সূরা আল মুমিনুন

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আল মুমিনুন

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

সূরা আল মুমিনুন

قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَۙ‏﴿۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১ : অবশ্যই সফলকাম হইয়াছে মু’মিনগণ,

সূরা আল মুমিনুন

الَّذِيۡنَ هُمۡ فِىۡ صَلَاتِهِمۡ خَاشِعُوۡنَ ۙ‏﴿۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২ : যাহারা বিনয় - নম্র নিজেদের সালাতে,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَۙ‏﴿۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩ : যাহারা অসার ক্রিয়াকলাপ হইতে বিরত থাকে,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِلزَّكٰوةِ فَاعِلُوۡنَۙ ‏﴿۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪ : যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِهِمۡ حٰفِظُوۡنَۙ‏﴿۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫ : যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে,

সূরা আল মুমিনুন

اِلَّا عَلٰٓى اَزۡوَاجِهِمۡ اَوۡ مَا مَلَـكَتۡ اَيۡمَانُهُمۡ فَاِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُوۡمِيۡنَ‌ۚ‏﴿۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬ : নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসিগণ ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না,

সূরা আল মুমিনুন

فَمَنِ ابۡتَغٰى وَرَآءَ ذٰ لِكَ فَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ‌ ۚ‏﴿۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭ : এবং কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ لِاَمٰنٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَاعُوۡنَ ۙ‏﴿۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮ : এবং যাহারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ عَلٰى صَلَوٰتِهِمۡ يُحَافِظُوۡنَ‌ۘ‏﴿۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯ : এবং যাহারা নিজেদের সালাতসমূহে যত্নবান থাকে,

সূরা আল মুমিনুন

اُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡوَارِثُوۡنَ ۙ‏﴿۱۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০ : তাহারাই হইবে অধিকারী -

সূরা আল মুমিনুন

الَّذِيۡنَ يَرِثُوۡنَ الۡفِرۡدَوۡسَؕ هُمۡ فِيۡهَا خٰلِدُوۡنَ‏﴿۱۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১ : অধিকারী হইবে ফিরদাওসের যাহাতে উহারা স্থায়ী হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَةٍ مِّنۡ طِيۡنٍ‌ ۚ‏﴿۱۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১২ : আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি মৃত্তিকার উপাদান হইতে,

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ جَعَلۡنٰهُ نُطۡفَةً فِىۡ قَرَارٍ مَّكِيۡنٍ‏﴿۱۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৩ : অতঃপর আমি উহাকে শুক্রবিন্দুরূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে;

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَةَ مُضۡغَةً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَةَ عِظٰمًا فَكَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ‌ ؕ فَتَبٰـرَكَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِيۡنَ ؕ‏﴿۱۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৪ : পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি আল আলাক - এ, অতঃপর আল আলাক্‌কে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থি - পঞ্জরে ; অতঃপর অস্থি - পঞ্জরকে ঢাকিয়া দেই গোশ্‌ত দ্বারা; অবশেষে উহাকে গড়িয়া তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ কত মহান!

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اِنَّكُمۡ بَعۡدَ ذٰلِكَ لَمَيِّتُوۡنَؕ‏﴿۱۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৫ : ইহার পর তোমরা অবশ্যই মরিবে,

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اِنَّكُمۡ يَوۡمَ الۡقِيٰمَةِ تُبۡعَثُوۡنَ‏﴿۱۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৬ : অতঃপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমাদেরকে উত্থিত করা হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعَ طَرَآٮِٕقَ ۖ  وَمَا كُنَّا عَنِ الۡخَـلۡقِ غٰفِلِيۡنَ‏﴿۱۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৭ : আমি তো তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করিয়াছি সপ্তস্তর এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই,

সূরা আল মুমিনুন

وَاَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡكَنّٰهُ فِى الۡاَرۡضِ‌ۖ وَاِنَّا عَلٰى ذَهَابٍۢ بِهٖ لَقٰدِرُوۡنَ‌ ۚ‏﴿۱۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৮ : এবং আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম।

সূরা আল মুমিনুন

فَاَنۡشَاۡنَا لَـكُمۡ بِهٖ جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِيۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ‌ ۘ لَـكُمۡ فِيۡهَا فَوَاكِهُ كَثِيۡرَةٌ وَّمِنۡهَا تَاۡكُلُوۡنَ ۙ‏﴿۱۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১৯ : অতঃপর আমি উহা দ্বারা তোমাদের জন্য খর্জুর ও আংগুরের বাগান সৃষ্টি করি; ইহাতে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল; আর উহা হইতে তোমরা আহার করিয়া থাক;

সূরা আল মুমিনুন

وَشَجَرَةً تَخۡرُجُ مِنۡ طُوۡرِ سَيۡنَآءَ تَنۡۢبُتُ بِالدُّهۡنِ وَصِبۡغٍ لِّلۡاٰكِلِيۡنَ‏﴿۲۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২০ : এবং সৃষ্টি করি এক বৃক্ষ যাহা জন্মায় সিনাই পর্বতে, ইহাতে উৎপন্ন হয় তৈল এবং আহারকারীদের জন্য ব্যঞ্জন।

