بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
تَبٰرَكَ الَّذِىۡ بِيَدِهِ الۡمُلۡكُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرُۙ﴿۱﴾
৬৭-১ : মহামহিমান্বিত তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁহার করায়ত্ত; তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
اۨلَّذِىۡ خَلَقَ الۡمَوۡتَ وَالۡحَيٰوةَ لِيَبۡلُوَكُمۡ اَيُّكُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡغَفُوۡرُۙ﴿۲﴾
৬৭-২ : যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করিবার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল,
الَّذِىۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰى فِىۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَۙ هَلۡ تَرٰى مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
৬৭-৩ : যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। দয়াময় আল্লাহ্র সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখিতে পাইবে না ; তুমি আবার তাকাইয়া দেখ, কোন ত্রুটি দেখিতে পাও কি?
ثُمَّ ارۡجِعِ الۡبَصَرَ كَرَّتَيۡنِ يَنۡقَلِبۡ اِلَيۡكَ الۡبَصَرُ خَاسِئًا وَّهُوَ حَسِيۡرٌ﴿۴﴾
৬৭-৪ : অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হইয়া তোমার দিকে ফিরিয়া আসিবে।
وَلَـقَدۡ زَيَّـنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِمَصَابِيۡحَ وَجَعَلۡنٰهَا رُجُوۡمًا لِّلشَّيٰطِيۡنِ وَاَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابَ السَّعِيۡرِ﴿۵﴾
৬৭-৫ : আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।
وَلِلَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا بِرَبِّهِمۡ عَذَابُ جَهَنَّمَؕ وَبِئۡسَ الۡمَصِيۡرُ﴿۶﴾
৬৭-৬ : যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের শাস্তি; উহা কত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল !
اِذَاۤ اُلۡقُوۡا فِيۡهَا سَمِعُوۡا لَهَا شَهِيۡقًا وَّهِىَ تَفُوۡرُۙ﴿۷﴾
৬৭-৭ : যখন উহারা তন্মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইবে তখন উহারা জাহান্নামের বিকট শব্দ শুনিবে, আর উহা হইবে উদ্বেলিত।
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الۡغَيۡظِؕ كُلَّمَاۤ اُلۡقِىَ فِيۡهَا فَوۡجٌ سَاَلَهُمۡ خَزَنَـتُهَاۤ اَلَمۡ يَاۡتِكُمۡ نَذِيۡرٌ﴿۸﴾
৬৭-৮ : রোষে জাহান্নাম যেন ফাটিয়া পড়িবে, যখনই উহাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হইবে, উহাদেরকে রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করিবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসে নাই?’
قَالُوۡا بَلٰى قَدۡ جَآءَنَا نَذِيۡرٌ ۙ فَكَذَّبۡنَا وَقُلۡنَا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ مِنۡ شَىۡءٍ ۖۚ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِىۡ ضَلٰلٍ كَبِيۡرٍ﴿۹﴾
৬৭-৯ : উহারা বলিবে, ‘অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী আসিয়াছিল, আমরা উহাদেরকে মিথ্যাবাদী গণ্য করিয়াছিলাম এবং বলিয়াছিলাম, ‘আল্লাহ্ কিছুই অবতীর্ণ করেন নাই, তোমরা তো মহাবিভ্রান্তিতে রহিয়াছ।’
وَقَالُوۡا لَوۡ كُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا كُنَّا فِىۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِيۡرِ﴿۱۰﴾
৬৭-১০ : এবং উহারা আরও বলিবে, ‘যদি আমরা শুনিতাম অথবা বিবেক - বুদ্ধি প্রয়োগ করিতাম, তাহা হইলে আমরা জাহান্নামবাসী হইতাম না।’
فَاعۡتَرَفُوۡا بِذَنۡۢبِهِمۡۚ فَسُحۡقًا لِّاَصۡحٰبِ السَّعِيۡرِ﴿۱۱﴾
