দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন৬৮-১ : নূন - শপথ কলমের এবং উহারা যাহা লিপিবদ্ধ করে তাহার,
৬৮-২ : তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি উন্মাদ নও।
৬৮-৩ : তোমার জন্য অবশ্যই রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার,
৬৮-৪ : তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।
৬৮-৫ : শীঘ্রই তুমি দেখিবে এবং উহারাও দেখিবে -
৬৮-৬ : তোমাদের মধ্যে কে বিকারগ্রস্ত।
৬৮-৭ : তোমার প্রতিপালক তো সম্যক অবগত আছেন কে তাঁহার পথ হইতে বিচ্যুত হইয়াছে এবং তিনি সম্যক জানেন তাহাদেরকে, যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।
৬৮-৮ : সুতরাং তুমি মিথ্যাচারীদের অনুসরণ করিও না।
৬৮-৯ : উহারা চায় যে, তুমি নমনীয় হও, তাহা হইলে উহারাও নমনীয় হইবে,
৬৮-১০ : এবং অনুসরণ করিও না তাহার - যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত,
৬৮-১১ : পশ্চাতে নিন্দাকারী, যে একের কথা অপরের নিকট লাগাইয়া বেড়ায়,
৬৮-১২ : যে কল্যাণের কার্যে বাধা দান করে, যে সীমালংঘনকারী, পাপিষ্ঠ,
৬৮-১৩ : রূঢ় স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত ;
৬৮-১৪ : এইজন্য যে, সে ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততিতে সমৃদ্ধিশালী।
৬৮-১৫ : উহার নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হইলে সে বলে, ‘ইহা তো সেকালের উপকথা মাত্র।’
৬৮-১৬ : আমি উহার শুঁড় দাগাইয়া দিব।
৬৮-১৭ : আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছি, যেভাবে পরীক্ষা করিয়াছিলাম উদ্যান - অধিপতিগণকে, যখন উহারা শপথ করিয়াছিল যে, উহারা প্রত্যূষে আহরণ করিবে বাগানের ফল,
৬৮-১৮ : এবং তাহারা ‘ইন্শাআল্লাহ্’ বলে নাই।
৬৮-১৯ : অতঃপর তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে এক বিপর্যয় হানা দিল সেই উদ্যানে, যখন উহারা ছিল নিদ্রিত।
৬৮-২০ : ফলে উহা দগ্ধ হইয়া কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিল।
৬৮-২১ : প্রত্যূষে উহারা একে অপরকে ডাকিয়া বলিল,
৬৮-২২ : ‘তোমরা যদি ফল আহরণ করিতে চাও তবে সকাল সকাল বাগানে চল।’
৬৮-২৩ : অতঃপর উহারা চলিল নিম্নস্বরে কথা বলিতে বলিতে,
৬৮-২৪ : ‘অদ্য যেন তোমাদের নিকটে কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি উহাতে প্রবেশ করিতে না পারে।’
৬৮-২৫ : অতঃপর উহারা নিবৃত্ত করিতে সক্ষম - এই বিশ্বাস লইয়া প্রভাতকালে বাগানে যাত্রা করিল।
৬৮-২৬ : অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল, তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি।
৬৮-২৭ : ‘বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
৬৮-২৮ : উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই ? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন ?’
৬৮-২৯ : তখন উহারা বলিল, ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’
৬৮-৩০ : অতঃপর উহারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করিতে লাগিল।
৬৮-৩১ : উহারা বলিল, ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের ! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী।
৬৮-৩২ : সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’
৬৮-৩৩ : শাস্তি এইরূপই হইয়া থাকে এবং আখিরাতের শাস্তি কঠিনতর। যদি উহারা জানিত।
৬৮-৩৪ : মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ - বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট।
৬৮-৩৫ : আমি কি আত্মসমর্পণ - কারীদেরকে অপরাধীদের সমতুল্য গণ্য করিব?
৬৮-৩৬ : তোমাদের কী হইয়াছে, তোমরা এ কেমন সিদ্ধান্ত দিতেছ?
৬৮-৩৭ : তোমাদের নিকট কী কোন কিতাব আছে যাহাতে তোমরা অধ্যয়ন কর -
৬৮-৩৮ : যে, তোমাদের জন্য উহাতে রহিয়াছে যাহা তোমরা পসন্দ কর?
৬৮-৩৯ : তোমাদের কি আমার সঙ্গে কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন অঙ্গীকার রহিয়াছে যে, তোমরা নিজেদের জন্য যাহা স্থির করিবে তাহাই পাইবে?
৬৮-৪০ : তুমি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর উহাদের মধ্যে এই দাবির যিম্মাদার কে?
৬৮-৪১ : উহাদের কি কোন দেব - দেবী আছে? থাকিলে উহারা উহাদের দেব - দেবীগুলিকে উপস্থিত করুক - যদি উহারা সত্যবাদী হয়।
৬৮-৪২ : স্মরণ কর সেই দিনের কথা, যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত করা হইবে, সেই দিন উহাদেরকে আহ্বান করা হইবে সিজ্দা করিবার জন্য কিন্তু উহারা সক্ষম হইবে না;
৬৮-৪৩ : উহাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা উহাদেরকে আচ্ছন্ন করিবে অথচ যখন উহারা নিরাপদ ছিল তখন তো উহাদেরকে আহ্বান করা হইয়াছিল সিজ্দা করিতে।
৬৮-৪৪ : ছাড়িয়া দাও আমাকে এবং যাহারা এই বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে তাহাদেরকে, আমি উহাদেরকে ক্রমে ক্রমে ধরিব এমনভাবে যে, উহারা জানিতে পারিবে না।
৬৮-৪৫ : আর আমি উহাদেরকে সময় দিয়া থাকি, নিশ্চয়ই আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।
৬৮-৪৬ : তুমি কি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাহিতেছ যে, তাহা উহাদের কাছে দুর্বহ দণ্ড মনে হয়?
৬৮-৪৭ : উহাদের কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, উহারা তাহা লিখিয়া রাখে।
৬৮-৪৮ : অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য - সহচরের ন্যায় অধৈর্য হইও না, সে বিষাদ - আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করিয়াছিল।
৬৮-৪৯ : তাহার প্রতিপালকের অনুগ্রহ তাহার নিকট না পৌঁছিলে সে লাঞ্ছিত হইয়া নিক্ষিপ্ত হইত উন্মুক্ত প্রান্তরে।
৬৮-৫০ : পুনরায় তাহার প্রতিপালক তাহাকে মনোনীত করিলেন এবং তাহাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করিলেন।
৬৮-৫১ : কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন উহারা যেন উহাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়াইয়া ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’
৬৮-৫২ : কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।