সূরা আল মুমিনুন

وَ اِنَّ لَـكُمۡ فِى الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَةً‌   ؕ نُسۡقِيۡكُمۡ مِّمَّا فِىۡ بُطُوۡنِهَا وَلَـكُمۡ فِيۡهَا مَنَافِعُ كَثِيۡرَةٌ وَّمِنۡهَا تَاۡكُلُوۡنَ ۙ‏﴿۲۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২১ : এবং তোমাদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয় বিষয় আছে আন‘আম - এ; তোমাদেরকে আমি পান করাই উহাদের উদরে যাহা আছে তাহা হইতে এবং উহাতে তোমাদের জন্য রহিয়াছে প্রচুর উপকারিতা; তোমরা উহা হইতে আহার কর,

সূরা আল মুমিনুন

وَعَلَيۡهَا وَعَلَى الۡـفُلۡكِ تُحۡمَلُوۡنَ‏﴿۲۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২২ : এবং তোমরা উহাতে ও নৌযানে আরোহণও করিয়া থাক।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰى قَوۡمِهٖ فَقَالَ يٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَـكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَيۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ‏﴿۲۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৩ : আমি তো সূরা নূহকে পাঠাইয়াছিলাম তাহার সম্প্রদায়ের নিকট। সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ্‌র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই, তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’

সূরা আল মুমিনুন

فَقَالَ الۡمَلَؤُا الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنۡ قَوۡمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُكُمۡ ۙ يُرِيۡدُ اَنۡ يَّـتَفَضَّلَ عَلَيۡكُمۡ ؕ وَلَوۡ شَآءَ اللّٰهُ لَاَنۡزَلَ مَلٰٓٮِٕكَةً  ۖۚ مَّا سَمِعۡنَا بِهٰذَا فِىۡۤ اٰبَآٮِٕنَا الۡاَوَّلِيۡنَ‌ ۚ‏﴿۲۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৪ : তাহার সম্প্রদায়ের প্রধানরা, যাহারা কুফরী করিয়াছিল, তাহারা বলিল, ‘এ তো তোমাদের মত একজন মানুষই, তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিতে চাহিতেছে, আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করিলে ফিরিশ্‌তাই পাঠাইতেন; আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষগণের কালে এইরূপ ঘটিয়াছে, একথা শুনি নাই।

সূরা আল মুমিনুন

اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِهٖ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوۡا بِهٖ حَتّٰى حِيۡنٍ‏﴿۲۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৫ : ‘এ তো এমন লোক যাহাকে উন্মত্ততা পাইয়া বসিয়াছে; সুতরাং তোমরা ইহার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।’

সূরা আল মুমিনুন

قَالَ رَبِّ انْصُرۡنِىۡ بِمَا كَذَّبُوۡنِ‏﴿۲۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৬ : সূরা নূহ্ বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর, কারণ উহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলিতেছে।’

সূরা আল মুমিনুন

فَاَوۡحَيۡنَاۤ اِلَيۡهِ اَنِ اصۡنَعِ الۡفُلۡكَ بِاَعۡيُنِنَا وَ وَحۡيِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَفَارَ التَّـنُّوۡرُ‌ۙ فَاسۡلُكۡ فِيۡهَا مِنۡ كُلٍّ زَوۡجَيۡنِ اثۡنَيۡنِ وَاَهۡلَكَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَيۡهِ الۡقَوۡلُ مِنۡهُمۡ‌ۚ وَلَا تُخَاطِبۡنِىۡ فِى الَّذِيۡنَ ظَلَمُوۡا‌ۚ اِنَّهُمۡ مُّغۡرَقُوۡنَ ‏﴿۲۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৭ : অতঃপর আমি তাহার নিকট ওহী পাঠাইলাম, ‘তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ কর, অতঃপর যখন আমার আদেশ আসিবে ও উনুন উথলিয়া উঠিবে তখন উঠাইয়া লইও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবার - পরিজনকে, তাহাদেরকে ছাড়া তাহাদের মধ্যে যাহাদের বিরুদ্ধে পূর্বে সিদ্ধান্ত হইয়াছে। আর তাহাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলিও না যাহারা জুলুম করিয়াছে। তাহারা তো নিমজ্জিত হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

فَاِذَا اسۡتَوَيۡتَ اَنۡتَ وَمَنۡ مَّعَكَ عَلَى الۡـفُلۡكِ فَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِىۡ نَجّٰٮنَا مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ‏﴿۲۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৮ : যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করিবে তখন বলিও, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি আমাদেরকে উদ্বার করিয়াছেন জালিম সম্প্রদায় হইতে।’

সূরা আল মুমিনুন

وَقُلْ رَّبِّ اَنۡزِلۡنِىۡ مُنۡزَلًا مُّبٰـرَكًا وَّاَنۡتَ خَيۡرُ الۡمُنۡزِلِيۡنَ‏﴿۲۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-২৯ : আরও বলিও, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করাও যাহা হইবে কল্যাণকর; আর তুমিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী।’

সূরা আল মুমিনুন

اِنَّ فِىۡ ذٰ لِكَ لَاٰيٰتٍ وَّاِنۡ كُنَّا لَمُبۡتَلِيۡنَ‏﴿۳۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩০ : ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। আর আমি তো উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছিলাম।

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا اٰخَرِيۡنَ‌ ۚ‏﴿۳۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩১ : অতঃপর তাহাদের পরে অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করিয়াছিলাম;

