সূরা সোয়াদ

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা সোয়াদ

৩৮-১ : সোয়াদ, শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের! তুমি অবশ্যই সত্যবাদী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২ : কিন্তু কাফিররা ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবিয়া আছে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩ : ইহাদের পূর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বংস করিয়াছি; তখন উহারা আর্তচিৎকার করিয়াছিল। কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোনই উপায় ছিল না।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪ : ইহারা বিস্ময় বোধ করিতেছে যে, ইহাদের নিকট ইহাদেরই মধ্য হইতে একজন সতর্ককারী আসিল এবং কাফিররা বলে, ‘এ তো এক জাদুকর, মিথ্যাবাদী।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫ : ‘সে কি বহু ইলাহ্‌কে এক ইলাহ্ বানাইয়া লইয়াছে? ইহা তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার!’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬ : উহাদের প্রধানেরা সরিয়া পড়ে এই বলিয়া, ‘তোমরা চলিয়া যাও এবং তোমাদের দেবতাগুলির পূজায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭ : ‘আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনি নাই; ইহা এক মনগড়া উক্তি মাত্র।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮ : ‘আমাদের মধ্য হইতে কি তাহারই উপর কুরআন অবতীর্ণ হইল?’ প্রকৃতপক্ষে উহারা তো আমার কুরআনে সন্দিহান, উহারা এখনও আমার শাস্তি আস্বাদন করে নাই।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৯ : উহাদের নিকট কি আছে তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের ভাণ্ডার, যিনি পরাক্রমশালী, মহান দাতা?

সূরা সোয়াদ

৩৮-১০ : উহাদের কি কর্তৃত্ব আছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর উপর? থাকিলে, উহারা সিঁড়ি বাহিয়া আরোহণ করুক!

সূরা সোয়াদ

৩৮-১১ : বহু দলের এই বাহিনীও সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরাজিত হইবে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-১২ : ইহাদের পূর্বেও রাসূলদেরকে অস্বীকার করিয়াছিল সূরা নূহের সম্প্রদায়, ‘আদ ও বহু শিবিরের অধিপতি ফির‘আওন,

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৩ : সামূদ, লূত সম্প্রদায় ও ‘আয়কা‘র অধিবাসী; উহারা ছিল এক - একটি বিশাল বাহিনী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৪ : উহাদের প্রত্যেকেই রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছে। ফলে উহাদের ক্ষেত্রে আমার শাস্তি হইয়াছে বাস্তব।

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৫ : ইহারা তো অপেক্ষা করিতেছে একটি মাত্র প্রচণ্ড নিনাদের, যাহাতে কোন বিরাম থাকিবে না।

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৬ : ইহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! বিচারদিবসের পূর্বেই আমাদের প্রাপ্য আমাদেরকে শীঘ্র দিয়া দাও না।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৭ : ইহারা যাহা বলে তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং স্মরণ কর, আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদের কথা; সে ছিল অতিশয় আল্লাহ্‌ অভিমুখী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৮ : আমি নিয়োজিত করিয়াছিলাম পর্বতমালাকে, যেন ইহারা সকাল - সন্ধ্যায় তাহার সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে,

সূরা সোয়াদ

৩৮-১৯ : এবং সমবেত বিহঙ্গকুলকেও; সকলেই ছিল তাঁহার অভিমুখী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২০ : আমি তাহার রাজ্যকে সুদৃঢ় করিয়াছিলাম এবং তাহাকে দিয়াছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২১ : তোমার নিকট বিবদমান লোকদের বৃত্তান্ত পৌঁছিয়াছে কি? যখন উহারা প্রাচীর ডিঙাইয়া আসিল ‘ইবাদতখানায়,

সূরা সোয়াদ

৩৮-২২ : এবং দাঊদের নিকট পৌঁছিল, তখন তাহাদের কারণে সে ভীত হইয়া পড়িল। উহারা বলিল, ‘ভীত হইবেন না, আমরা দুই বিবদমান পক্ষ - আমাদের একে অপরের উপর জুলুম করিয়াছে; অতএব আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন ; অবিচার করিবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথনির্দেশ করুন।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৩ : ‘এই ব্যক্তি আমার ভাই, ইহার আছে নিরানব্বইটি দুম্বা এবং আমার আছে মাত্র একটি দুম্বা। তবুও সে বলে, ‘আমার যিম্মায় এইটি দিয়া দাও’, এবং কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করিয়াছে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৪ : দাঊদ বলিল, ‘তোমার দুম্বাটিকে তাহার দুম্বাগুলির সঙ্গে যুক্ত করিবার দাবি করিয়া সে তো তোমার প্রতি জুলুম করিয়াছে। শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো অবিচার করিয়া থাকে - করে না কেবল মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ এবং তাহারা সংখ্যায় স্বল্প।’ দাঊদ বুঝিতে পারিল, আমি তাহাকে পরীক্ষা করিলাম। অতঃপর সে তাহার প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিল এবং নত হইয়া লুটাইয়া পড়িল ও তাঁহার অভিমুখী হইল।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৫ : অতঃপর আমি তাহার ত্রুটি ক্ষমা করিলাম। আমার নিকট তাহার জন্য রহিয়াছে নৈকট্যের মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৬ : ‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করিয়াছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল - খুশির অনুসরণ করিও না, কেননা ইহা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে।’ যাহারা আল্লাহ্‌র পথ হইতে ভ্রষ্ট হয় তাহাদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি, কারণ তাহারা বিচারদিবসকে বিস্মৃত হইয়া আছে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৭ : আমি আকাশ, পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করি নাই। অনর্থক সৃষ্টি করার ধারণা উহাদের যাহারা কাফির, সুতরাং কাফিরদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৮ : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যাহারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, আমি কি তাহাদেরকে সমান গণ্য করিব? আমি কি মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করিব?

