২৬-১১৫ : ‘আমি তো কেবল একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’
২৬-১১৬ : উহারা বলিল, ‘হে সূরা নূহ্ ! তুমি যদি নিবৃত্ত না হও তবে তুমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে নিহতদের শামিল হইবে।’
২৬-১১৭ : সূরা নূহ্ বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমার সম্প্রদায়ই তো আমাকে অস্বীকার করিতেছে।
২৬-১১৮ : ‘সুতরাং তুমি আমার ও উহাদের মধ্যে স্পষ্ট মীমাংসা করিয়া দাও এবং আমাকে ও আমার সঙ্গে যেসব মু’মিন আছে, তাহাদেরকে রক্ষা কর।’
২৬-১১৯ : অতঃপর আমি তাহাকে ও তাহার সঙ্গে যাহারা ছিল, তাহাদেরকে রক্ষা করিলাম বোঝাই নৌযানে।
২৬-১২০ : তৎপর অবশিষ্ট সকলকে নিমজ্জিত করিলাম।
২৬-১২১ : ইহাতে অবশ্যই রহিয়াছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নহে।
২৬-১২২ : এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১২৩ : ‘আদ সম্প্রদায় রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছিল।
২৬-১২৪ : যখন উহাদের ভ্রাতা হূদ উহাদেরকে বলিল, ‘তোমরা কি সাবধান হইবে না?
২৬-১২৫ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
২৬-১২৬ : অতএব আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
২৬-১২৭ : ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আছে।
২৬-১২৮ : ‘তোমরা কি প্রতিটি উচ্চ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করিতেছ নিরর্থক?
২৬-১২৯ : ‘আর তোমরা প্রাসোয়াদ নির্মাণ করিতেছ এই মনে করিয়া যে, তোমরা চিরস্থায়ী হইবে।
২৬-১৩০ : ‘এবং যখন তোমরা আঘাত হান তখন আঘাত হানিয়া থাক কঠোরভাবে।
২৬-১৩১ : অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
২৬-১৩২ : ‘ভয় কর তাঁহাকে যিনি তোমাদেরকে দান করিয়াছেন সেই সমুদয়, যাহা তোমরা জান।
২৬-১৩৩ : ‘তিনি তোমাদেরকে দান করিয়াছেন চতুষ্পদ জন্তু ও সন্তান - সন্ততি।
২৬-১৩৪ : ‘উদ্যান ও প্রস্রবণ;
২৬-১৩৫ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য আশংকা করি মহাদিবসের শাস্তির।’
২৬-১৩৬ : উহারা বলিল, ‘তুমি উপদেশ দাও অথবা না - ই দাও, উভয়ই আমাদের জন্য সমান।
২৬-১৩৭ : ইহা তো পূর্ববর্তীদেরই স্বভাব।
২৬-১৩৮ : ‘আমরা শাস্তিপ্রাপ্তদের শামিল নই।’
২৬-১৩৯ : অতঃপর উহারা তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিল এবং আমি উহাদেরকে ধ্বংস করিলাম। ইহাতে অবশ্যই আছে নিদর্শন ; কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-১৪০ : এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১৪১ : সামূদ সম্প্রদায় রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছিল।
২৬-১৪২ : যখন উহাদের ভ্রাতা সালিহ্ উহাদেরকে বলিল, ‘তোমরা কি সাবধান হইবে না?
২৬-১৪৩ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
২৬-১৪৪ : ‘অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর,
২৬-১৪৫ : ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে।
২৬-১৪৬ : ‘তোমাদেরকে কি নিরাপদ অবস্থায় ছাড়িয়া রাখা হইবে, যাহা এইখানে আছে উহাতে -
২৬-১৪৭ : ‘উদ্যানে, প্রস্রবণে
২৬-১৪৮ : ‘ও শস্যক্ষেত্রে এবং সুকোমল গুচ্ছবিশিষ্ট খর্জুর বাগানে?
