← সব সূরা
surah038
surah-icon

৩৮. সোয়াদ

ص · মাক্কী · ৮৮ আয়াত

বিসমিল্লাহ
#
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,
আয়াত ১
#
صٓ‌ وَالۡقُرۡاٰنِ ذِى الذِّكۡرِؕ ‏﴿۱﴾
৩৮-১ : সোয়াদ, শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের! তুমি অবশ্যই সত্যবাদী।
আয়াত ২
#
بَلِ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا فِىۡ عِزَّةٍ وَّشِقَاقٍ‏﴿۲﴾
৩৮-২ : কিন্তু কাফিররা ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবিয়া আছে।
আয়াত ৩
#
كَمۡ اَهۡلَـكۡنَا مِنۡ قَبۡلِهِمۡ مِّنۡ قَرۡنٍ فَنَادَوْا وَّلَاتَ حِيۡنَ مَنَاصٍ ‏﴿۳﴾
৩৮-৩ : ইহাদের পূর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বংস করিয়াছি; তখন উহারা আর্তচিৎকার করিয়াছিল। কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোনই উপায় ছিল না।
আয়াত ৪
#
وَعَجِبُوۡۤا اَنۡ جَآءَهُمۡ مُّنۡذِرٌ مِّنۡهُمۡ‌ وَقَالَ الۡكٰفِرُوۡنَ هٰذَا سٰحِرٌ كَذَّابٌ‌ ۖ‌ۚ‏﴿۴﴾
৩৮-৪ : ইহারা বিস্ময় বোধ করিতেছে যে, ইহাদের নিকট ইহাদেরই মধ্য হইতে একজন সতর্ককারী আসিল এবং কাফিররা বলে, ‘এ তো এক জাদুকর, মিথ্যাবাদী।’
আয়াত ৫
#
اَجَعَلَ الۡاٰلِهَةَ اِلٰهًا وَّاحِدًا ۖۚ اِنَّ هٰذَا لَشَىۡءٌ عُجَابٌ‏﴿۵﴾
৩৮-৫ : ‘সে কি বহু ইলাহ্‌কে এক ইলাহ্ বানাইয়া লইয়াছে? ইহা তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার!’
আয়াত ৬
#
وَانْطَلَقَ الۡمَلَاُ مِنۡهُمۡ اَنِ امۡشُوۡا وَاصۡبِرُوۡا عَلٰٓى اٰلِهَتِكُمۡ‌ ‌ۖۚ‌ اِنَّ هٰذَا لَشَىۡءٌ يُّرَادُ ۖ‌ۚ‏﴿۶﴾
৩৮-৬ : উহাদের প্রধানেরা সরিয়া পড়ে এই বলিয়া, ‘তোমরা চলিয়া যাও এবং তোমাদের দেবতাগুলির পূজায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক।’
আয়াত ৭
#
مَا سَمِعۡنَا بِهٰذَا فِى الۡمِلَّةِ الۡاٰخِرَةِ ۖۚ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّا اخۡتِلَاقٌ ‌ ۖ‌ۚ ‏﴿۷﴾
৩৮-৭ : ‘আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনি নাই; ইহা এক মনগড়া উক্তি মাত্র।
আয়াত ৮
#
ءَاُنۡزِلَ عَلَيۡهِ الذِّكۡرُ مِنۡۢ بَيۡنِنَا‌ؕ بَلۡ هُمۡ فِىۡ شَكٍّ مِّنۡ ذِكۡرِىۡ‌ۚ بَلْ لَّمَّا يَذُوۡقُوۡا عَذَابِؕ ‏﴿۸﴾
৩৮-৮ : ‘আমাদের মধ্য হইতে কি তাহারই উপর কুরআন অবতীর্ণ হইল?’ প্রকৃতপক্ষে উহারা তো আমার কুরআনে সন্দিহান, উহারা এখনও আমার শাস্তি আস্বাদন করে নাই।
আয়াত ৯
#
اَمۡ عِنۡدَهُمۡ خَزَآٮِٕنُ رَحۡمَةِ رَبِّكَ الۡعَزِيۡزِ الۡوَهَّابِ‌ۚ‏﴿۹﴾
৩৮-৯ : উহাদের নিকট কি আছে তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের ভাণ্ডার, যিনি পরাক্রমশালী, মহান দাতা?
