আয়াত ৩সংরক্ষণ#وَمَاۤ اَدۡرٰٮكَ مَا الۡحَــآقَّةُ ؕ﴿۳﴾৬৯-৩ : আর তুমি কি জান সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী?
আয়াত ৪সংরক্ষণ#كَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ وَعَادٌۢ بِالۡقَارِعَةِ﴿۴﴾৬৯-৪ : আদ ও সামূদ সম্প্রদায় অস্বীকার করিয়াছিল মহাপ্রলয়।
আয়াত ৫সংরক্ষণ#فَاَمَّا ثَمُوۡدُ فَاُهۡلِكُوۡا بِالطَّاغِيَةِ﴿۵﴾৬৯-৫ : আর সামূদ সম্প্রদায়, উহাদেরকে ধ্বংস করা হইয়াছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দ্বারা।
আয়াত ৬সংরক্ষণ#وَاَمَّا عَادٌ فَاُهۡلِكُوۡا بِرِيۡحٍ صَرۡصَرٍ عَاتِيَةٍۙ﴿۶﴾৬৯-৬ : আর ‘আদ সম্প্রদায়, উহাদেরকে ধ্বংস করা হইয়াছিল এক প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা,
আয়াত ৭সংরক্ষণ#سَخَّرَهَا عَلَيۡهِمۡ سَبۡعَ لَيَالٍ وَّثَمٰنِيَةَ اَيَّامٍۙ حُسُوۡمًا ۙ فَتَرَى الۡقَوۡمَ فِيۡهَا صَرۡعٰىۙ كَاَنَّهُمۡ اَعۡجَازُ نَخۡلٍ خَاوِيَةٍ ۚ﴿۷﴾৬৯-৭ : যাহা তিনি উহাদের উপর প্রবাহিত করিয়াছিলেন সপ্তরাত্রি ও অষ্টদিবস বিরামহীনভাবে; তখন তুমি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখিতে - উহারা সেখানে লুটাইয়া পড়িয়া আছে সারশূন্য খর্জুর কাণ্ডের ন্যায়।
আয়াত ৮সংরক্ষণ#فَهَلۡ تَرٰى لَهُمۡ مِّنۡۢ بَاقِيَةٍ﴿۸﴾৬৯-৮ : অতঃপর উহাদের কাহাকেও তুমি বিদ্যমান দেখিতে পাও কি?
আয়াত ৯সংরক্ষণ#وَجَآءَ فِرۡعَوۡنُ وَمَنۡ قَبۡلَهٗ وَالۡمُؤۡتَفِكٰتُ بِالۡخَـاطِئَةِۚ﴿۹﴾৬৯-৯ : ফির‘আওন, তাহার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টাইয়া দেওয়া জনপদ পাপাচারে লিপ্ত ছিল।
আয়াত ১০সংরক্ষণ#فَعَصَوۡا رَسُوۡلَ رَبِّهِمۡ فَاَخَذَهُمۡ اَخۡذَةً رَّابِيَةً﴿۱۰﴾৬৯-১০ : উহারা উহাদের প্রতিপালকের রাসূলকে অমান্য করিয়াছিল, ফলে তিনি উহাদেরকে শাস্তি দিলেন - কঠোর শাস্তি।
আয়াত ১১সংরক্ষণ#اِنَّا لَمَّا طَغَا الۡمَآءُ حَمَلۡنٰكُمۡ فِى الۡجَارِيَةِ ۙ﴿۱۱﴾৬৯-১১ : যখন জলোচ্ছ্বাস হইয়াছিল তখন আমি তোমাদের - কে আরোহণ করাইয়াছিলাম নৌযানে,
আয়াত ১২সংরক্ষণ#لِنَجۡعَلَهَا لَـكُمۡ تَذۡكِرَةً وَّتَعِيَهَاۤ اُذُنٌ وَّاعِيَةٌ﴿۱۲﴾৬৯-১২ : আমি ইহা করিয়াছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্য এবং এইজন্য যে, শ্রুতিধর কর্ণ ইহা সংরক্ষণ করে।
আয়াত ১৩সংরক্ষণ#فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوۡرِ نَفۡخَةٌ وَّاحِدَةٌ ۙ﴿۱۳﴾৬৯-১৩ : যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হইবে - একটি মাত্র ফুৎকার,
আয়াত ১৪সংরক্ষণ#وَحُمِلَتِ الۡاَرۡضُ وَ الۡجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةً ۙ﴿۱۴﴾৬৯-১৪ : পর্বতমালাসমেত পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হইবে এবং মাত্র এক ধাক্কায় উহারা চূর্ণ - বিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