৬৭-১১ : উহারা উহাদের অপরাধ স্বীকার করিবে। ধ্বংস জাহান্নামীদের জন্য।
اِنَّ الَّذِيۡنَ يَخۡشَوۡنَ رَبَّهُمۡ بِالۡغَيۡبِ لَهُمۡ مَّغۡفِرَةٌ وَّاَجۡرٌ كَبِيۡرٌ﴿۱۲﴾
৬৭-১২ : যাহারা দৃষ্টির অগোচরে তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
وَاَسِرُّوۡا قَوۡلَـكُمۡ اَوِ اجۡهَرُوۡا بِهٖؕ اِنَّهٗ عَلِيۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ﴿۱۳﴾
৬৭-১৩ : তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তর্যামী।
اَلَا يَعۡلَمُ مَنۡ خَلَقَؕ وَهُوَ اللَّطِيۡفُ الۡخَبِيۡرُ﴿۱۴﴾
৬৭-১৪ : যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত।
هُوَ الَّذِىۡ جَعَلَ لَـكُمُ الۡاَرۡضَ ذَلُوۡلًا فَامۡشُوۡا فِىۡ مَنَاكِبِهَا وَكُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِهٖؕ وَاِلَيۡهِ النُّشُوۡرُ ﴿۱۵﴾
৬৭-১৫ : তিনিই তো তোমাদের জন্য ভূমিকে সুগম করিয়া দিয়াছেন ; অতএব তোমরা উহার দিগ - দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁহার প্রদত্ত জীবনোপকরণ হইতে আহার্য গ্রহণ কর; পুনরুত্থান তো তাঁহারই নিকট।
ءَاَمِنۡتُمۡ مَّنۡ فِىۡ السَّمَآءِ اَنۡ يَّخۡسِفَ بِكُمُ الۡاَرۡضَ فَاِذَا هِىَ تَمُوۡرُۙ﴿۱۶﴾
৬৭-১৬ : তোমরা কি ইহা হইতে নির্ভয় হইয়াছ যে, যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভূমিকে ধসাইয়া দিবেন, অনন্তর উহা আকস্মিকভাবে থর থর করিয়া কাঁপিতে থাকিবে?
اَمۡ اَمِنۡتُمۡ مَّنۡ فِى السَّمَآءِ اَنۡ يُّرۡسِلَ عَلَيۡكُمۡ حَاصِبًا ؕ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ كَيۡفَ نَذِيۡرِ ﴿۱۷﴾
৬৭-১৭ : অথবা তোমরা কি ইহা হইতে নির্ভয় হইয়াছ যে, আকাশে যিনি রহিয়াছেন তিনি তোমাদের উপর কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করিবেন? তখন তোমরা জানিতে পারিবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী!
وَلَـقَدۡ كَذَّبَ الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ فَكَيۡفَ كَانَ نَكِيۡرِ﴿۱۸﴾
৬৭-১৮ : ইহাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করিয়াছিল ; ফলে কিরূপ হইয়াছিল আমার শাস্তি!
اَوَلَمۡ يَرَوۡا اِلَى الطَّيۡرِ فَوۡقَهُمۡ صٰٓفّٰتٍ وَّيَقۡبِضۡنَؕؔ ۘ مَا يُمۡسِكُهُنَّ اِلَّا الرَّحۡمٰنُؕ اِنَّهٗ بِكُلِّ شَىۡءٍۢ بَصِيۡرٌ﴿۱۹﴾
৬৭-১৯ : উহারা কি লক্ষ্য করে না উহাদের ঊর্ধ্বদেশে বিহঙ্গকুলের প্রতি, যাহারা পক্ষ বিস্তার করে ও সংকুচিত করে ? দয়াময় আল্লাহ্ই উহাদেরকে স্থির রাখেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
اَمَّنۡ هٰذَا الَّذِىۡ هُوَ جُنۡدٌ لَّكُمۡ يَنۡصُرُكُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ الرَّحۡمٰنِؕ اِنِ الۡكٰفِرُوۡنَ اِلَّا فِىۡ غُرُوۡرٍۚ﴿۲۰﴾
৬৭-২০ : দয়াময় আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের এমন কোন সৈন্যবাহিনী আছে কি, যাহারা তোমাদেরকে সাহায্য করিবে ? কাফিররা তো রহিয়াছে প্রবঞ্চনার মধ্যে।
اَمَّنۡ هٰذَا الَّذِىۡ يَرۡزُقُكُمۡ اِنۡ اَمۡسَكَ رِزۡقَهٗ ۚ بَلۡ لَّجُّوۡا فِىۡ عُتُوٍّ وَّنُفُوۡرٍ ﴿۲۱﴾
৬৭-২১ : এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দান করিবে, তিনি যদি তাঁহার জীবনোপকরণ বন্ধ করিয়া দেন? বস্তুত উহারা অবাধ্যতা ও সত্যবিমুখতায় অবিচল রহিয়াছে।
اَفَمَنۡ يَّمۡشِىۡ مُكِبًّا عَلٰى وَجۡهِهٖۤ اَهۡدٰٓى اَمَّنۡ يَّمۡشِىۡ سَوِيًّا عَلٰى صِرَاطٍ مُّسۡتَقِيۡمٍ ﴿۲۲﴾
৬৭-২২ : যে ব্যক্তি ঝুঁকিয়া মুখে ভর দিয়া চলে, সে - ই কি ঠিক পথে চলে, না কি সেই ব্যক্তি যে ঋজু হইয়া সরল পথে চলে ?