সূরা আল মুমিনুন

فَاَرۡسَلۡنَا فِيۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَـكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَيۡرُهٗ‌ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ‏﴿۳۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩২ : এবং উহাদেরই একজনকে উহাদের নিকট রাসূল করিয়া পাঠাইয়াছিলাম! সে বলিয়াছিল, ‘তোমরা আল্লাহ্‌র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই, তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’

সূরা আল মুমিনুন

وَقَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِهِ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَكَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ الۡاٰخِرَةِ وَاَتۡرَفۡنٰهُمۡ فِى الۡحَيٰوةِ الدُّنۡيَا ۙ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُكُمۡ ۙ يَاۡكُلُ مِمَّا تَاۡكُلُوۡنَ مِنۡهُ وَيَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُوۡنَ ۙ‏﴿۳۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৩ : তাহার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ, যাহারা কুফরী করিয়াছিল ও আখিরাতের সাক্ষাতকারকে অস্বীকার করিয়াছিল এবং যাহাদেরকে আমি দিয়াছিলাম পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগসম্ভার, তাহারা বলিয়াছিল, ‘এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ; তোমরা যাহা আহার কর, সে তাহাই আহার করে এবং তোমরা যাহা পান কর, সেও তাহাই পান করে;

সূরা আল মুমিনুন

وَلَٮِٕنۡ اَطَعۡتُمۡ بَشَرًا مِّثۡلَـكُمۡ اِنَّكُمۡ اِذًا لَّخٰسِرُوۡنَۙ‏﴿۳۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৪ : ‘যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে;

সূরা আল মুমিনুন

اَيَعِدُكُمۡ اَنَّكُمۡ اِذَا مِتُّمۡ وَكُنۡتُمۡ تُرَابًا وَّعِظَامًا اَنَّكُمۡ مُّخۡرَجُوۡنَ ۙ‏﴿۳۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৫ : ‘সে কি তোমাদেরকে এই প্রতিশ্রুতিই দেয় যে, তোমাদের মৃত্যু হইলে এবং তোমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইলেও তোমাদেরকে উত্থিত করা হইবে?

সূরা আল মুমিনুন

هَيۡهَاتَ هَيۡهَاتَ لِمَا تُوۡعَدُوۡنَ ۙ‏﴿۳۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৬ : ‘অসম্ভব, তোমাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা অসম্ভব।

সূরা আল মুমিনুন

اِنۡ هِىَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنۡيَا نَمُوۡتُ وَنَحۡيَا وَمَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِيۡنَ ۙ‏﴿۳۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৭ : ‘একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন, আমরা মরি বাঁচি এইখানেই এবং আমরা উত্থিত হইব না।

সূরা আল মুমিনুন

اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلُ اۨفۡتَـرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا وَّمَا نَحۡنُ لَهٗ بِمُؤۡمِنِيۡنَ‏﴿۳۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৮ : ‘সে তো এমন ব্যক্তি যে আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং আমরা তাহাকে বিশ্বাস করিবার নই।’

সূরা আল মুমিনুন

قَالَ رَبِّ انْصُرۡنِىۡ بِمَا كَذَّبُوۡنِ‏﴿۳۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৩৯ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর; কারণ উহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে।’

সূরা আল মুমিনুন

قَالَ عَمَّا قَلِيۡلٍ لَّيُصۡبِحُنَّ نٰدِمِيۡنَ‌ۚ‏﴿۴۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪০ : আল্লাহ্ বলিলেন, অচিরে উহারা তো অনুতপ্ত হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

فَاَخَذَتۡهُمُ الصَّيۡحَةُ بِالۡحَـقِّ فَجَعَلۡنٰهُمۡ غُثَآءً‌ۚ فَبُعۡدًا لِّـلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ‏﴿۴۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪১ : অতঃপর সত্য সত্যই এক বিকট আওয়াজ উহাদেরকে আঘাত করিল এবং আমি উহাদেরকে তরঙ্গ - তাড়িত আবর্জআন্ নাসদৃশ করিয়া দিলাম। সুতরাং ধ্বংস হইয়া গেল জালিম সম্প্রদায়।

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قُرُوۡنًا اٰخَرِيۡنَؕ‏﴿۴۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪২ : অতঃপর তাহাদের পরে আমি বহু জাতি সৃষ্টি করিয়াছি।

সূরা আল মুমিনুন

مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّةٍ اَجَلَهَا وَمَا يَسۡتَـاۡخِرُوۡنَؕ‏﴿۴۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৩ : কোন জাতিই তাহার নির্ধারিত কালকে ত্বরান্বিত করিতে পারে না, বিলম্বিতও করিতে পারে না।

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡـرَا‌ ؕ كُلَّ مَا جَآءَ اُمَّةً رَّسُوۡلُهَا كَذَّبُوۡهُ‌ فَاَتۡبَـعۡنَا بَعۡـضَهُمۡ بَعۡـضًا وَّجَعَلۡنٰهُمۡ اَحَادِيۡثَ‌ ۚ فَبُـعۡدًا لِّـقَوۡمٍ لَّا يُؤۡمِنُوۡنَ‏﴿۴۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৪ : অতঃপর আমি একের পর এক আমার রাসূল প্রেরণ করিয়াছি। যখনই কোন জাতির নিকট তাহার রাসূল আসিয়াছে তখনই উহারা তাহাকে মিথ্যাবাদী বলিয়াছে। অতঃপর আমি উহাদের একের পর এককে ধ্বংস করিলাম। আমি উহাদেরকে কাহিনীর বিষয় করিয়াছি। সুতরাং ধ্বংস হউক অবিশ্বাসীরা!

