← সব সূরা
surah059
surah-icon

৫৯. আল হাশর

الحشر · মাদানী · ২৪ আয়াত

বিসমিল্লাহ
#
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,
আয়াত ১
#
سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ ‏﴿۱﴾
৫৯-১ : আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে; তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
আয়াত ২
#
هُوَ الَّذِىۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡكِتٰبِ مِنۡ دِيَارِهِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ‌ؔؕ مَا ظَنَنۡـتُمۡ اَنۡ يَّخۡرُجُوۡا‌ وَظَنُّوۡۤا اَنَّهُمۡ مَّانِعَتُهُمۡ حُصُوۡنُهُمۡ مِّنَ اللّٰهِ فَاَتٰٮهُمُ اللّٰهُ مِنۡ حَيۡثُ لَمۡ يَحۡتَسِبُوۡا وَقَذَفَ فِىۡ قُلُوۡبِهِمُ الرُّعۡبَ يُخۡرِبُوۡنَ بُيُوۡتَهُمۡ بِاَيۡدِيۡهِمۡ وَاَيۡدِى الۡمُؤۡمِنِيۡنَ فَاعۡتَبِـرُوۡا يٰۤاُولِى الۡاَبۡصَارِ‌‏﴿۲﴾
৫৯-২ : তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কাফির তাহাদেরকে প্রথমবার সমবেতভাবে তাহাদের আবাসভূমি হইতে বিতাড়িত করিয়াছিলেন। তোমরা কল্পনাও কর নাই যে, উহারা নির্বাসিত হইবে এবং উহারা মনে করিয়াছিল উহাদের দুর্গগুলি উহাদেরকে রক্ষা করিবে আল্লাহ্‌ হইতে ; কিন্তু আল্লাহ্‌র শাস্তি এমন এক দিক হইতে আসিল যাহা ছিল উহাদের ধারণাতীত এবং উহাদের অন্তরে তাহা ত্রাসের সঞ্চার করিল। উহারা ধ্বংস করিয়া ফেলিল নিজেদের বাড়িঘর নিজেদের হাতে এবং মু’মিনদের হাতেও ; অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।
আয়াত ৩
#
وَلَوۡلَاۤ اَنۡ كَتَبَ اللّٰهُ عَلَيۡهِمُ الۡجَـلَاۤءَ لَعَذَّبَهُمۡ فِى الدُّنۡيَا‌ؕ وَلَهُمۡ فِى الۡاٰخِرَةِ عَذَابُ النَّارِ ‏﴿۳﴾
৫৯-৩ : আল্লাহ্‌ উহাদের নির্বাসনের সিদ্ধান্ত না করিলে উহাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাস্তি দিতেন; পরকালে উহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের শাস্তি।
আয়াত ৪
#
ذٰ لِكَ بِاَنَّهُمۡ شَآقُّوا اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ‌ ۚ وَمَنۡ يُّشَآقِّ اللّٰهَ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِيۡدُ الۡعِقَابِ ‏﴿۴﴾
৫৯-৪ : ইহা এইজন্য যে, উহারা আল্লাহ্‌ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিল, এবং কেহ আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধাচরণ করিলে আল্লাহ্‌ তো শাস্তিদানে কঠোর।
আয়াত ৫
#
مَا قَطَعۡتُمۡ مِّنۡ لِّيۡنَةٍ اَوۡ تَرَكۡتُمُوۡهَا قَآٮِٕمَةً عَلٰٓى اُصُوۡلِهَا فَبِاِذۡنِ اللّٰهِ وَلِيُخۡزِىَ الۡفٰسِقِيۡنَ‏﴿۵﴾
৫৯-৫ : তোমরা যে খর্জুর বৃক্ষগুলি কর্তন করিয়াছ এবং যেগুলি কাণ্ডের উপর স্থির রাখিয়া দিয়াছ, তাহা তাে আল্লাহ্‌রই অনুমতিক্রমে ; এবং এইজন্য যে, আল্লাহ্‌ পাপাচারীদেরকে লাঞ্ছিত করিবেন।
আয়াত ৬
#
وَمَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰى رَسُوۡلِهٖ مِنۡهُمۡ فَمَاۤ اَوۡجَفۡتُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ خَيۡلٍ وَّلَا رِكَابٍ وَّلٰڪِنَّ اللّٰهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهٗ عَلٰى مَنۡ يَّشَآءُ ‌ؕ وَاللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرٌ‏﴿۶﴾
