আয়াত ১সংরক্ষণ#نٓ وَالۡقَلَمِ وَمَا يَسۡطُرُوۡنَۙ﴿۱﴾৬৮-১ : নূন - শপথ কলমের এবং উহারা যাহা লিপিবদ্ধ করে তাহার,
আয়াত ২সংরক্ষণ#مَاۤ اَنۡتَ بِـنِعۡمَةِ رَبِّكَ بِمَجۡنُوۡنٍۚ﴿۲﴾৬৮-২ : তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি উন্মাদ নও।
আয়াত ৩সংরক্ষণ#وَاِنَّ لَڪَ لَاَجۡرًا غَيۡرَ مَمۡنُوۡنٍۚ﴿۳﴾৬৮-৩ : তোমার জন্য অবশ্যই রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার,
আয়াত ৭সংরক্ষণ#اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِيۡلِهٖ وَهُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِيۡنَ﴿۷﴾৬৮-৭ : তোমার প্রতিপালক তো সম্যক অবগত আছেন কে তাঁহার পথ হইতে বিচ্যুত হইয়াছে এবং তিনি সম্যক জানেন তাহাদেরকে, যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।
আয়াত ৯সংরক্ষণ#وَدُّوۡا لَوۡ تُدۡهِنُ فَيُدۡهِنُوۡنَ﴿۹﴾৬৮-৯ : উহারা চায় যে, তুমি নমনীয় হও, তাহা হইলে উহারাও নমনীয় হইবে,
আয়াত ১০সংরক্ষণ#وَلَا تُطِعۡ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِيۡنٍۙ﴿۱۰﴾৬৮-১০ : এবং অনুসরণ করিও না তাহার - যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত,
আয়াত ১১সংরক্ষণ#هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۢ بِنَمِيۡمٍۙ﴿۱۱﴾৬৮-১১ : পশ্চাতে নিন্দাকারী, যে একের কথা অপরের নিকট লাগাইয়া বেড়ায়,
আয়াত ১২সংরক্ষণ#مَّنَّاعٍ لِّلۡخَيۡرِ مُعۡتَدٍ اَثِيۡمٍۙ﴿۱۲﴾৬৮-১২ : যে কল্যাণের কার্যে বাধা দান করে, যে সীমালংঘনকারী, পাপিষ্ঠ,
আয়াত ১৪সংরক্ষণ#اَنۡ كَانَ ذَا مَالٍ وَّبَنِيۡنَؕ﴿۱۴﴾৬৮-১৪ : এইজন্য যে, সে ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততিতে সমৃদ্ধিশালী।
আয়াত ১৫সংরক্ষণ#اِذَا تُتۡلٰى عَلَيۡهِ اٰيٰتُنَا قَالَ اَسَاطِيۡرُ الۡاَوَّلِيۡنَ﴿۱۵﴾৬৮-১৫ : উহার নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হইলে সে বলে, ‘ইহা তো সেকালের উপকথা মাত্র।’
আয়াত ১৭সংরক্ষণ#اِنَّا بَلَوۡنٰهُمۡ كَمَا بَلَوۡنَاۤ اَصۡحٰبَ الۡجَـنَّةِ ۚ اِذۡ اَقۡسَمُوۡا لَيَصۡرِمُنَّهَا مُصۡبِحِيۡنَۙ ﴿۱۷﴾৬৮-১৭ : আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছি, যেভাবে পরীক্ষা করিয়াছিলাম উদ্যান - অধিপতিগণকে, যখন উহারা শপথ করিয়াছিল যে, উহারা প্রত্যূষে আহরণ করিবে বাগানের ফল,
আয়াত ১৯সংরক্ষণ#فَطَافَ عَلَيۡهَا طَآٮِٕفٌ مِّنۡ رَّبِّكَ وَهُمۡ نَآٮِٕمُوۡنَ﴿۱۹﴾৬৮-১৯ : অতঃপর তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে এক বিপর্যয় হানা দিল সেই উদ্যানে, যখন উহারা ছিল নিদ্রিত।
আয়াত ২২সংরক্ষণ#اَنِ اغۡدُوۡا عَلٰى حَرۡثِكُمۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ صٰرِمِيۡنَ﴿۲۲﴾৬৮-২২ : ‘তোমরা যদি ফল আহরণ করিতে চাও তবে সকাল সকাল বাগানে চল।’
আয়াত ২৩সংরক্ষণ#فَانۡطَلَقُوۡا وَهُمۡ يَتَخَافَتُوۡنَۙ ﴿۲۳﴾৬৮-২৩ : অতঃপর উহারা চলিল নিম্নস্বরে কথা বলিতে বলিতে,
আয়াত ২৪সংরক্ষণ#اَنۡ لَّا يَدۡخُلَنَّهَا الۡيَوۡمَ عَلَيۡكُمۡ مِّسۡكِيۡنٌۙ﴿۲۴﴾৬৮-২৪ : ‘অদ্য যেন তোমাদের নিকটে কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি উহাতে প্রবেশ করিতে না পারে।’
আয়াত ২৫সংরক্ষণ#وَّغَدَوۡا عَلٰى حَرۡدٍ قٰدِرِيۡنَ ﴿۲۵﴾৬৮-২৫ : অতঃপর উহারা নিবৃত্ত করিতে সক্ষম - এই বিশ্বাস লইয়া প্রভাতকালে বাগানে যাত্রা করিল।
আয়াত ২৬সংরক্ষণ#فَلَمَّا رَاَوۡهَا قَالُوۡۤا اِنَّا لَـضَآلُّوۡنَۙ﴿۲۶﴾৬৮-২৬ : অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল, তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি।
আয়াত ২৮সংরক্ষণ#قَالَ اَوۡسَطُهُمۡ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّكُمۡ لَوۡلَا تُسَبِّحُوۡنَ ﴿۲۸﴾৬৮-২৮ : উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই ? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন ?’