সূরা আল মুমিনুন

ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰى وَاَخَاهُ هٰرُوۡنَ ۙ بِاٰيٰتِنَا وَسُلۡطٰنٍ مُّبِيۡنٍۙ‏﴿۴۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৫ : অতঃপর আমি আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ মূসা ও তাহার ভ্রাতা হারূনকে পাঠাইলাম,

সূরা আল মুমিনুন

اِلٰى فِرۡعَوۡنَ وَمَلَا۟ٮِٕهٖ فَاسۡتَكۡبَرُوۡا وَكَانُوۡا قَوۡمًا عٰلِيۡنَ‌ ۚ‏﴿۴۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৬ : ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট। কিন্তু উহারা অহংকার করিল; উহারা ছিল উদ্ধত সম্প্রদায়।

সূরা আল মুমিনুন

فَقَالُـوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَيۡنِ مِثۡلِنَا وَقَوۡمُهُمَا لَـنَا عٰبِدُوۡنَ‌ۚ‏﴿۴۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৭ : উহারা বলিল, ‘আমরা কি এমন দুই ব্যক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করিব যাহারা আমাদেরই মত এবং যাহাদের সম্প্রদায় আমাদের দাসত্ব করে?’

সূরা আল মুমিনুন

فَكَذَّبُوۡهُمَا فَكَانُوۡا مِنَ الۡمُهۡلَـكِيۡنَ‏﴿۴۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৮ : অতঃপর উহারা তাহাদেরকে অস্বীকার করিল, ফলে উহারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হইল।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَـقَدۡ اٰتَيۡنَا مُوۡسَى الۡـكِتٰبَ لَعَلَّهُمۡ يَهۡتَدُوۡنَ‏﴿۴۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৪৯ : আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়াছিলাম যাহাতে উহারা সৎপথ পায়।

সূরা আল মুমিনুন

وَجَعَلۡنَا ابۡنَ مَرۡيَمَ وَاُمَّهٗۤ اٰيَةً وَّاٰوَيۡنٰهُمَاۤ اِلٰى رَبۡوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّمَعِيۡنٍ‏﴿۵۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫০ : এবং আমি মার্‌ইয়াম - তনয় ও তাহার জননীকে করিয়াছিলাম এক নিদর্শন, তাহাদেরকে আশ্রয় দিয়াছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবণবিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে।

সূরা আল মুমিনুন

يٰۤـاَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوۡا مِنَ الطَّيِّبٰتِ وَاعۡمَلُوْا صَالِحًـا‌ ؕ اِنِّىۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِيۡمٌ ؕ‏﴿۵۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫১ : ‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হইতে আহার কর ও সৎকর্ম কর; তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।

সূরা আল মুমিনুন

وَاِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُكُمۡ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّاَنَا رَبُّكُمۡ فَاتَّقُوۡنِ‏﴿۵۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫২ : ‘এবং তোমাদের এই যে জাতি ইহা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর।’

সূরা আল মুমিনুন

فَتَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَيۡنَهُمۡ زُبُرًا‌ ؕ كُلُّ حِزۡبٍۢ بِمَا لَدَيۡهِمۡ فَرِحُوۡنَ‏﴿۵۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৩ : কিন্তু তাহারা নিজেদের মধ্যে তাহাদের দীনকে বহুধা বিভক্ত করিয়াছে। প্রত্যেক দলই তাহাদের নিকট যাহা আছে তাহা লইয়া আনন্দিত।

সূরা আল মুমিনুন

فَذَرۡهُمۡ فِىۡ غَمۡرَتِهِمۡ حَتّٰى حِيۡنٍ‏﴿۵۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৪ : সুতরাং কিছুকালের জন্য উহাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকিতে দাও।

সূরা আল মুমিনুন

اَيَحۡسَبُوۡنَ اَنَّمَا نُمِدُّهُمۡ بِهٖ مِنۡ مَّالٍ وَّبَنِيۡنَۙ‏﴿۵۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৫ : উহারা কি মনে করে যে, আমি উহাদেরকে সাহায্যস্বরূপ যে ধনৈশ্বর্য ও সন্তান - সন্ততি দান করি, তদ্দারা

সূরা আল মুমিনুন

نُسَارِعُ لَهُمۡ فِى الۡخَيۡـرٰتِ‌ ؕ بَلْ لَّا يَشۡعُرُوۡنَ‏﴿۵۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৬ : উহাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করিতেছি? না, উহারা বুঝে না।

সূরা আল মুমিনুন

اِنَّ الَّذِيۡنَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡيَةِ رَبِّهِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَۙ‏﴿۵۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৭ : নিশ্চয় যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের ভয়ে সন্ত্রস্ত,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ بِاٰيٰتِ رَبِّهِمۡ يُؤۡمِنُوۡنَۙ‏﴿۵۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৮ : যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ هُمۡ بِرَبِّهِمۡ لَا يُشۡرِكُوۡنَۙ‏﴿۵۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৫৯ : যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সঙ্গে শরীক করে না,