২৬-১৪৯ : ‘তোমরা তো নৈপুণ্যের সঙ্গে পাহাড় কাটিয়া গৃহ নির্মাণ করিতেছ।
২৬-১৫০ : ‘তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
২৬-১৫১ : ‘এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য করিও না ;
২৬-১৫২ : ‘যাহারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, শান্তি স্থাপন করে না।’
২৬-১৫৩ : উহারা বলিল, ‘তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
২৬-১৫৪ : ‘তুমি তো আমাদের মত একজন মানুষ, কাজেই তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে একটি নিদর্শন উপস্থিত কর।’
২৬-১৫৫ : সালিহ্ বলিল, ‘এই একটি উষ্ট্রী, ইহার জন্য আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্য আছে নির্ধারিত দিনে পানি পানের পালা ;
২৬-১৫৬ : ‘এবং উহার কোন অনিষ্ট সাধন করিও না; করিলে মহাদিবসের শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হইবে।’
২৬-১৫৭ : কিন্তু উহারা উহাকে বধ করিল, পরিণামে উহারা অনুতপ্ত হইল।
২৬-১৫৮ : অতঃপর শাস্তি উহাদেরকে গ্রাস করিল। ইহাতে অবশ্যই রহিয়াছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-১৫৯ : তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১৬০ : লূতের সম্প্রদায় রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছিল,
২৬-১৬১ : যখন উহাদের ভ্রাতা লূত উহাদেরকে বলিল, তোমারা কি সাবধান হইবে না?
২৬-১৬২ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
২৬-১৬৩ : সুতরাং তােমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
২৬-১৬৪ : ‘আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে।
২৬-১৬৫ : ‘বিশ্বজগতের মধ্যে তো তোমরাই পুরুষের সঙ্গে উপগত হও,
২৬-১৬৬ : ‘এবং তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করিয়াছেন তাহাদেরকে তোমরা বর্জন করিয়া থাক। তোমরা তো সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’
২৬-১৬৭ : উহারা বলিল, ‘হে লূত ! তুমি যদি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তুমি নির্বাসিত হইবে।’
২৬-১৬৮ : লূত বলিল, ‘আমি তো তোমাদের এই কর্মকে ঘৃণা করি।
২৬-১৬৯ : ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে এবং আমার পরিবার - পরিজনকে, উহারা যাহা করে, তাহা হইতে রক্ষা কর।
২৬-১৭০ : অতঃপর আমি তাহাকে এবং তাহার পরিবার - পরিজন সকলকে রক্ষা করিলাম
২৬-১৭১ : এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
২৬-১৭২ : অতঃপর অপর সকলকে ধ্বংস করিলাম।
২৬-১৭৩ : তাহাদের উপর শাস্তিমূলক বৃষ্টি বর্ষণ করিয়াছিলাম, ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।
২৬-১৭৪ : ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-১৭৫ : তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১৭৬ : আয়কাবাসীরা রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছিল,
২৬-১৭৭ : যখন শু‘আয়ব উহাদেরকে বলিয়াছিল, তোমরা কি সাবধান হইবে না?
২৬-১৭৮ : ‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
২৬-১৭৯ : ‘সুতরাং তােমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ও আমার আনুগত্য কর।
২৬-১৮০ : ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না। আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে।
২৬-১৮১ : ‘তোমরা মাপে পূর্ণ মাত্রায় দিবে ; যাহারা মাপে ঘাটতি করে তোমরা তাহাদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।
২৬-১৮২ : ‘এবং ওজন করিবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়।
২৬-১৮৩ : ‘লোকদেরকে তাহাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিবে না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাইবে না।
২৬-১৮৪ : ‘এবং ভয় কর তাঁহাকে যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্বে যাহারা গত হইয়াছে তাহাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন।’
২৬-১৮৫ : উহারা বলিল, ‘তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত ;
২৬-১৮৬ : ‘তুমি আমাদের মতই একজন মানুষ। আমরা মনে করি, তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্যতম।
২৬-১৮৭ : ‘তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে আকাশের এক খণ্ড আমাদের উপর ফেলিয়া দাও।’
২৬-১৮৮ : সে বলিল, ‘আমার প্রতিপালক ভাল জানেন তোমরা যাহা কর।’
২৬-১৮৯ : অতঃপর উহারা তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিল, পরে উহাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি গ্রাস করিল। ইহা তো ছিল এক ভীষণ দিবসের শাস্তি !
