সূরা আয্ যারিয়াত

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১ : শপথ ধূলিঝঞ্ঝার,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২ : শপথ বোঝা বহনকারী মেঘপুঞ্জের,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩ : শপথ স্বচ্ছন্দগতি নৌযানের,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪ : শপথ কর্ম বণ্টনকারী ফিরিশ্‌তাগণের -

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫ : তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৬ : কর্মফল দিবস অবশ্যম্ভাবী।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৭ : শপথ বহু পথবিশিষ্ট আকাশের,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৮ : তোমরা তো পরস্পর বিরোধী কথায় লিপ্ত।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৯ : যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সে - ই উহা পরিত্যাগ করে,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১০ : অভিশপ্ত হউক মিথ্যাচারীরা,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১১ : যাহারা অজ্ঞ ও উদাসীন!

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১২ : উহারা জিজ্ঞাসা করে, ‘কর্মফল দিবস কবে হইবে?’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৩ : বল, ‘সেই দিন যখন উহাদেরকে শাস্তি দেওয়া হইবে অগ্নিতে।’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৪ : ‘তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর, তোমরা এই শাস্তিই ত্বরান্বিত করিতে চাহিয়াছিলে।’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৫ : সেদিন নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকিবে প্রস্রবণ - বিশিষ্ট জান্নাতে,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৬ : উপভোগ করিবে তাহা যাহা তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে দিবেন; কারণ পার্থিব জীবনে তাহারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৭ : তাহারা রাত্রির সামান্য অংশই অতিবাহিত করিত নিদ্রায়,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৮ : রাত্রির শেষ প্রহরে তাহারা ক্ষমা প্রার্থনা করিত,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-১৯ : এবং তাহাদের ধন - সম্পদে রহিয়াছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২০ : নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শন রহিয়াছে ধরিত্রীতে

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২১ : এবং তোমাদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করিবে না?

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২২ : আকাশে রহিয়াছে তোমাদের রিযিক ও প্রতিশ্রুতি সমস্ত কিছু।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৩ : আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালকের শপথ! অবশ্যই তোমাদের বাক্‌স্ফূর্তির মতই এই সকল সত্য।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৪ : তোমার নিকট ইব্‌রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত আসিয়াছে কি?

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৫ : যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল, ‘সালাম’। উত্তরে সে বলিল,‘সালাম’। ইহারা তো অপরিচিত লোক।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৬ : অতঃপর ইব্‌রাহীম তাহার স্ত্রীর নিকট গেল এবং একটি মাংসল গো - বৎস ভাজা লইয়া আসিল

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৭ : ও তাহাদের সামনে রাখিল এবং বলিল, ‘তোমরা খাইতেছ না কেন?’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৮ : ইহাতে উহাদের সম্পর্কে তাহার মনে ভীতির সঞ্চার হইল। উহারা বলিল, ‘ভীত হইও না।’ অতঃপর উহারা তাহাকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-২৯ : তখন তাহার স্ত্রী চিৎকার করিতে করিতে সম্মুখে আসিল এবং গাল চাপড়াইয়া বলিল, ‘এই বৃদ্ধ - বন্ধ্যার সন্তান হইবে!’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩০ : তাহারা বলিল, ‘তোমার প্রতিপালক এইরূপই বলিয়াছেন ; তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩১ : ইব্‌রাহীম বলিল, ‘হে ফিরিশ্‌তাগণ! তোমাদের বিশেষ কাজ কী?’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩২ : উহারা বলিল, ‘আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হইয়াছে।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৩ : ‘উহাদের উপর নিক্ষেপ করিবার জন্য মাটির শক্ত ঢেলা,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৪ : ‘যাহা সীমালংঘনকারীদের জন্য চিহ্নিত তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে।’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৫ : সেখানে যেসব মু’মিন ছিল আমি তাহাদেরকে উদ্ধার করিয়াছিলাম,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৬ : আর সেখানে আমি একটি পরিবার ব্যতীত কোন আত্মসর্মপণকারী পাই নাই।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৭ : যাহারা মর্মন্তুদ শাস্তিকে ভয় করে আমি তাহাদের জন্য উহাতে একটি নিদর্শন রাখিয়াছি।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৮ : এবং নিদর্শন রাখিয়াছি মূসার বৃত্তান্তে, যখন আমি তাহাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আওনের নিকট প্রেরণ করিয়া - ছিলাম,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৩৯ : তখন সে ক্ষমতার দম্ভে মুখ ফিরাইয়া লইল এবং বলিল, ‘এই ব্যক্তি হয় এক জাদুকর, না হয় এক উন্মাদ।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪০ : সুতরাং আমি তাহাকে ও তাহার দলবলকে শাস্তি দিলাম এবং উহাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলাম, সে তো ছিল তিরস্কারযোগ্য।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪১ : এবং নিদর্শন রহিয়াছে ‘আদের ঘটনায়, যখন আমি তাহাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম অকল্যাণকর বায়ু ;