সূরা আল মুমিনুন

وَالَّذِيۡنَ يُؤۡتُوۡنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّ قُلُوۡبُهُمۡ وَجِلَةٌ اَنَّهُمۡ اِلٰى رَبِّهِمۡ رٰجِعُوۡنَ ۙ‏﴿۶۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬০ : এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে এই বিশ্বাসে তাহাদের যাহা দান করিবার তাহা দান করে ভীত - কম্পিত হৃদয়ে,

সূরা আল মুমিনুন

اُولٰٓٮِٕكَ يُسَارِعُوۡنَ فِىۡ الۡخَيۡـرٰتِ وَهُمۡ لَهَا سٰبِقُوۡنَ‏﴿۶۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬১ : তাহারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তাহারা উহাতে অগ্রগামী হয়।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَا نُـكَلِّفُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا‌ وَلَدَيۡنَا كِتٰبٌ يَّـنۡطِقُ بِالۡحَـقِّ‌ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُوۡنَ‏﴿۶۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬২ : আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করি না এবং আমার নিকট আছে এক কিতাব যাহা সত্য ব্যক্ত করে এবং উহাদের প্রতি জুলুম করা হইবে না।

সূরা আল মুমিনুন

بَلۡ قُلُوۡبُهُمۡ فِىۡ غَمۡرَةٍ مِّنۡ هٰذَا وَلَهُمۡ اَعۡمَالٌ مِّنۡ دُوۡنِ ذٰلِكَ هُمۡ لَهَا عٰمِلُوۡنَ‏﴿۶۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৩ : বরং এই বিষয়ে উহাদের অন্তর অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন, এতদ্ব্যতীত তাহাদের আরও কাজ আছে যাহা উহারা করিয়া থাকে।

সূরা আল মুমিনুন

حَتّٰۤى اِذَاۤ اَخَذۡنَا مُتۡـرَفِيۡهِمۡ بِالۡعَذَابِ اِذَا هُمۡ يَجۡـــَٔرُوۡنَؕ‏﴿۶۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৪ : আর আমি যখন উহাদের ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করি তখনই উহারা আর্তনাদ করিয়া উঠে।

সূরা আল মুমিনুন

لَا تَجۡـــَٔرُوا الۡيَوۡمَ‌ اِنَّكُمۡ مِّنَّا لَا تُنۡصَرُوۡنَ ‏﴿۶۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৫ : তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘আজ আর্তনাদ করিও না, তোমরা আমার সাহায্য পাইবে না।’

সূরা আল মুমিনুন

قَدۡ كَانَتۡ اٰيٰتِىۡ تُتۡلٰى عَلَيۡكُمۡ فَـكُنۡتُمۡ عَلٰٓى اَعۡقَابِكُمۡ تَـنۡكِصُوۡنَۙ‏﴿۶۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৬ : আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হইত, কিন্তু তোমরা পিছনে ফিরিয়া সরিয়া পড়িতে -

সূরা আল মুমিনুন

مُسۡتَكۡبِرِيۡنَ ‌ۖ  بِهٖ سٰمِرًا تَهۡجُرُوۡنَ‏﴿۶۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৭ : দম্ভভরে, এই বিষয়ে অর্থহীন গল্প - গুজব করিতে করিতে।

সূরা আল মুমিনুন

اَفَلَمۡ يَدَّبَّرُوا الۡقَوۡلَ اَمۡ جَآءَهُمۡ مَّا لَمۡ يَاۡتِ اٰبَآءَهُمُ الۡاَوَّلِيۡنَ‏﴿۶۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৮ : তবে কি উহারা এই বাণী অনুধাবন করে না? অথবা উহাদের নিকট কি এমন কিছু আসিয়াছে যাহা উহাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসে নাই?

সূরা আল মুমিনুন

اَمۡ لَمۡ يَعۡرِفُوۡا رَسُوۡلَهُمۡ فَهُمۡ لَهٗ مُنۡكِرُوۡنَ‏﴿۶۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৬৯ : অথবা উহারা কি উহাদের রাসূলকে চিনে না বলিয়া তাহাকে অস্বীকার করে?

সূরা আল মুমিনুন

اَمۡ يَـقُوۡلُوۡنَ بِهٖ جِنَّةٌ  ؕ بَلۡ جَآءَهُمۡ بِالۡحَـقِّ وَاَكۡثَرُهُمۡ لِلۡحَقِّ كٰرِهُوۡنَ‏﴿۷۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭০ : অথবা উহারা কি বলে যে, সে উন্মাদনাগ্রস্ত, বস্তুত সে উহাদের নিকট সত্য আনিয়াছে এবং উহাদের অধিকাংশ সত্যকে অপসন্দ করে।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَوِ اتَّبَعَ الۡحَـقُّ اَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِيۡهِنَّ‌ؕ بَلۡ اَتَيۡنٰهُمۡ بِذِكۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَنۡ ذِكۡرِهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَؕ‏﴿۷۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭১ : সত্য যদি উহাদের কামনা - বাসনার অনুগামী হইত তবে বিশৃংখল হইয়া পড়িত আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুই। পক্ষান্তরে আমি উহাদেরকে দিয়াছি উপদেশ, কিন্তু উহারা উপদেশ হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয়।