قُلۡ هُوَ الَّذِىۡۤ اَنۡشَاَكُمۡ وَجَعَلَ لَـكُمُ السَّمۡعَ وَالۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـــِٕدَةَ ؕ قَلِيۡلًا مَّا تَشۡكُرُوۡنَ﴿۲۳﴾
৬৭-২৩ : বল, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তোমাদেরকে দিয়াছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তকরণ। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’
قُلۡ هُوَ الَّذِىۡ ذَرَاَكُمۡ فِى الۡاَرۡضِ وَاِلَيۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
৬৭-২৪ : বল, ‘তিনিই পৃথিবীতে তোমাদের ছড়াইয়া দিয়াছেন এবং তাঁহারই নিকট তোমাদেরকে সমবেত করা হইবে।’
وَيَقُوۡلُوۡنَ مَتٰى هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ كُنۡتُمۡ صٰدِقِيۡنَ﴿۲۵﴾
৬৭-২৫ : আর উহারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এই প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবায়িত হইবে?’
قُلۡ اِنَّمَا الۡعِلۡمُ عِنۡدَ اللّٰهِ وَاِنَّمَاۤ اَنَا نَذِيۡرٌ مُّبِيۡنٌ﴿۲۶﴾
৬৭-২৬ : বল, ‘ইহার জ্ঞান কেবল আল্লাহ্রই নিকট আছে। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’
فَلَمَّا رَاَوۡهُ زُلۡفَةً سِیْٓــَٔتۡ وُجُوۡهُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَقِيۡلَ هٰذَا الَّذِىۡ كُنۡتُمۡ بِهٖ تَدَّعُوۡنَ﴿۲۷﴾
৬৭-২৭ : উহারা যখন তাহা আসন্ন দেখিবে তখন কাফিরদের মুখমণ্ডল ম্লান হইয়া পড়িবে এবং বলা হইবে, ‘ইহাই তো তোমরা চাহিতেছিলে।’
قُلۡ اَرَءَيۡتُمۡ اِنۡ اَهۡلَـكَنِىَ اللّٰهُ وَمَنۡ مَّعِىَ اَوۡ رَحِمَنَا ۙ فَمَنۡ يُّجِيۡرُ الۡكٰفِرِيۡنَ مِنۡ عَذَابٍ اَلِيۡمٍ﴿۲۸﴾
৬৭-২৮ : বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি - যদি আল্লাহ্ আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন, তবে কাফিরদেরকে কে রক্ষা করিবে মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে ?
قُلۡ هُوَ الرَّحۡمٰنُ اٰمَنَّا بِهٖ وَعَلَيۡهِ تَوَكَّلۡنَاۚ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ هُوَ فِىۡ ضَلٰلٍ مُّبِيۡنٍ﴿۲۹﴾
৬৭-২৯ : বল, ‘তিনিই দয়াময়, আমরা তাঁহাকে বিশ্বাস করি ও তাঁহারই উপর নির্ভর করি, শীঘ্রই তোমরা জানিতে পারিবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে।’
قُلۡ اَرَءَيۡتُمۡ اِنۡ اَصۡبَحَ مَآؤُكُمۡ غَوۡرًا فَمَنۡ يَّاۡتِيۡكُمۡ بِمَآءٍ مَّعِيۡنٍ﴿۳۰﴾
৬৭-৩০ : বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি যদি পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাহিরে চলিয়া যায়, তখন কে তোমাদেরকে আনিয়া দিবে প্রবহমান পানি?’