৫৯-৬ : আল্লাহ্‌ ইয়াহূদীদের নিকট হইতে তাঁহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন, তাহার জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উষ্ট্রে আরোহণ করিয়া যুদ্ধ কর নাই ; আল্লাহ্‌ তো যাহার উপর ইচ্ছা তাঁহার রসূলদেরকে কর্তৃত্ব দান করেন ; আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
আয়াত ৭
#
مَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰى رَسُوۡلِهٖ مِنۡ اَهۡلِ الۡقُرٰى فَلِلّٰهِ وَلِلرَّسُوۡلِ وَلِذِى الۡقُرۡبٰى وَالۡيَتٰمٰى وَالۡمَسٰكِيۡنِ وَابۡنِ السَّبِيۡلِۙ كَىۡ لَا يَكُوۡنَ دُوۡلَةًۢ بَيۡنَ الۡاَغۡنِيَآءِ مِنۡكُمۡ‌ ؕ وَمَاۤ اٰتٰٮكُمُ الرَّسُوۡلُ فَخُذُوْهُ وَ مَا َنَهٰٮكُمۡ عَنۡهُ فَانْتَهُوۡا‌ ۚ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِيۡدُ الۡعِقَابِ‌ۘ ‏﴿۷﴾
৫৯-৭ : আল্লাহ্‌ জনপদবাসীদের নিকট হইতে তাঁহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন তাহা আল্লাহ্‌র, তাঁহার রাসূলের, রাসূলের স্বজনগণের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, যাহাতে তোমাদের মধ্যে যাহারা বিত্তবান কেবল তাহাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল তোমাদেরকে যাহা দেয় তাহা তোমরা গ্রহণ কর এবং যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করে তাহা হইতে বিরত থাক এবং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর ; আল্লাহ্‌ তো শাস্তিদানে কঠোর।
আয়াত ৮
#
لِلۡفُقَرَآءِ الۡمُهٰجِرِيۡنَ الَّذِيۡنَ اُخۡرِجُوۡا مِنۡ دِيَارِهِمۡ وَاَمۡوَالِهِمۡ يَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنَ اللّٰهِ وَرِضۡوَانًا وَّيَنۡصُرُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الصّٰدِقُوۡنَ‌ۚ ‏﴿۸﴾
৫৯-৮ : এই সম্পদ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরগণের জন্য যাহারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি হইতে উৎখাত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে এবং আল্লাহ্‌ ও তাঁহার রাসূলের সাহায্য করে। উহারাই তো সত্যাশ্রয়ী।
আয়াত ৯
#
وَالَّذِيۡنَ تَبَوَّؤُ الدَّارَ وَالۡاِيۡمَانَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّوۡنَ مَنۡ هَاجَرَ اِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُوۡنَ فِىۡ صُدُوۡرِهِمۡ حَاجَةً مِّمَّاۤ اُوۡتُوۡا وَيُـؤۡثِرُوۡنَ عَلٰٓى اَنۡفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٌ ؕ وَمَنۡ يُّوۡقَ شُحَّ نَـفۡسِهٖ فَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‌ۚ‏﴿۹﴾
৫৯-৯ : আর তাহাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যাহারা এই নগরীতে বসবাস করিয়াছে ও ঈমান আনিয়াছে, তাহারা মুহাজিরদেরকে ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যাহা দেওয়া হইয়াছে তাহার জন্য তাহারা অন্তরে আকাঙ্খা পোষণ করে না, আর তাহারা তাহাদেরকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হইলেও। যাহাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য হইতে মুক্ত রাখা হইয়াছে, তাহারাই সফলকাম।
আয়াত ১০
#
وَالَّذِيۡنَ جَآءُوۡ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَـنَا وَلِاِخۡوَانِنَا الَّذِيۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِيۡمَانِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِىۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوۡفٌ رَّحِيۡمٌ ‏﴿۱۰﴾