সূরা আল মুমিনুন

اَمۡ تَسۡــَٔـلُهُمۡ خَرۡجًا فَخَرٰجُ رَبِّكَ خَيۡرٌ‌ ‌ۖ  وَّهُوَ خَيۡرُ الرّٰزِقِيۡنَ‏﴿۷۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭২ : অথবা তুমি কি উহাদের নিকট কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।

সূরা আল মুমিনুন

وَاِنَّكَ لَـتَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسۡتَقِيۡمٍ‏﴿۷۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৩ : তুমি তো উহাদেরকে সরল পথে আহ্বান করিতেছ।

সূরা আল মুমিনুন

وَاِنَّ الَّذِيۡنَ لَا يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَةِ عَنِ الصِّرَاطِ لَـنٰكِبُوۡنَ‏﴿۷۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৪ : যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত,

সূরা আল মুমিনুন

وَلَوۡ رَحِمۡنٰهُمۡ وَكَشَفۡنَا مَا بِهِمۡ مِّنۡ ضُرٍّ لَّـلَجُّوۡا فِىۡ طُغۡيَانِهِمۡ يَعۡمَهُوۡنَ‏﴿۷۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৫ : আমি উহাদেরকে দয়া করিলেও এবং উহাদের দুঃখ - দৈন্য দূর করিলেও উহারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিতে থাকিবে।

সূরা আল মুমিনুন

وَلَقَدۡ اَخَذۡنٰهُمۡ بِالۡعَذَابِ فَمَا اسۡتَكَانُوۡا لِرَبِّهِمۡ وَمَا يَتَضَرَّعُوۡنَ‏﴿۷۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৬ : আমি তো উহাদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করিলাম, কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি বিনত হইল না এবং কাতর প্রার্থনাও করে না।

সূরা আল মুমিনুন

حَتّٰٓى اِذَا فَتَحۡنَا عَلَيۡهِمۡ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِيۡدٍ اِذَا هُمۡ فِيۡهِ مُبۡلِسُوۡنَ‏﴿۷۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৭ : অবশেষে যখন আমি উহাদের জন্য কঠিন শাস্তির দুয়ার খুলিয়া দেই তখনই উহারা ইহাতে হতাশ হইয়া পড়ে।

সূরা আল মুমিনুন

وَهُوَ الَّذِىۡۤ اَنۡشَاَ لَـكُمُ السَّمۡعَ وَالۡاَبۡصَارَ وَالۡاَفۡـِٕدَةَ‌  ؕ قَلِيۡلًا مَّا تَشۡكُرُوۡنَ‏﴿۷۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৮ : তিনিই তোমাদের জন্য কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করিয়াছেন; তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া থাক।

সূরা আল মুমিনুন

وَهُوَ الَّذِىۡ ذَرَاَكُمۡ فِى الۡاَرۡضِ وَاِلَيۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ‏﴿۷۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৭৯ : তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করিয়াছেন এবং তোমাদেরকে তাঁহারই নিকট একত্র করা হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

وَهُوَ الَّذِىۡ يُحۡىٖ وَيُمِيۡتُ وَلَـهُ اخۡتِلَافُ الَّيۡلِ وَالنَّهَارِ‌ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ‏﴿۸۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮০ : তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং তাঁহারই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝিবে না?

সূরা আল মুমিনুন

بَلۡ قَالُوۡا مِثۡلَ مَا قَالَ الۡاَوَّلُوۡنَ‏﴿۸۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮১ : এতদসত্ত্বেও উহারা বলে, যেমন বলিয়াছিল পূর্ববর্তীরা।

সূরা আল মুমিনুন

قَالُوۡۤا ءَاِذَا مِتۡنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ‏﴿۸۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮২ : উহারা বলে, ‘আমাদের মৃত্যু ঘটিলে ও আমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইলেও কি আমরা উত্থিত হইব?

সূরা আল মুমিনুন

لَـقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَاٰبَآؤُنَا هٰذَا مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِيۡرُ الۡاَوَّلِيۡنَ‏﴿۸۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৩ : ‘আমাদেরকে তো এই বিষয়েই প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছে এবং অতীতে আমাদের পূর্বপুরুষগণকেও। ইহা তো সে কালের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’

সূরা আল মুমিনুন

قُلْ لِّمَنِ الۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِيۡهَاۤ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ‏﴿۸۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৪ : জিজ্ঞাসা কর, ‘এই পৃথিবী এবং ইহাতে যাহারা আছে তাহারা কাহার, যদি তোমরা জান?’

সূরা আল মুমিনুন

سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ‌ؕ قُلۡ اَفَلَا تَذَكَّرُوۡنَ‏﴿۸۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৫ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্‌র’। বল, ‘তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করিবে না?’

সূরা আল মুমিনুন

قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبۡعِ وَرَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِيۡمِ‏﴿۸۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৬ : জিজ্ঞাসা কর, ‘কে সপ্ত আকাশ এবং মহা‘আর্‌শের অধিপতি?’