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪২ : ইহা যাহা কিছুর উপর দিয়া বহিয়া গিয়াছিল তাহাকেই চূর্ণ - বিচূর্ণ করিয়া দিয়াছিল,

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৩ : আরও নিদর্শন রহিয়াছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘ভোগ করিয়া নাও স্বল্পকাল।’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৪ : কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল ; ফলে উহাদের প্রতি বজ্রাঘাত হইল এবং উহারা উহা দেখিতেছিল।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৫ : উহারা উঠিয়া দাঁড়াইতে পারিল না এবং উহা প্রতিরোধ করিতেও পারিল না।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৬ : আমি ধ্বংস করিয়াছিলাম ইহাদের পূর্বে সূরা নূহের সম্প্রদায়কে, ইহারা তো ছিল সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৭ : আমি আকাশ নির্মাণ করিয়াছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা - সম্প্রসারণকারী।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৮ : আর ভূমি, আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি, আমি কত সুন্দর প্রসারণকারী!

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৪৯ : আর প্রত্যেক বস্তু আমি সৃষ্টি করিয়াছি জোড়ায় জোড়ায়, যাহাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫০ : অতএব তোমরা আল্লাহ্‌র দিকে ধাবিত হও, আমি তো তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌ - প্রেরিত স্পষ্ট সতর্ককারী।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫১ : তোমরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন ইলাহ্ স্থির করিও না; আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌ - প্রেরিত স্পষ্ট সতর্ককারী।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫২ : এইভাবে উহাদের পূর্ববর্তীদের নিকট যখনই কোন রাসূল আসিয়াছে উহারা তাহাকে বলিয়াছে, ‘তুমি তো এক জাদুকর, না হয় এক উন্মাদ!’

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৩ : উহারা কি একে অপরকে এই যন্ত্রণাই দিয়া আসিয়াছে? বস্তুত উহারা সীমা - লংঘনকারী সম্প্রদায়।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৪ : অতএব তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর, ইহাতে তুমি অভিযুক্ত হইবে না।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৫ : তুমি উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মু’মিনদেরই উপকারে আসে।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৬ : আমি সৃষ্টি করিয়াছি আল জিন এবং মানুষকে এইজন্য যে, তাহারা আমারই ‘ইবাদত করিবে।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৭ : আমি উহাদের নিকট হইতে জীবিকা চাহি না এবং ইহাও চাহি না যে, উহারা আমার আহার্য যোগাইবে।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৮ : আল্লাহ্‌ই তো রিযিক দান করেন এবং তিনি প্রবল, পরাক্রান্ত।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৫৯ : জালিমদের প্রাপ্য তাহাই যাহা অতীতে উহাদের সমমতাবলম্বীরা ভোগ করিয়াছে। সুতরাং উহারা ইহার জন্য আমার নিকট যেন ত্বরা না করে।

সূরা আয্ যারিয়াত

৫১-৬০ : কাফিরদের জন্য দুর্ভোগ তাহাদের সেই দিনের, যেই দিনের বিষয়ে উহাদেরকে সতর্ক করা হইয়াছে।