সূরা আদ্ দুখান

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১ : হা - মীম।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২ : শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩ : আমি তো ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি এক মুবারক রজনীতে ; আমি তো সতর্ককারী।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪ : এই রজনীতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫ : আমার আদেশক্রমে, আমি তো রাসূল প্রেরণ করিয়া থাকি

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৬ : তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহস্বরূপ ; তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ -

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৭ : যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৮ : তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই, তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান; তিনি তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও প্রতিপালক।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৯ : বস্তুত উহারা সন্দেহের বশবর্তী হইয়া হাসিঠাট্টা করিতেছে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১০ : অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেই দিনের যেদিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হইবে আকাশ,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১১ : এবং উহা আবৃত করিয়া ফেলিবে মানব জাতিকে। ইহা হইবে মর্মন্তুদ শাস্তি।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১২ : তখন উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের হইতে শাস্তি দূর কর, অবশ্যই আমরা ঈমান আনিব।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৩ : উহারা কী করিয়া উপদেশ গ্রহণ করিবে? উহাদের নিকট তো আসিয়াছে স্পষ্ট ব্যাখ্যাতা এক রাসূল ;

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৪ : অতঃপর উহারা তাহাকে অমান্য করিয়া বলে, ‘সে শিক্ষাপ্রাপ্ত এক পাগল!’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৫ : আমি কিছু কালের জন্য শাস্তি রহিত করিব - তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যাইবে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৬ : যেদিন আমি তোমাদেরকে প্রবলভাবে পাকড়াও করিব, সেদিন নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিবই।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৭ : ইহাদের পূর্বে আমি তো ফির‘আওন সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করিয়াছিলাম এবং উহাদের নিকটও আসিয়াছিল এক সম্মানিত রাসূল,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৮ : সে বলিল, আল্লাহ্‌র বান্দাদেরকে আমার নিকট প্রত্যর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-১৯ : ‘এবং তোমরা আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিও না, আমি তোমাদের নিকট উপস্থিত করিতেছি স্পষ্ট প্রমাণ।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২০ : ‘তোমরা যাহাতে আমাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করিতে না পার, তজ্জন্য আমি আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালকের শরণ লইতেছি।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২১ : ‘যদি তোমরা আমার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না কর, তবে তোমরা আমার নিকট হইতে দূরে থাক।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২২ : অতঃপর মূসা তাহার প্রতিপালকের নিকট নিবেদন করিল, ‘ইহারা তো এক অপরাধী সম্প্রদায়।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৩ : আমি বলিয়াছিলাম, ‘তুমি আমার বান্দাদেরকে লইয়া রজনীযোগে বাহির হইয়া পড়, তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হইবেই।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৪ : সমুদ্রকে স্থির থাকিতে দাও, উহারা এমন এক বাহিনী যাহা নিমজ্জিত হইবেই।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৫ : উহারা পশ্চাতে রাখিয়া গিয়াছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবণ;

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৬ : কত শস্যক্ষেত্র ও সুরম্য প্রাসোয়াদ,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৭ : কত বিলাস - উপকরণ, উহাতে তাহারা আনন্দ পাইত!

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৮ : এইরূপই ঘটিয়াছিল এবং আমি এই সমুদয়ের উত্তরাধিকারী করিয়াছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-২৯ : আকাশ এবং পৃথিবী কেহই উহাদের জন্যে অশ্রুপাত করে নাই এবং উহাদেরকে অবকাশও দেওয়া হয় নাই।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩০ : আমি তো উদ্ধার করিয়াছিলাম বনী ইসরাঈলকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি হইতে

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩১ : ফির‘আওনের; সে তো ছিল পরাক্রান্ত সীমালংঘনকারীদের মধ্যে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩২ : আমি তো জানিয়া - শুনিয়াই উহাদেরকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছিলাম,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৩ : এবং উহাদেরকে দিয়াছিলাম নিদর্শনাবলী, যাহাতে ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা;

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৪ : উহারা বলিয়াই থাকে,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৫ : ‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছুই নাই এবং আমরা আর উত্থিত হইব না।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৬ : ‘অতএব তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপস্থিত কর।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৭ : শ্রেষ্ঠ কি উহারা, না তুব্বা সম্প্রদায় ও ইহাদের পূর্ববর্তীরা? আমি উহাদেরকে ধ্বংস করিয়াছিলাম, অবশ্যই উহারা ছিল অপরাধী।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৮ : আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যে কোন কিছুই ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করি নাই;

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৩৯ : আমি এই দুইটি অযথা সৃষ্টি করি নাই, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই ইহা জানে না।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪০ : নিশ্চয় সকলের জন্য নির্ধারিত রহিয়াছে উহাদের বিচার দিবস।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪১ : সেদিন এক বন্ধু অপর বন্ধুর কোন কাজে আসিবে না এবং উহারা সাহায্যও পাইবে না।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪২ : তবে আল্লাহ্‌ যাহার প্রতি দয়া করেন তাহার কথা স্বতন্ত্র। তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৩ : নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ হইবে -

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৪ : পাপীর খাদ্য;

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৫ : গলিত তাম্রের মত, উহাদের উদরে ফুটিতে থাকিবে

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৬ : ফুটন্ত পানির মত।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৭ : উহাকে ধর এবং টানিয়া লইয়া যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৮ : অতঃপর উহার মস্তকের উপর ফুটন্ত পানি ঢালিয়া শাস্তি দাও -

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৪৯ : এবং বলা হইবে ‘আস্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো ছিলে সম্মানিত, অভিজাত!

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫০ : ‘ইহা তো উহাই, যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করিতে।’

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫১ : মুত্তাকীরা তো থাকিবে নিরাপদ স্থানে -

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫২ : উদ্যান ও ঝর্ণার মাঝে,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৩ : তাহারা পরিধান করিবে মিহি ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং মুখোমুখি হইয়া বসিবে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৪ : এইরূপই ঘটিবে; আমি উহাদেরকে সঙ্গিনী দান করিব আয়তলোচনা হুর,

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৫ : সেথায় তাহারা প্রশান্ত চিত্তে বিবিধ ফলমূল আনিতে বলিবে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৬ : প্রথম মৃত্যুর পর তাহারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করিবে না। আর তাহাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হইতে রক্ষা করিবেন -

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৭ : তোমার প্রতিপালক নিজ অনুগ্রহে। ইহাই তো মহাসাফল্য।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৮ : আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করিয়া দিয়াছি, যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে।

সূরা আদ্ দুখান

৪৪-৫৯ : সুতরাং তুমি প্রতীক্ষা কর, উহারাও প্রতীক্ষমাণ।