আয়াত ১০
#
اَمۡ لَهُمۡ مُّلۡكُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا‌فَلۡيَرۡتَقُوۡا فِى الۡاَسۡبَابِ ‏﴿۱۰﴾
৩৮-১০ : উহাদের কি কর্তৃত্ব আছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর উপর? থাকিলে, উহারা সিঁড়ি বাহিয়া আরোহণ করুক!
আয়াত ১১
#
جُنۡدٌ مَّا هُنَالِكَ مَهۡزُوۡمٌ مِّنَ الۡاَحۡزَابِ‏﴿۱۱﴾
৩৮-১১ : বহু দলের এই বাহিনীও সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরাজিত হইবে।
আয়াত ১২
#
كَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوۡحٍ وَّعَادٌ وَّفِرۡعَوۡنُ ذُو الۡاَوۡتَادِۙ ‏﴿۱۲﴾
৩৮-১২ : ইহাদের পূর্বেও রাসূলদেরকে অস্বীকার করিয়াছিল সূরা নূহের সম্প্রদায়, ‘আদ ও বহু শিবিরের অধিপতি ফির‘আওন,
আয়াত ১৩
#
وَثَمُوۡدُ وَقَوۡمُ لُوۡطٍ وَّاَصۡحٰبُ لْئَیْكَةِ‌ ؕ اُولٰٓٮِٕكَ الۡاَحۡزَابُ ‏﴿۱۳﴾
৩৮-১৩ : সামূদ, লূত সম্প্রদায় ও ‘আয়কা‘র অধিবাসী; উহারা ছিল এক - একটি বিশাল বাহিনী।
আয়াত ১৪
#
اِنۡ كُلٌّ اِلَّا كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ‏﴿۱۴﴾
৩৮-১৪ : উহাদের প্রত্যেকেই রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছে। ফলে উহাদের ক্ষেত্রে আমার শাস্তি হইয়াছে বাস্তব।
আয়াত ১৫
#
وَمَا يَنۡظُرُ هٰٓؤُلَاۤءِ اِلَّا صَيۡحَةً وَّاحِدَةً مَّا لَهَا مِنۡ فَوَاقٍ ‏﴿۱۵﴾
৩৮-১৫ : ইহারা তো অপেক্ষা করিতেছে একটি মাত্র প্রচণ্ড নিনাদের, যাহাতে কোন বিরাম থাকিবে না।
আয়াত ১৬
#
وَقَالُوۡا رَبَّنَا عَجِّلْ لَّنَا قِطَّنَا قَبۡلَ يَوۡمِ الۡحِسَابِ ‏﴿۱۶﴾
৩৮-১৬ : ইহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! বিচারদিবসের পূর্বেই আমাদের প্রাপ্য আমাদেরকে শীঘ্র দিয়া দাও না।’
আয়াত ১৭
#
اِصۡبِرۡ عَلٰى مَا يَقُوۡلُوۡنَ وَاذۡكُرۡ عَبۡدَنَا دَاوٗدَ ذَا الۡاَيۡدِ‌ۚ اِنَّـهٗۤ اَوَّابٌ‏﴿۱۷﴾
৩৮-১৭ : ইহারা যাহা বলে তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং স্মরণ কর, আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদের কথা; সে ছিল অতিশয় আল্লাহ্‌ অভিমুখী।
আয়াত ১৮
#
اِنَّا سَخَّرۡنَا الۡجِبَالَ مَعَهٗ يُسَبِّحۡنَ بِالۡعَشِىِّ وَالۡاِشۡرَاقِۙ‏﴿۱۸﴾
৩৮-১৮ : আমি নিয়োজিত করিয়াছিলাম পর্বতমালাকে, যেন ইহারা সকাল - সন্ধ্যায় তাহার সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে,
আয়াত ১৯
#
وَالطَّيۡرَ مَحۡشُوۡرَةً ؕ كُلٌّ لَّـهٗۤ اَوَّابٌ‏﴿۱۹﴾
৩৮-১৯ : এবং সমবেত বিহঙ্গকুলকেও; সকলেই ছিল তাঁহার অভিমুখী।
আয়াত ২০
#
وَشَدَدۡنَا مُلۡكَهٗ وَاٰتَيۡنٰهُ الۡحِكۡمَةَ وَفَصۡلَ الۡخِطَابِ‏﴿۲۰﴾
৩৮-২০ : আমি তাহার রাজ্যকে সুদৃঢ় করিয়াছিলাম এবং তাহাকে দিয়াছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা।