৫৯-১০ : যাহারা উহাদের পরে আসিয়াছে, তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখিও না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।’
আয়াত ১১
#
اَلَمۡ تَرَ اِلَى الَّذِيۡنَ نَافَقُوۡا يَقُوۡلُوۡنَ لِاِخۡوَانِهِمُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡكِتٰبِ لَٮِٕنۡ اُخۡرِجۡتُمۡ لَنَخۡرُجَنَّ مَعَكُمۡ وَلَا نُطِيۡعُ فِيۡكُمۡ اَحَدًا اَبَدًاۙ وَّاِنۡ قُوۡتِلۡتُمۡ لَـنَـنۡصُرَنَّكُمۡ ؕ وَاللّٰهُ يَشۡهَدُ اِنَّهُمۡ لَـكٰذِبُوۡنَ ‏﴿۱۱﴾
৫৯-১১ : তুমি কি মুনাফিকদেরকে দেখ নাই ? উহারা কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছে উহাদের সেই সব সঙ্গীকে বলে, ‘তোমরা যদি বহিষ্কৃত হও, আমরা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে দেশত্যাগী হইব এবং আমরা তোমাদের ব্যাপারে কখনও কাহারও কথা মানিব না এবং যদি তোমরা আক্রান্ত হও আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করিব।’ কিন্তু আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, উহারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
আয়াত ১২
#
لَٮِٕنۡ اُخۡرِجُوۡا لَا يَخۡرُجُوۡنَ مَعَهُمۡ‌ۚ وَلَٮِٕنۡ قُوۡتِلُوۡا لَا يَنۡصُرُوۡنَهُمۡ‌ۚ وَلَٮِٕنۡ نَّصَرُوۡهُمۡ لَيُوَلُّنَّ الۡاَدۡبَارَ ثُمَّ لَا يُنۡصَرُوۡنَ‏﴿۱۲﴾
৫৯-১২ : বস্তুত উহারা বহিষ্কৃত হইলে মুনাফিকগণ তাহাদের সঙ্গে দেশত্যাগ করিবে না এবং উহারা আক্রান্ত হইলে ইহারা উহাদেরকে সাহায্য করিবে না এবং ইহারা সাহায্য করিতে আসিলেও অবশ্যই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিবে ; অতঃপর তাহারা কোন সাহায্যই পাইবে না।
আয়াত ১৩
#
لَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ رَهۡبَةً فِىۡ صُدُوۡرِهِمۡ مِّنَ اللّٰهِ‌ؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ قَوۡمٌ لَّا يَفۡقَهُوۡنَ‏﴿۱۳﴾
৫৯-১৩ : প্রকৃতপক্ষে ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্‌ অপেক্ষা তোমাদের ভয়ই অধিকতর। ইহা এইজন্য যে, ইহারা এক অবুঝ সম্প্রদায়।
আয়াত ১৪
#
لَا يُقَاتِلُوۡنَكُمۡ جَمِيۡعًا اِلَّا فِىۡ قُرًى مُّحَصَّنَةٍ اَوۡ مِنۡ وَّرَآءِ جُدُرٍؕ بَاۡسُهُمۡ بَيۡنَهُمۡ شَدِيۡدٌ ‌ؕ تَحۡسَبُهُمۡ جَمِيۡعًا وَّقُلُوۡبُهُمۡ شَتّٰى‌ؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ قَوۡمٌ لَّا يَعۡقِلُوۡنَ‌ۚ‏﴿۱۴﴾
৫৯-১৪ : ইহারা সকলে সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে সমর্থ হইবে না, কিন্তু কেবল সুরক্ষিত জনপদের অভ্যন্তরে অথবা দুর্গ - প্রাচীরের অন্তরালে থাকিয়া; পরস্পরের মধ্যে উহাদের যুদ্ধ প্রচণ্ড। তুমি মনে কর উহারা ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু উহাদের মনের মিল নাই; ইহা এইজন্য যে, ইহারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়।
আয়াত ১৫
#
كَمَثَلِ الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ قَرِيۡبًا‌ ذَاقُوۡا وَبَالَ اَمۡرِهِمۡ‌ۚ وَلَهُمۡ عَذَابٌ اَلِيۡمٌ‌ۚ‏﴿۱۵﴾
৫৯-১৫ : ইহারা সেই লোকদের মত, যাহারা ইহাদের অব্যবহিত পূর্বে নিজেদের কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করিয়াছে, ইহাদের জন্য রহিয়াছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
আয়াত ১৬
