৬৩-১ : যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে তাহারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূল।’ আল্লাহ্ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
৬৩-৪ : তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও ; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন ! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে!
৬৩-৬ : তুমি উহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই উহাদের জন্য সমান। আল্লাহ্ উহাদেরকে কখনও ক্ষমা করিবেন না। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৬৩-৭ : উহারাই বলে, ‘তোমরা আল্লাহ্র রাসূলের সহচরদের জন্য ব্যয় করিও না, যাহাতে উহারা সরিয়া পড়ে।’ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ধনভাণ্ডার তো আল্লাহ্রই ; কিন্তু মুনাফিকরা তাহা বুঝে না।
৬৩-৮ : উহারা বলে, ‘আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করিলে সেখান হইতে অবশ্যই প্রবল দুর্বলকে বহিষ্কার করিবে।’ কিন্তু শক্তি তো আল্লাহ্রই, আর তাঁহার রাসূল ও মু’মিনদের। তবে মুনাফিকরা ইহা জানে না।
৬৩-১০ : আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তোমরা তাহা হইতে ব্যয় করিবে তোমাদের কাহারও মৃত্যু আসিবার পূর্বে। অন্যথায় মৃত্যু আসিলে সে বলিবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরও কিছুকালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সোয়াদাকা দিতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম!’