সূরা সোয়াদ

৩৮-২৯ : এক কল্যাণময় কিতাব, ইহা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি, যাহাতে মানুষ ইহার আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩০ : আমি দাঊদকে দান করিলাম সুলায়মান। সে ছিল উত্তম বান্দা এবং সে ছিল অতিশয় আল্লাহ্‌ অভিমুখী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩১ : যখন অপরাহ্নে তাহার সম্মুখে ধাবনোদ্যত উৎকৃষ্ট অশ্বরাজিকে উপস্থিত করা হইল,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩২ : তখন সে বলিল, ‘আমি তো আমার প্রতিপালকের স্মরণ হইতে বিমুখ হইয়া ঐশ্বর্য প্রীতিতে মগ্ন হইয়া পড়িয়াছি, এদিকে সূর্য অস্তমিত হইয়া গিয়াছে;

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৩ : ‘এইগুলিকে পুনরায় আমার সম্মুখে আনয়ন কর।’ অতঃপর সে উহাদের পদ ও গলদেশ ছেদন করিতে লাগিল।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৪ : আমি তো সুলায়মানকে পরীক্ষা করিলাম এবং তাহার আসনের উপর রাখিলাম একটি ধড়; অতঃপর সুলায়মান আমার অভিমুখী হইল।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৫ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে দান কর এমন এক রাজ্য যাহার অধিকারী আমি ছাড়া কেহ না হয়। তুমি তো পরম দাতা।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৬ : তখন আমি তাহার অধীন করিয়া দিলাম বায়ুকে, যাহা তাহার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করিত সেখানে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হইত,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৭ : এবং শয়তানদেরকে, যাহারা সকলেই ছিল প্রাসোয়াদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৮ : এবং শৃঙ্খলে আবদ্ধ আরও অনেককে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৩৯ : ‘এইসব আমার অনুগ্রহ, ইহা হইতে তুমি অন্যকে দিতে অথবা নিজে রাখিতে পার। ইহার জন্য তোমাকে হিসাব দিতে হইবে না।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪০ : এবং আমার নিকট রহিয়াছে তাহার জন্য নৈকট্যের মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪১ : স্মরণ কর, আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহবান করিয়া বলিয়াছিল, ‘শয়তান তো আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলিয়াছে’,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪২ : আমি তাহাকে বলিলাম, ‘তুমি তোমার পদ দ্বারা ভূমিতে আঘাত কর, এই তো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৩ : আমি তাহাকে দান করিলাম তাহার পরিজনবর্গ ও তাহাদের মত আরও, আমার অনুগ্রহস্বরূপ এবং বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৪ : আমি তাহাকে আদেশ করিলাম, ‘একমুষ্টি তৃণ লও ও উহা দ্বারা আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করিও না।’ আমি তো তাহাকে পাইলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম বান্দা সে! সে ছিল আমার অভিমুখী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৫ : স্মরণ কর, আমার বান্দা ইব্‌রাহীম, ইস্‌হাক ও ইয়া‘কূবের কথা, উহারা ছিল শক্তিশালী ও সূক্ষ্মদর্শী।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৬ : আমি তাহাদেরকে অধিকারী করিয়াছিলাম এক বিশেষ গুণের, উহা ছিল পরলোকের স্মরণ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৭ : অবশ্যই তাহারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৮ : স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল - ইয়াসা‘আ ও যুল - কিফ্‌লের কথা, ইহারা প্রত্যেকেই ছিল সজ্জন।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৪৯ : ইহা এক স্মরণীয় বর্ণনা। নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রহিয়াছে উত্তম আবাস