আয়াত ২৯সংরক্ষণ#قَالُوۡا سُبۡحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيۡنَ﴿۲۹﴾৬৮-২৯ : তখন উহারা বলিল, ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’
আয়াত ৩০সংরক্ষণ#فَاَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ يَّتَلَاوَمُوۡنَ﴿۳۰﴾৬৮-৩০ : অতঃপর উহারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করিতে লাগিল।
আয়াত ৩১সংরক্ষণ#قَالُوۡا يٰوَيۡلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا طٰغِيۡنَ﴿۳۱﴾৬৮-৩১ : উহারা বলিল, ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের ! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী।
আয়াত ৩২সংরক্ষণ#عَسٰى رَبُّنَاۤ اَنۡ يُّبۡدِلَـنَا خَيۡرًا مِّنۡهَاۤ اِنَّاۤ اِلٰى رَبِّنَا رٰغِبُوۡنَ﴿۳۲﴾৬৮-৩২ : সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’
আয়াত ৩৩সংরক্ষণ#كَذٰلِكَ الۡعَذَابُؕ وَلَعَذَابُ الۡاٰخِرَةِ اَكۡبَرُ ۘ لَوۡ كَانُوۡا يَعۡلَمُوۡنَ﴿۳۳﴾৬৮-৩৩ : শাস্তি এইরূপই হইয়া থাকে এবং আখিরাতের শাস্তি কঠিনতর। যদি উহারা জানিত।
আয়াত ৩৪সংরক্ষণ#اِنَّ لِلۡمُتَّقِيۡنَ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ جَنّٰتِ النَّعِيۡمِ﴿۳۴﴾৬৮-৩৪ : মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ - বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট।
আয়াত ৩৫সংরক্ষণ#اَفَنَجۡعَلُ الۡمُسۡلِمِيۡنَ كَالۡمُجۡرِمِيۡنَؕ﴿۳۵﴾৬৮-৩৫ : আমি কি আত্মসমর্পণ - কারীদেরকে অপরাধীদের সমতুল্য গণ্য করিব?
আয়াত ৩৬সংরক্ষণ#مَا لَـكُمۡ كَيۡفَ تَحۡكُمُوۡنَۚ﴿۳۶﴾৬৮-৩৬ : তোমাদের কী হইয়াছে, তোমরা এ কেমন সিদ্ধান্ত দিতেছ?
আয়াত ৩৭সংরক্ষণ#اَمۡ لَـكُمۡ كِتٰبٌ فِيۡهِ تَدۡرُسُوۡنَۙ﴿۳۷﴾৬৮-৩৭ : তোমাদের নিকট কী কোন কিতাব আছে যাহাতে তোমরা অধ্যয়ন কর -
আয়াত ৩৮সংরক্ষণ#اِنَّ لَـكُمۡ فِيۡهِ لَمَا تَخَيَّرُوۡنَۚ﴿۳۸﴾৬৮-৩৮ : যে, তোমাদের জন্য উহাতে রহিয়াছে যাহা তোমরা পসন্দ কর?
আয়াত ৩৯সংরক্ষণ#اَمۡ لَـكُمۡ اَيۡمَانٌ عَلَيۡنَا بَالِغَةٌ اِلٰى يَوۡمِ الۡقِيٰمَةِ ۙ اِنَّ لَـكُمۡ لَمَا تَحۡكُمُوۡنَۚ﴿۳۹﴾৬৮-৩৯ : তোমাদের কি আমার সঙ্গে কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন অঙ্গীকার রহিয়াছে যে, তোমরা নিজেদের জন্য যাহা স্থির করিবে তাহাই পাইবে?
আয়াত ৪০সংরক্ষণ#سَلۡهُمۡ اَيُّهُمۡ بِذٰلِكَ زَعِيۡمٌ ۛۚ﴿۴۰﴾৬৮-৪০ : তুমি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর উহাদের মধ্যে এই দাবির যিম্মাদার কে?