সূরা আল মুমিনুন

سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ‌ؕ قُلۡ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ‏﴿۸۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৭ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্‌’। বল, ‘তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’

সূরা আল মুমিনুন

قُلۡ مَنۡۢ بِيَدِهٖ مَلَكُوۡتُ كُلِّ شَىۡءٍ وَّهُوَ يُجِيۡرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيۡهِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ‏﴿۸۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৮ : জিজ্ঞাসা কর, ‘সকল কিছুর কর্তৃত্ব কাহার হাতে, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁহার উপর আশ্রয়দাতা নাই, যদি তোমরা জান?’

সূরা আল মুমিনুন

سَيَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ‌ؕ قُلۡ فَاَنّٰى تُسۡحَرُوۡنَ‏﴿۸۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৮৯ : উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্‌র‌‌‍’। বল, ‌‌‍‘তবুও তোমরা কেমন করিয়া মোহগ্রস্ত হইতেছ?’

সূরা আল মুমিনুন

بَلۡ اَتَيۡنٰهُمۡ بِالۡحَـقِّ وَاِنَّهُمۡ لَكٰذِبُوۡنَ‏﴿۹۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯০ : বরং আমি তো উহাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছি; কিন্তু উহারা তো নিশ্চিত মিথ্যাবাদী।

সূরা আল মুমিনুন

مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنۡ وَّلَدٍ وَّمَا كَانَ مَعَهٗ مِنۡ اِلٰهٍ‌ اِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ اِلٰهٍۢ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يَصِفُوۡنَۙ‏﴿۹۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯১ : আল্লাহ্ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নাই এবং তাঁহার সঙ্গে অপর কোন ইলাহ্ নাই; যদি থাকিত তবে প্রত্যেক ইলাহ্ স্বীয় সৃষ্টি লইয়া পৃথক হইয়া যাইত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করিত। উহারা যাহা বলে তাহা হইতে আল্লাহ্ কত পবিত্র!

সূরা আল মুমিনুন

عٰلِمِ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ فَتَعٰلٰى عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏﴿۹۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯২ : তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, উহারা যাহাকে শরীক করে তিনি তাহার ঊর্ধ্বে।

সূরা আল মুমিনুন

قُل رَّبِّ اِمَّا تُرِيَنِّىۡ مَا يُوۡعَدُوۡنَۙ‏﴿۹۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৩ : বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইতেছে, তুমি যদি তাহা আমাকে দেখাইতে চাও,

সূরা আল মুমিনুন

رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِىۡ فِى الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِيۡنَ‏﴿۹۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৪ : ‘তবে, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করিও না।’

সূরা আল মুমিনুন

وَاِنَّا عَلٰٓى اَنۡ نُّرِيَكَ مَا نَعِدُهُمۡ لَقٰدِرُوۡنَ‏﴿۹۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৫ : আমি তাহাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করিতেছি আমি তাহা তোমাকে দেখাইতে অবশ্যই সক্ষম।

সূরা আল মুমিনুন

اِدۡفَعۡ بِالَّتِىۡ هِىَ اَحۡسَنُ السَّيِّئَةَ‌ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا يَصِفُوۡنَ ‏﴿۹۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৬ : মন্দের মুকাবিলা কর যাহা উত্তম তাহা দ্বারা; উহারা যাহা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।

সূরা আল মুমিনুন

وَقُلْ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِكَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّيٰطِيۡنِۙ ‏﴿۹۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৭ : বল, ‘হে আমার প্রতি - পালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হইতে,

সূরা আল মুমিনুন

وَاَعُوۡذُ بِكَ رَبِّ اَنۡ يَّحۡضُرُوۡنِ‏﴿۹۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৮ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট উহাদের উপস্থিতি হইতে।’

সূরা আল মুমিনুন

حَتّٰٓى اِذَا جَآءَ اَحَدَهُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِۙ‏﴿۹۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-৯৯ : যখন উহাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় প্রেরণ কর,

সূরা আল মুমিনুন

لَعَلِّىۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًـا فِيۡمَا تَرَكۡتُ‌ؕ كَلَّا‌ ؕ اِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَآٮِٕلُهَا‌ؕ وَمِنۡ وَّرَآٮِٕهِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰى يَوۡمِ يُبۡعَثُوۡنَ‏﴿۱۰۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০০ : ‘যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা আমি পূর্বে করি নাই।’ না, ইহা হইবার নয়। ইহা তো উহার একটি উক্তি মাত্র। উহাদের সম্মুখে বারযাখ থাকিবে উত্থান দিবস পর্যন্ত।

সূরা আল মুমিনুন

فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَٮِٕذٍ وَّلَا يَتَسَآءَلُوۡنَ‏﴿۱۰۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০১ : এবং যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকিবে না, এবং একে অপরের খোঁজ - খবর লইবে না,

সূরা আল মুমিনুন

فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِيۡنُهٗ فَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‏﴿۱۰۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০২ : এবং যাহাদের পাল্লা ভারী হইবে তাহারাই হইবে সফলকাম,

সূরা আল মুমিনুন

وَمَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِيۡنُهٗ فَاُولٰٓٮِٕكَ الَّذِيۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِىۡ جَهَـنَّمَ خٰلِدُوۡنَ‌ ۚ‏﴿۱۰۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৩ : এবং যাহাদের পাল্লা হাল্‌কা হইবে তাহারাই নিজেদের ক্ষতি করিয়াছে; উহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে।