আয়াত ২১
#
وَهَلۡ اَتٰٮكَ نَبَؤُا الۡخَصۡمِ‌ۘ اِذۡ تَسَوَّرُوا الۡمِحۡرَابَۙ ‏﴿۲۱﴾
৩৮-২১ : তোমার নিকট বিবদমান লোকদের বৃত্তান্ত পৌঁছিয়াছে কি? যখন উহারা প্রাচীর ডিঙাইয়া আসিল ‘ইবাদতখানায়,
আয়াত ২২
#
اِذۡ دَخَلُوۡا عَلٰى دَاوٗدَ فَفَزِعَ مِنۡهُمۡ‌ قَالُوۡا لَا تَخَفۡ‌ۚ خَصۡمٰنِ بَغٰى بَعۡضُنَا عَلٰى بَعۡضٍ فَاحۡكُمۡ بَيۡنَنَا بِالۡحَقِّ وَلَا تُشۡطِطۡ وَاهۡدِنَاۤ اِلٰى سَوَآءِ الصِّرَاطِ‏﴿۲۲﴾
৩৮-২২ : এবং দাঊদের নিকট পৌঁছিল, তখন তাহাদের কারণে সে ভীত হইয়া পড়িল। উহারা বলিল, ‘ভীত হইবেন না, আমরা দুই বিবদমান পক্ষ - আমাদের একে অপরের উপর জুলুম করিয়াছে; অতএব আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন ; অবিচার করিবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথনির্দেশ করুন।
আয়াত ২৩
#
اِنَّ هٰذَاۤ اَخِىۡ لَهٗ تِسۡعٌ وَّتِسۡعُوۡنَ نَعۡجَةً وَّلِىَ نَعۡجَةٌ وَّاحِدَةٌ فَقَالَ اَكۡفِلۡنِيۡهَا وَعَزَّنِىۡ فِى الۡخِطَابِ ‏﴿۲۳﴾
৩৮-২৩ : ‘এই ব্যক্তি আমার ভাই, ইহার আছে নিরানব্বইটি দুম্বা এবং আমার আছে মাত্র একটি দুম্বা। তবুও সে বলে, ‘আমার যিম্মায় এইটি দিয়া দাও’, এবং কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করিয়াছে।
আয়াত ২৪
#
قَالَ لَقَدۡ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعۡجَتِكَ اِلٰى نِعَاجِهٖ‌ ؕ وَاِنَّ كَثِيۡرًا مِّنَ الۡخُلَـطَآءِ لَيَبۡغِىۡ بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ اِلَّا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَقَلِيۡلٌ مَّا هُمۡ‌ ؕ وَظَنَّ دَاوٗدُ اَنَّمَا فَتَنّٰهُ فَاسۡتَغۡفَرَ رَبَّهٗ وَخَرَّ رَاكِعًا وَّاَنَابَ ۩‏‏﴿۲۴﴾
৩৮-২৪ : দাঊদ বলিল, ‘তোমার দুম্বাটিকে তাহার দুম্বাগুলির সঙ্গে যুক্ত করিবার দাবি করিয়া সে তো তোমার প্রতি জুলুম করিয়াছে। শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো অবিচার করিয়া থাকে - করে না কেবল মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ এবং তাহারা সংখ্যায় স্বল্প।’ দাঊদ বুঝিতে পারিল, আমি তাহাকে পরীক্ষা করিলাম। অতঃপর সে তাহার প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিল এবং নত হইয়া লুটাইয়া পড়িল ও তাঁহার অভিমুখী হইল।
আয়াত ২৫
#
فَغَفَرۡنَا لَهٗ ذٰ لِكَ‌ ؕ وَاِنَّ لَهٗ عِنۡدَنَا لَزُلۡفٰى وَحُسۡنَ مَاٰبٍ‏﴿۲۵﴾
৩৮-২৫ : অতঃপর আমি তাহার ত্রুটি ক্ষমা করিলাম। আমার নিকট তাহার জন্য রহিয়াছে নৈকট্যের মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।
আয়াত ২৬