আয়াত ৪১সংরক্ষণ#اَمۡ لَهُمۡ شُرَكَآءُ ۛۚ فَلۡيَاۡتُوۡا بِشُرَكَآٮِٕهِمۡ اِنۡ كَانُوۡا صٰدِقِيۡنَ﴿۴۱﴾৬৮-৪১ : উহাদের কি কোন দেব - দেবী আছে? থাকিলে উহারা উহাদের দেব - দেবীগুলিকে উপস্থিত করুক - যদি উহারা সত্যবাদী হয়।
আয়াত ৪২সংরক্ষণ#يَوۡمَ يُكۡشَفُ عَنۡ سَاقٍ وَّيُدۡعَوۡنَ اِلَى السُّجُوۡدِ فَلَا يَسۡتَطِيۡعُوۡنَۙ﴿۴۲﴾৬৮-৪২ : স্মরণ কর সেই দিনের কথা, যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত করা হইবে, সেই দিন উহাদেরকে আহ্বান করা হইবে সিজ্দা করিবার জন্য কিন্তু উহারা সক্ষম হইবে না;
আয়াত ৪৩সংরক্ষণ#خَاشِعَةً اَبۡصَارُهُمۡ تَرۡهَقُهُمۡ ذِلَّةٌ ؕ وَقَدۡ كَانُوۡا يُدۡعَوۡنَ اِلَى السُّجُوۡدِ وَهُمۡ سٰلِمُوۡنَ﴿۴۳﴾৬৮-৪৩ : উহাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা উহাদেরকে আচ্ছন্ন করিবে অথচ যখন উহারা নিরাপদ ছিল তখন তো উহাদেরকে আহ্বান করা হইয়াছিল সিজ্দা করিতে।
আয়াত ৪৪সংরক্ষণ#فَذَرۡنِىۡ وَمَنۡ يُّكَذِّبُ بِهٰذَا الۡحَـدِيۡثِؕ سَنَسۡتَدۡرِجُهُمۡ مِّنۡ حَيۡثُ لَا يَعۡلَمُوۡنَۙ﴿۴۴﴾৬৮-৪৪ : ছাড়িয়া দাও আমাকে এবং যাহারা এই বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে তাহাদেরকে, আমি উহাদেরকে ক্রমে ক্রমে ধরিব এমনভাবে যে, উহারা জানিতে পারিবে না।
আয়াত ৪৫সংরক্ষণ#وَاُمۡلِىۡ لَهُمۡؕ اِنَّ كَيۡدِىۡ مَتِيۡنٌ﴿۴۵﴾৬৮-৪৫ : আর আমি উহাদেরকে সময় দিয়া থাকি, নিশ্চয়ই আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।
আয়াত ৪৬সংরক্ষণ#اَمۡ تَسۡـَٔـلُهُمۡ اَجۡرًا فَهُمۡ مِّنۡ مَّغۡرَمٍ مُّثۡقَلُوۡنَۚ﴿۴۶﴾৬৮-৪৬ : তুমি কি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাহিতেছ যে, তাহা উহাদের কাছে দুর্বহ দণ্ড মনে হয়?
আয়াত ৪৭সংরক্ষণ#اَمۡ عِنۡدَهُمُ الۡغَيۡبُ فَهُمۡ يَكۡتُبُوۡنَ﴿۴۷﴾৬৮-৪৭ : উহাদের কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, উহারা তাহা লিখিয়া রাখে।
আয়াত ৪৮সংরক্ষণ#فَاصۡبِرۡ لِحُكۡمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُنۡ كَصَاحِبِ الۡحُوۡتِۘ اِذۡ نَادٰى وَهُوَ مَكۡظُوۡمٌؕ﴿۴۸﴾৬৮-৪৮ : অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য - সহচরের ন্যায় অধৈর্য হইও না, সে বিষাদ - আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করিয়াছিল।
আয়াত ৪৯সংরক্ষণ#لَوۡلَاۤ اَنۡ تَدٰرَكَهٗ نِعۡمَةٌ مِّنۡ رَّبِّهٖ لَنُبِذَ بِالۡعَرَآءِ وَهُوَ مَذۡمُوۡمٌ﴿۴۹﴾৬৮-৪৯ : তাহার প্রতিপালকের অনুগ্রহ তাহার নিকট না পৌঁছিলে সে লাঞ্ছিত হইয়া নিক্ষিপ্ত হইত উন্মুক্ত প্রান্তরে।
আয়াত ৫০সংরক্ষণ#فَاجۡتَبٰهُ رَبُّهٗ فَجَعَلَهٗ مِنَ الصّٰلِحِيۡنَ﴿۵۰﴾৬৮-৫০ : পুনরায় তাহার প্রতিপালক তাহাকে মনোনীত করিলেন এবং তাহাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করিলেন।
আয়াত ৫১সংরক্ষণ#وَاِنۡ يَّكَادُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا لَيُزۡلِقُوۡنَكَ بِاَبۡصَارِهِمۡ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكۡرَ وَيَقُوۡلُوۡنَ اِنَّهٗ لَمَجۡنُوۡنٌۘ ﴿۵۱﴾৬৮-৫১ : কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন উহারা যেন উহাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়াইয়া ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’
আয়াত ৫২সংরক্ষণ#وَمَا هُوَ اِلَّا ذِكۡرٌ لِّلۡعٰلَمِيۡنَ﴿۵۲﴾৬৮-৫২ : কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।