২৬-১৯০ : ইহাতে অবশ্যই রহিয়াছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে।
২৬-১৯১ : এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬-১৯২ : নিশ্চয়ই আল - কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালক হইতে অবতীর্ণ।
২৬-১৯৩ : জিব্রাঈল ইহা লইয়া অবতরণ করিয়াছে
২৬-১৯৪ : তোমার হৃদয়ে, যাহাতে তুমি সতর্ককারী হইতে পার।
২৬-১৯৫ : অবতীর্ণ করা হইয়াছে সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
২৬-১৯৬ : পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে অবশ্যই ইহার উল্লেখ আছে।
২৬-১৯৭ : বনী ইস্রাঈলের পণ্ডিতগণ ইহা অবগত আছে - ইহা কি উহাদের জন্য নিদর্শন নহে?
২৬-১৯৮ : আমি যদি ইহা কোন আ‘জামীর প্রতি অবতীর্ণ করিতাম
২৬-১৯৯ : এবং উহা সে উহাদের নিকট পাঠ করিত, তবে উহারা উহাতে ঈমান আনিত না ;
২৬-২০০ : এইভাবে আমি অপরাধীদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করিয়াছি।
২৬-২০১ : উহারা ইহাতে ঈমান আনিবে না যতক্ষণ না উহারা মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ করে;
২৬-২০২ : ফলে তাহা উহাদের নিকট আসিয়া পড়িবে আকস্মিকভাবে ; উহারা কিছুই বুঝিতে পারিবে না।
২৬-২০৩ : তখন উহারা বলিবে, ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেওয়া হইবে?’
২৬-২০৪ : উহারা কি তবে আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে চায়?
২৬-২০৫ : তুমি ভাবিয়া দেখ যদি আমি তাহাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগ - বিলাস করিতে দেই,
২৬-২০৬ : এবং পরে উহাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছিল তাহা উহাদের নিকট আসিয়া পড়ে,
২৬-২০৭ : তখন উহাদের ভোগ - বিলাসের উপকরণ উহাদের কোন কাজে আসিবে কি?
২৬-২০৮ : আমি এমন কোন জনপদ ধ্বংস করি নাই যাহার জন্য সতর্ককারী ছিল না ;
২৬-২০৯ : ইহা উপদেশস্বরূপ, আর আমি অন্যায়াচারী নই,
২৬-২১০ : শয়তানেরা উহাসহ অবতীর্ণ হয় নাই।
২৬-২১১ : উহারা এই কাজের যোগ্য নয় এবং উহারা ইহার সামর্থ্যও রাখে না।
২৬-২১২ : উহাদেরকে তো শ্রবণের সুযোগ হইতে দূরে রাখা হইয়াছে।
২৬-২১৩ : অতএব তুমি অন্য কোন ইলাহ্কে আল্লাহ্র সঙ্গে ডাকিও না, ডাকিলে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হইবে।
২৬-২১৪ : তোমার নিকট - আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করিয়া দাও।
২৬-২১৫ : এবং যাহারা তোমার অনুসরণ করে সেই সমস্ত মু’মিনদের প্রতি বিনয়ী হও।
২৬-২১৬ : উহারা যদি তোমার অবাধ্যতা করে, তুমি বলিও, ‘তোমরা যাহা কর তাহা হইতে আমি দায়মুক্ত।’
২৬-২১৭ : তুমি নির্ভর কর পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহ্র উপর,
২৬-২১৮ : যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দণ্ডায়মান হও,
২৬-২১৯ : এবং দেখেন সিজ্দাকারীদের সঙ্গে তোমার উঠাবসা।
২৬-২২০ : তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
২৬-২২১ : তোমাদেরকে কি আমি জানাইব কাহার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়?
২৬-২২২ : উহারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট।
২৬-২২৩ : উহারা কান পাতিয়া থাকে এবং উহাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
২৬-২২৪ : এবং কবিদেরকে অনুসরণ করে বিভ্রান্তরাই।
২৬-২২৫ : তুমি কি দেখ না উহারা উদ্ভ্রান্ত হইয়া প্রত্যেক উপত্যকায় ঘুরিয়া বেড়ায়?
২৬-২২৬ : এবং তাহারা তো বলে যাহা তাহারা করে না।
২৬-২২৭ : কিন্তু উহারা ব্যতীত, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে ও অত্যাচারিত হইবার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানিবে কোন্ স্থলে উহারা প্রত্যাবর্তন করিবে।