সূরা আত্ তূর

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আত্ তূর

৫২-১ : শপথ আত্ তূর পর্বতের,

সূরা আত্ তূর

৫২-২ : শপথ কিতাবের, যাহা লিখিত আছে

সূরা আত্ তূর

৫২-৩ : উন্মুক্ত পত্রে,

সূরা আত্ তূর

৫২-৪ : শপথ বায়তুল মা‘মূরের,

সূরা আত্ তূর

৫২-৫ : শপথ সম্মুন্নত আকাশের,

সূরা আত্ তূর

৫২-৬ : এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের -

সূরা আত্ তূর

৫২-৭ : তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী,

সূরা আত্ তূর

৫২-৮ : ইহার নিবারণকারী কেহ নাই।

সূরা আত্ তূর

৫২-৯ : যেদিন আকাশ আন্দোলিত হইবে প্রবলভাবে

সূরা আত্ তূর

৫২-১০ : এবং পর্বত চলিবে দ্রুত ;

সূরা আত্ তূর

৫২-১১ : দুর্ভোগ সেই দিন সত্য অস্বীকারকারীদের,

সূরা আত্ তূর

৫২-১২ : যাহারা ক্রীড়াচ্ছলে অসার কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে।

সূরা আত্ তূর

৫২-১৩ : যেদিন উহাদেরকে ধাক্কা মারিতে মারিতে লইয়া যাওয়া হইবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে

সূরা আত্ তূর

৫২-১৪ : ‘ইহাই সেই অগ্নি যাহাকে তোমরা মিথ্যা মনে করিতে।’

সূরা আত্ তূর

৫২-১৫ : ইহা কি জাদু? না কি তোমরা দেখিতে পাইতেছ না?

সূরা আত্ তূর

৫২-১৬ : তোমরা ইহাতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর অথবা ধৈর্য ধারণ না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যাহা করিতে তাহারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হইতেছে।

সূরা আত্ তূর

৫২-১৭ : মুত্তাকীরা তো থাকিবে জান্নাতে ও আরাম - আয়েশে,

সূরা আত্ তূর

৫২-১৮ : তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে যাহা দিবেন তাহারা তাহা উপভোগ করিবে এবং তাহাদের রব তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন জাহান্নামের আযাব হইতে,

সূরা আত্ তূর

৫২-১৯ : ‘তোমরা যাহা করিতে তাহার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করিতে থাক।’

সূরা আত্ তূর

৫২-২০ : তাহারা বসিবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়া ; আমি তাহাদের মিলন ঘটাইব আয়তলোচনা হূরের সঙ্গে;

সূরা আত্ তূর

৫২-২১ : এবং যাহারা ঈমান আনে আর তাহাদের সন্তান - সন্ততি ঈমানে তাহাদের অনুগামী হয়, তাহাদের সঙ্গে মিলিত করিব তাহাদের সন্তান - সন্ততিকে এবং তাহাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করিব না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী।

সূরা আত্ তূর

৫২-২২ : আমি তাহাদেরকে দিব ফলমূল এবং গোশ্‌ত যাহা তাহারা পসন্দ করে।

সূরা আত্ তূর

৫২-২৩ : সেখানে তাহারা পরস্পরের মধ্যে আদান - প্রদান করিতে থাকিবে পানপাত্র, যাহা হইতে পান করিলে কেহ অসার কথা বলিবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হইবে না।

সূরা আত্ তূর

৫২-২৪ : তাহাদের সেবায় নিয়োজিত থাকিবে কিশোরেরা, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ।

সূরা আত্ তূর

৫২-২৫ : তাহারা একে অপরের দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিবে,

সূরা আত্ তূর

৫২-২৬ : এবং বলিবে, ‘পূর্বে আমরা পরিবার - পরিজনের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম।

সূরা আত্ তূর

৫২-২৭ : ‘অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ্‌ অনুগ্রহ করিয়াছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি হইতে রক্ষা করিয়াছেন।

সূরা আত্ তূর

৫২-২৮ : ‘আমরা পূর্বেও আল্লাহ্‌কে আহ্বান করিতাম, তিনি তো কৃপাময়, পরম দয়ালু।’

সূরা আত্ তূর

৫২-২৯ : অতএব তুমি উপদেশ দান করিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণক নও, উন্মাদও নও।

সূরা আত্ তূর

৫২-৩০ : উহারা কি বলিতে চাহে সে একজন কবি? আমরা তাহার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছি।’

সূরা আত্ তূর

৫২-৩১ : বল, ‘তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।’

সূরা আত্ তূর

৫২-৩২ : তবে কি উহাদের বুদ্ধি উহাদেরকে এই বিষয়ে প্ররোচিত করে, না উহারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়?

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৩ : উহারা কি বলে, ‘এই কুরআন তাহার নিজের রচনা?’ বরং উহারা অবিশ্বাসী।

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৪ : উহারা যদি সত্যবাদী হয় তবে ইহার সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না!

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৫ : উহারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হইয়াছে, না উহারা নিজেরাই স্রষ্টা?

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৬ : না কি উহারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছে? বরং উহারা তো অবিশ্বাসী।

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৭ : তোমার প্রতিপালকের ভাণ্ডার কি উহাদের নিকট রহিয়াছে, না উহারা এই সমুদয়ের নিয়ন্তা?

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৮ : না কি উহাদের কোন সিঁড়ি আছে যাহাতে আরোহণ করিয়া উহারা শ্রবণ করে? থাকিলে উহাদের সেই শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক!

সূরা আত্ তূর

৫২-৩৯ : তবে কি কন্যা সন্তান তাঁহার জন্য এবং পুত্র সন্তান তোমাদের জন্য?

সূরা আত্ তূর

৫২-৪০ : তবে কি তুমি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাহিতেছ যে, উহারা ইহাকে একটি দুর্বহ বোঝা মনে করে?

সূরা আত্ তূর

৫২-৪১ : না কি অদৃশ্য বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান আছে যে, উহারা এই বিষয়ে কিছু লিখে?

সূরা আত্ তূর

৫২-৪২ : অথবা উহারা কি কোন ষড়যন্ত্র করিতে চাহে? পরিণামে কাফিররাই হইবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৩ : না কি আল্লাহ্‌ ব্যতীত উহাদের অন্য কোন ইলাহ্ আছে ? উহারা যাহাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্‌ তাহা হইতে পবিত্র।

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৪ : উহারা আকাশের কোন খণ্ড ভাঙ্গিয়া পড়িতে দেখিলে বলিবে, ‘ইহা তো এক পুঞ্জীভূত মেঘ।’

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৫ : উহাদের উপেক্ষা করিয়া চল সেই দিন পর্যন্ত যেদিন উহারা বজ্রাঘাতে হতচেতন হইবে।

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৬ : সেদিন উহাদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসিবে না এবং উহাদেরকে সাহায্যও করা হইবে না।

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৭ : ইহা ছাড়া আরও শাস্তি রহিয়াছে জালিমদের জন্য। কিন্তু উহাদের অধিকাংশই তাহা জানে না।

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৮ : ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়; তুমি আমার চক্ষুর সামনেই রহিয়াছ। তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর,

সূরা আত্ তূর

৫২-৪৯ : এবং তাঁহার পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও তারকার অস্তগমনের পর।