আয়াত ১৬সংরক্ষণ#وَانْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَهِىَ يَوۡمَٮِٕذٍ وَّاهِيَةٌ ۙ﴿۱۶﴾৬৯-১৬ : এবং আকাশ বিদীর্ণ হইয়া যাইবে আর সেই দিন উহা বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িবে।
আয়াত ১৭সংরক্ষণ#وَّالۡمَلَكُ عَلٰٓى اَرۡجَآٮِٕهَا ؕ وَيَحۡمِلُ عَرۡشَ رَبِّكَ فَوۡقَهُمۡ يَوۡمَٮِٕذٍ ثَمٰنِيَةٌ ؕ﴿۱۷﴾৬৯-১৭ : ফিরিশ্তাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকিবে এবং সেই দিন আটজন ফিরিশ্তা তোমার প্রতিপালকের আরশকে ধারণ করিবে তাহাদের ঊর্ধ্বে।
আয়াত ১৮সংরক্ষণ#يَوۡمَٮِٕذٍ تُعۡرَضُوۡنَ لَا تَخۡفٰى مِنۡكُمۡ خَافِيَةٌ﴿۱۸﴾৬৯-১৮ : সেই দিন উপস্থিত করা হইবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কিছুই গোপন থাকিবে না।
আয়াত ১৯সংরক্ষণ#فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِىَ كِتٰبَهٗ بِيَمِيۡنِهٖۙ فَيَقُوۡلُ هَآؤُمُ اقۡرَءُوۡا كِتٰبِيَهۡۚ﴿۱۹﴾৬৯-১৯ : তখন যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার দক্ষিণ হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা, পড়িয়া দেখ ;
আয়াত ২০সংরক্ষণ#اِنِّىۡ ظَنَنۡتُ اَنِّىۡ مُلٰقٍ حِسَابِيَهۡۚ﴿۲۰﴾৬৯-২০ : ‘নিশ্চয়ই আমি জানিতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হইতে হইবে।’
আয়াত ২৪সংরক্ষণ#كُلُوۡا وَاشۡرَبُوۡا هَنِيۡٓـــًٔا ۢ بِمَاۤ اَسۡلَفۡتُمۡ فِى الۡاَيَّامِ الۡخَـالِيَةِ﴿۲۴﴾৬৯-২৪ : তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘পানাহার কর তৃপ্তির সঙ্গে, তোমরা অতীত দিনে যাহা করিয়াছিলে তাহার বিনিময়ে।’
আয়াত ২৫সংরক্ষণ#وَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِىَ كِتٰبَهٗ بِشِمَالِهٖ ۙ فَيَقُوۡلُ يٰلَيۡتَنِىۡ لَمۡ اُوۡتَ كِتٰبِيَهۡۚ﴿۲۵﴾৬৯-২৫ : কিন্তু যাহার ‘আমলনামা তাহার বাম হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেওয়াই না হইত আমার ‘আমলনামা,
আয়াত ২৭সংরক্ষণ#يٰلَيۡتَهَا كَانَتِ الۡقَاضِيَةَ ۚ﴿۲۷﴾৬৯-২৭ : ‘হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হইত।
আয়াত ২৮সংরক্ষণ#مَاۤ اَغۡنٰى عَنِّىۡ مَالِيَهۡۚ﴿۲۸﴾৬৯-২৮ : ‘আমার ধন - সম্পদ আমার কোন কাজেই আসিল না।
আয়াত ৩০সংরক্ষণ#خُذُوۡهُ فَغُلُّوۡهُ ۙ﴿۳۰﴾৬৯-৩০ : ফিরিশ্তাদেরকে বলা হইবে, ‘ধর উহাকে, উহার গলদেশে বেড়ি পরাইয়া দাও।
আয়াত ৩২সংরক্ষণ#ثُمَّ فِىۡ سِلۡسِلَةٍ ذَرۡعُهَا سَبۡعُوۡنَ ذِرَاعًا فَاسۡلُكُوۡهُ ؕ﴿۳۲﴾৬৯-৩২ : ‘পুনরায় তাহাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর হস্ত দীর্ঘ এক শৃঙ্খলে’,
আয়াত ৩৩সংরক্ষণ#اِنَّهٗ كَانَ لَا يُؤۡمِنُ بِاللّٰهِ الۡعَظِيۡمِۙ﴿۳۳﴾৬৯-৩৩ : সে তো মহান আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসী ছিল না।