#
يٰدَاوٗدُ اِنَّا جَعَلۡنٰكَ خَلِيۡفَةً فِى الۡاَرۡضِ فَاحۡكُمۡ بَيۡنَ النَّاسِ بِالۡحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الۡهَوٰى فَيُضِلَّكَ عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ‌ ؕ اِنَّ الَّذِيۡنَ يَضِلُّوۡنَ عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِيۡدٌۢ بِمَا نَسُوۡا يَوۡمَ الۡحِسَابِ‏﴿۲۶﴾
৩৮-২৬ : ‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করিয়াছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল - খুশির অনুসরণ করিও না, কেননা ইহা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে।’ যাহারা আল্লাহ্‌র পথ হইতে ভ্রষ্ট হয় তাহাদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি, কারণ তাহারা বিচারদিবসকে বিস্মৃত হইয়া আছে।
আয়াত ২৭
#
وَمَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَالۡاَرۡضَ وَمَا بَيۡنَهُمَا بَاطِلًا ‌ؕ ذٰ لِكَ ظَنُّ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا‌ۚ فَوَيۡلٌ لِّلَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنَ النَّارِؕ‏﴿۲۷﴾
৩৮-২৭ : আমি আকাশ, পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করি নাই। অনর্থক সৃষ্টি করার ধারণা উহাদের যাহারা কাফির, সুতরাং কাফিরদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।
আয়াত ২৮
#
اَمۡ نَجۡعَلُ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَالۡمُفۡسِدِيۡنَ فِى الۡاَرۡضِ اَمۡ نَجۡعَلُ الۡمُتَّقِيۡنَ كَالۡفُجَّارِ ‏﴿۲۸﴾
৩৮-২৮ : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যাহারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, আমি কি তাহাদেরকে সমান গণ্য করিব? আমি কি মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করিব?
আয়াত ২৯
#
كِتٰبٌ اَنۡزَلۡنٰهُ اِلَيۡكَ مُبٰرَكٌ لِّيَدَّبَّرُوۡۤا اٰيٰتِهٖ وَلِيَتَذَكَّرَ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ‏﴿۲۹﴾
৩৮-২৯ : এক কল্যাণময় কিতাব, ইহা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি, যাহাতে মানুষ ইহার আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।
আয়াত ৩০
#
وَوَهَبۡنَا لِدَاوٗدَ سُلَيۡمٰنَ‌ ؕ نِعۡمَ الۡعَبۡدُ‌ ؕ اِنَّـهٗۤ اَوَّابٌ ؕ ‏﴿۳۰﴾
৩৮-৩০ : আমি দাঊদকে দান করিলাম সুলায়মান। সে ছিল উত্তম বান্দা এবং সে ছিল অতিশয় আল্লাহ্‌ অভিমুখী।
আয়াত ৩১
#
اِذۡ عُرِضَ عَلَيۡهِ بِالۡعَشِىِّ الصّٰفِنٰتُ الۡجِيَادُ ۙ‏﴿۳۱﴾
৩৮-৩১ : যখন অপরাহ্নে তাহার সম্মুখে ধাবনোদ্যত উৎকৃষ্ট অশ্বরাজিকে উপস্থিত করা হইল,
আয়াত ৩২
#
فَقَالَ اِنِّىۡۤ اَحۡبَبۡتُ حُبَّ الۡخَيۡرِ عَنۡ ذِكۡرِ رَبِّىۡ‌ۚ حَتّٰى تَوَارَتۡ بِالۡحِجَابِ‏﴿۳۲﴾