#
كَمَثَلِ الشَّيۡطٰنِ اِذۡ قَالَ لِلۡاِنۡسَانِ اكۡفُرۡ‌ۚ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ اِنِّىۡ بَرِىۡٓءٌ مِّنۡكَ اِنِّىۡۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الۡعٰلَمِيۡنَ‏﴿۱۶﴾
৫৯-১৬ : ইহারা শয়তানের মত, সে মানুষকে বলে, ‘কুফরী কর’; অতঃপর যখন সে কুফরী করে তখন সে বলে, ‘তোমার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই, আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্‌কে ভয় করি।’
আয়াত ১৭
#
فَكَانَ عَاقِبَتَهُمَاۤ اَنَّهُمَا فِى النَّارِ خَالِدَيۡنِ فِيۡهَا‌ ؕ وَذٰ لِكَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِيۡن  ‏﴿۱۷﴾
৫৯-১৭ : ফলে উভয়ের পরিণাম হইবে জাহান্নাম। সেখানে ইহারা স্থায়ী হইবে এবং ইহাই জালিমদের কর্মফল।
আয়াত ১৮
#
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اتَّقُوا اللّٰهَ وَلۡتَـنۡظُرۡ نَـفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ‌ ۚ وَاتَّقُوا اللّٰهَ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ‏﴿۱۸﴾
৫৯-১৮ : হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর; প্রত্যেকেই ভাবিয়া দেখুক আগামী কল্যের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠাইয়াছে। আর তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর; তোমরা যাহা কর আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে অবহিত।
আয়াত ১৯
#
وَلَا تَكُوۡنُوۡا كَالَّذِيۡنَ نَسُوا اللّٰهَ فَاَنۡسٰٮهُمۡ اَنۡفُسَهُمۡ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ‏﴿۱۹﴾
৫৯-১৯ : আর তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা আল্লাহ্‌কে ভুলিয়া গিয়াছে ; ফলে আল্লাহ্‌ উহাদেরকে আত্মবিস্মৃত করিয়াছেন। উহারাই তো পাপাচারী।
আয়াত ২০
#
لَا يَسۡتَوِىۡۤ اَصۡحٰبُ النَّارِ وَاَصۡحٰبُ الۡجَـنَّةِ‌ؕ اَصۡحٰبُ الۡجَـنَّةِ هُمُ الۡفَآٮِٕزُوۡنَ‏﴿۲۰﴾
৫৯-২০ : জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।
আয়াত ২১
#
لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰى جَبَلٍ لَّرَاَيۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِ‌ؕ وَتِلۡكَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُوۡنَ‏﴿۲۱﴾
৫৯-২১ : যদি আমি এই কুরআন পর্বতের উপর অবতীর্ণ করিতাম তবে তুমি উহাকে আল্লাহ্‌র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ দেখিতে। আমি এই সমস্ত দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্য, যাহাতে তাহারা চিন্তা করে।
আয়াত ২২
#
هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏﴿۲۲﴾
৫৯-২২ : তিনিই আল্লাহ্‌, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।
আয়াত ২৩
#
هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏﴿۲۳﴾
৫৯-২৩ : তিনিই আল্লাহ্‌, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। উহারা যাহাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তাহা হইতে পবিত্র, মহান।
আয়াত ২৪
#
هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ ‏﴿۲۴﴾
৫৯-২৪ : তিনিই আল্লাহ্‌, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁহারই সকল উত্তম নাম। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে, সমস্তই তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।