আয়াত ৩৪সংরক্ষণ#وَلَا يَحُضُّ عَلٰى طَعَامِ الۡمِسۡكِيۡنِؕ﴿۳۴﴾৬৯-৩৪ : এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহিত করিত না,
আয়াত ৩৫সংরক্ষণ#فَلَيۡسَ لَـهُ الۡيَوۡمَ هٰهُنَا حَمِيۡمٌۙ﴿۳۵﴾৬৯-৩৫ : অতএব এই দিন সেখানে তাহার কোন সুহৃদ থাকিবে না,
আয়াত ৩৬সংরক্ষণ#وَّلَا طَعَامٌ اِلَّا مِنۡ غِسۡلِيۡنٍۙ﴿۳۶﴾৬৯-৩৬ : এবং কোন খাদ্য থাকিবে না ক্ষতনিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত,
আয়াত ৩৮সংরক্ষণ#فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَا تُبۡصِرُوۡنَۙ﴿۳۸﴾৬৯-৩৮ : আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও,
আয়াত ৪০সংরক্ষণ#اِنَّهٗ لَقَوۡلُ رَسُوۡلٍ كَرِيۡمٍۚ ۙ﴿۴۰﴾৬৯-৪০ : নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা।
আয়াত ৪১সংরক্ষণ#وَّمَا هُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٍؕ قَلِيۡلًا مَّا تُؤۡمِنُوۡنَۙ﴿۴۱﴾৬৯-৪১ : ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর,
আয়াত ৪২সংরক্ষণ#وَلَا بِقَوۡلِ كَاهِنٍؕ قَلِيۡلًا مَّا تَذَكَّرُوۡنَؕ ﴿۴۲﴾৬৯-৪২ : ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর।
আয়াত ৪৩সংরক্ষণ#تَنۡزِيۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِيۡنَ﴿۴۳﴾৬৯-৪৩ : ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ।
আয়াত ৪৪সংরক্ষণ#وَلَوۡ تَقَوَّلَ عَلَيۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِيۡلِۙ﴿۴۴﴾৬৯-৪৪ : সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত,
আয়াত ৪৫সংরক্ষণ#لَاَخَذۡنَا مِنۡهُ بِالۡيَمِيۡنِۙ﴿۴۵﴾৬৯-৪৫ : আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম,
আয়াত ৪৬সংরক্ষণ#ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡهُ الۡوَتِيۡنَ ۖ﴿۴۶﴾৬৯-৪৬ : এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন - ধমনী,
আয়াত ৪৭সংরক্ষণ#فَمَا مِنۡكُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡهُ حَاجِزِيۡنَ﴿۴۷﴾৬৯-৪৭ : অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে।
আয়াত ৪৮সংরক্ষণ#وَاِنَّهٗ لَتَذۡكِرَةٌ لِّلۡمُتَّقِيۡنَ﴿۴۸﴾৬৯-৪৮ : এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ।
আয়াত ৪৯সংরক্ষণ#وَاِنَّا لَنَعۡلَمُ اَنَّ مِنۡكُمۡ مُّكَذِّبِيۡنَ﴿۴۹﴾৬৯-৪৯ : আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে।
আয়াত ৫০সংরক্ষণ#وَاِنَّهٗ لَحَسۡرَةٌ عَلَى الۡكٰفِرِيۡنَ﴿۵۰﴾৬৯-৫০ : এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হইবে,
আয়াত ৫২সংরক্ষণ#فَسَبِّحۡ بِاسۡمِ رَبِّكَ الۡعَظِيۡمِ﴿۵۲﴾৬৯-৫২ : অতএব তুমি মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।