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫০ : চিরস্থায়ী জান্নাত, যাহার দ্বার তাহাদের জন্য উন্মুক্ত।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫১ : সেখানে তাহারা আসীন হইবে হেলান দিয়া, সেখানে তাহারা বহুবিধ ফলমূল ও পানীয় চাইবে।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫২ : এবং তাহাদের পার্শ্বে থাকিবে আনতনয়না সমবয়স্কাগণ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৩ : ইহা হিসাব দিবসের জন্য তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৪ : ইহা তো আমার দেওয়া রিযিক যাহা নিঃশেষ হইবে না,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৫ : ইহাই। আর সীমালংঘনকারীদের জন্য রহিয়াছে নিকৃষ্টতম পরিণাম

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৬ : জাহান্নাম, সেখানে উহারা প্রবেশ করিবে, কত নিকৃষ্ট ঠিকানা!

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৭ : ইহা সীমালংঘনকারীদের জন্য। সুতরাং উহারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৮ : আরও আছে এইরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৫৯ : ‘এই তো এক বাহিনী, তোমাদের সঙ্গে প্রবেশ করিতেছে।’ ‘উহাদের জন্য নাই অভিনন্দন, ইহারা তো জাহান্নামে জ্বলিবে।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬০ : অনুসারীরা বলিবে, ‘বরং তোমরাও, তোমাদের জন্যও অভিনন্দন নাই। তোমরাই তো পূর্বে উহা আমাদের জন্য ব্যবস্থা করিয়াছ। কত নিকৃষ্ট এই আবাসস্থল!’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬১ : উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যে ইহা আমাদের সম্মুখীন করিয়াছে, জাহান্নামে তাহার শাস্তি তুমি দ্বিগুণ বর্ধিত কর।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬২ : উহারা আরও বলিবে, ‘আমাদের কী হইল যে, আমরা যে সকল লোককে মন্দ বলিয়া গণ্য করিতাম তাহাদেরকে দেখিতে পাইতেছি না!

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৩ : ‘তবে কি আমরা উহাদেরকে অহেতুক ঠাট্টা - বিদ্রপের পাত্র মনে করিতাম, না উহাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটিয়াছে?’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৪ : ইহা নিশ্চিত সত্য - জাহান্নামীদের এই বাদ - প্রতিবাদ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৫ : বল, ‘আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং কোন ইলাহ্ নাই আল্লাহ্‌ ব্যতীত, যিনি এক, যিনি প্রবল প্রতাপশালী,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৬ : ‘যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, যিনি পরাক্রমশালী, মহাক্ষমাশীল।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৭ : বল, ‘ইহা এক মহাসংবাদ,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৮ : ‘যাহা হইতে তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইতেছ।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৬৯ : ‘ঊর্ধ্বলোকে তাহাদের বাদানুবাদ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭০ : ‘আমার নিকট তো এই ওহী আসিয়াছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭১ : স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ফিরিশ্‌তাদেরকে বলিয়াছিলেন, ‘আমি মানুষ সৃষ্টি করিতেছি কর্দম হইতে,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭২ : ‘যখন আমি উহাকে সুষম করিব এবং উহাতে আমার রূহ্ সঞ্চার করিব, তখন তোমরা উহার প্রতি সিজ্‌দাবনত হইও।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৩ : তখন ফিরিশ্‌তারা সকলেই সিজ্দাবনত২১ হইল -

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৪ : কেবল ইবলীস ব্যতীত, সে অহংকার করিল এবং কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হইল।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৫ : তিনি বলিলেন, ‘হে ইবলীস! আমি যাহাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করিয়াছি, তাহার প্রতি সিজ্‌দাবনত হইতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি কি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিলে, না তুমি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন?’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৬ : সে বলিল, ‘আমি উহা হইতে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহাকে সৃষ্টি করিয়াছেন কর্দম হইতে।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৭ : তিনি বলিলেন, ‘তুমি এখান হইতে বাহির হইয়া যাও, নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৮ : ‘এবং তোমার উপর আমার লা‘নত স্থায়ী হইবে, কর্মফল দিবস পর্যন্ত।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৭৯ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে অবকাশ দিন উত্থান দিবস পর্যন্ত।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮০ : তিনি বলিলেন, ‘তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হইলে -

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮১ : ‘অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮২ : সে বলিল, ‘আপনার ক্ষমতার শপথ! আমি উহাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করিব,

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৩ : ‘তবে উহাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে নয়।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৪ : তিনি বলিলেন, ‘তবে ইহাই সত্য, আর আমি সত্যই বলি -

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৫ : ‘তোমার দ্বারা ও তোমার অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করিবই।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৬ : বল, ‘আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না এবং যাহারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত নই।’

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৭ : ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র।

সূরা সোয়াদ

৩৮-৮৮ : ইহার সংবাদ তোমরা অবশ্যই জানিবে, কিয়ৎকাল পরে।