সূরা আল মুমিনুন

تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَهُمۡ فِيۡهَا كٰلِحُوۡنَ‏﴿۱۰۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৪ : অগ্নি উহাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করিবে এবং উহারা সেখানে থাকিবে বীভৎস চেহারায়;

সূরা আল মুমিনুন

اَلَمۡ تَكُنۡ اٰيٰتِىۡ تُتۡلٰى عَلَيۡكُمۡ فَكُنۡتُمۡ بِهَا تُكَذِّبُوۡنَ‏﴿۱۰۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৫ : তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হইত না? অথচ তোমরা সেই সকল অস্বীকার করিতে।

সূরা আল মুমিনুন

قَالُوۡا رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَيۡنَا شِقۡوَتُنَا وَكُنَّا قَوۡمًا ضَآلِّيۡنَ‏﴿۱۰۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৬ : উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পাইয়া বসিয়াছিল এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়;

সূরা আল মুমিনুন

رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡهَا فَاِنۡ عُدۡنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوۡنَ‏﴿۱۰۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৭ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই অগ্নি হইতে আমাদেরকে উদ্ধার কর; অতঃপর আমরা যদি পুনরায় কুফরী করি তবে তো আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হইব।’

সূরা আল মুমিনুন

قَالَ اخۡسَـُٔـوۡا فِيۡهَا وَلَا تُكَلِّمُوۡنِ‏﴿۱۰۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৮ : আল্লাহ্‌ বলিবেন, ‘তোরা হীন অবস্থায় এইখানে থাক্‌ এবং আমার সহিত কোন কথা বলিস্‌ না।’

সূরা আল মুমিনুন

اِنَّهٗ كَانَ فَرِيۡقٌ مِّنۡ عِبَادِىۡ يَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَـنَا وَارۡحَمۡنَا وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ‌‌ۖ‌ۚ‏﴿۱۰۹﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১০৯ : আমার বান্দাগণের মধ্যে একদল ছিল যাহারা বলিত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

সূরা আল মুমিনুন

فَاتَّخَذۡتُمُوۡهُمۡ سِخۡرِيًّا حَتّٰٓى اَنۡسَوۡكُمۡ ذِكۡرِىۡ وَكُنۡتُمۡ مِّنۡهُمۡ تَضۡحَكُوۡنَ‏﴿۱۱۰﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১০ : ‘কিন্তু তাহাদেরকে লইয়া তোমরা এতো ঠাট্টা - বিদ্রপ করিতে যে, উহা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলাইয়া দিয়াছিল। তোমরা তো তাহাদেরকে লইয়া হাসি - ঠাট্টাই করিতে।’

সূরা আল মুমিনুন

اِنِّىۡ جَزَيۡتُهُمُ الۡيَوۡمَ بِمَا صَبَرُوۡۤا ۙ اَنَّهُمۡ هُمُ الۡفَآٮِٕزُوۡنَ‏﴿۱۱۱﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১১ : ‘আমি আজ তাহাদেরকে তাহাদের ধৈর্যের কারণে এমনভাবে পুরস্কৃত করিলাম যে, তাহারাই হইল সফলকাম।’

সূরা আল মুমিনুন

قٰلَ كَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِى الۡاَرۡضِ عَدَدَ سِنِيۡنَ‏﴿۱۱۲﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১২ : আল্লাহ্‌ বলিবেন, ‘তােমরা পৃথিবীতে কত বৎসর অবস্থান করিয়াছিলে?’

সূরা আল মুমিনুন

قَالُوۡا لَبِثۡنَا يَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٍ فَسۡــَٔـلِ الۡعَآدِّيۡنَ‏﴿۱۱۳﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৩ : উহারা বলিবে, ‘আমরা অবস্থান করিয়াছিলাম একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ; আপনি না হয়, গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’

সূরা আল মুমিনুন

قٰلَ اِنۡ لَّبِثۡـتُمۡ اِلَّا قَلِيۡلًا لَّوۡ اَنَّكُمۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ‏﴿۱۱۴﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৪ : তিনি বলিবেন, ‘তোমরা অল্প কালই অবস্থান করিয়াছিলে, যদি তোমরা জানিতে!

সূরা আল মুমিনুন

اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰكُمۡ عَبَثًا وَّاَنَّكُمۡ اِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ‏﴿۱۱۵﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৫ : ‘তোমরা কি মনে করিয়াছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করিয়াছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে না?’

সূরা আল মুমিনুন

فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَـقُّ‌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡـكَرِيۡمِ‏﴿۱۱۶﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৬ : মহিমান্বিত আল্লাহ্‌ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; সম্মানিত আর্‌শের তিনি অধিপতি।

সূরা আল মুমিনুন

وَمَنۡ يَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفۡلِحُ الۡـكٰفِرُوۡنَ‏﴿۱۱۷﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৭ : যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সঙ্গে ডাকে অন্য ইলাহ্‌কে, এই বিষয়ে তাহার নিকট কোন সনদ নাই; তাহার হিসাব তাহার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হইবে না।

সূরা আল মুমিনুন

وَقُلْ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَارۡحَمۡ وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ ‏﴿۱۱۸﴾

সূরা আল মুমিনুন

২৩-১১৮ : বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’