৩৮-৩২ : তখন সে বলিল, ‘আমি তো আমার প্রতিপালকের স্মরণ হইতে বিমুখ হইয়া ঐশ্বর্য প্রীতিতে মগ্ন হইয়া পড়িয়াছি, এদিকে সূর্য অস্তমিত হইয়া গিয়াছে;
আয়াত ৩৩
#
رُدُّوۡهَا عَلَىَّ ؕ فَطَفِقَ مَسۡحًۢا بِالسُّوۡقِ وَ الۡاَعۡنَاقِ‏﴿۳۳﴾
৩৮-৩৩ : ‘এইগুলিকে পুনরায় আমার সম্মুখে আনয়ন কর।’ অতঃপর সে উহাদের পদ ও গলদেশ ছেদন করিতে লাগিল।
আয়াত ৩৪
#
وَلَقَدۡ فَتَنَّا سُلَيۡمٰنَ وَاَلۡقَيۡنَا عَلٰى كُرۡسِيِّهٖ جَسَدًا ثُمَّ اَنَابَ‏﴿۳۴﴾
৩৮-৩৪ : আমি তো সুলায়মানকে পরীক্ষা করিলাম এবং তাহার আসনের উপর রাখিলাম একটি ধড়; অতঃপর সুলায়মান আমার অভিমুখী হইল।
আয়াত ৩৫
#
قَالَ رَبِّ اغۡفِرۡ لِىۡ وَهَبۡ لِىۡ مُلۡكًا لَّا يَنۡۢبَغِىۡ لِاَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِىۡ‌ۚ اِنَّكَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ‏﴿۳۵﴾
৩৮-৩৫ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে দান কর এমন এক রাজ্য যাহার অধিকারী আমি ছাড়া কেহ না হয়। তুমি তো পরম দাতা।’
আয়াত ৩৬
#
فَسَخَّرۡنَا لَهُ الرِّيۡحَ تَجۡرِىۡ بِاَمۡرِهٖ رُخَآءً حَيۡثُ اَصَابَۙ‏﴿۳۶﴾
৩৮-৩৬ : তখন আমি তাহার অধীন করিয়া দিলাম বায়ুকে, যাহা তাহার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করিত সেখানে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হইত,
আয়াত ৩৭
#
وَالشَّيٰطِيۡنَ كُلَّ بَنَّآءٍ وَّغَوَّاصٍۙ‏﴿۳۷﴾
৩৮-৩৭ : এবং শয়তানদেরকে, যাহারা সকলেই ছিল প্রাসোয়াদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী,
আয়াত ৩৮
#
وَّاٰخَرِيۡنَ مُقَرَّنِيۡنَ فِىۡ الۡاَصۡفَادِ‏﴿۳۸﴾
৩৮-৩৮ : এবং শৃঙ্খলে আবদ্ধ আরও অনেককে।
আয়াত ৩৯
#
هٰذَا عَطَآؤُنَا فَامۡنُنۡ اَوۡ اَمۡسِكۡ بِغَيۡرِ حِسَابٍ‏﴿۳۹﴾
৩৮-৩৯ : ‘এইসব আমার অনুগ্রহ, ইহা হইতে তুমি অন্যকে দিতে অথবা নিজে রাখিতে পার। ইহার জন্য তোমাকে হিসাব দিতে হইবে না।’
আয়াত ৪০
#
وَاِنَّ لَهٗ عِنۡدَنَا لَزُلۡفٰى وَحُسۡنَ مَاٰبٍ‏﴿۴۰﴾
৩৮-৪০ : এবং আমার নিকট রহিয়াছে তাহার জন্য নৈকট্যের মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।
আয়াত ৪১
#
وَاذۡكُرۡ عَبۡدَنَاۤ اَيُّوۡبَۘ اِذۡ نَادٰى رَبَّهٗۤ اَنِّىۡ مَسَّنِىَ الشَّيۡطٰنُ بِنُصۡبٍ وَّعَذَابٍؕ‏﴿۴۱﴾
৩৮-৪১ : স্মরণ কর, আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহবান করিয়া বলিয়াছিল, ‘শয়তান তো আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলিয়াছে’,
আয়াত ৪২
#
اُرۡكُضۡ بِرِجۡلِكَ‌ ۚ هٰذَا مُغۡتَسَلٌ ۢ بَارِدٌ وَّشَرَابٌ‏﴿۴۲﴾
৩৮-৪২ : আমি তাহাকে বলিলাম, ‘তুমি তোমার পদ দ্বারা ভূমিতে আঘাত কর, এই তো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়।’
আয়াত ৪৩
#
وَوَهَبۡنَا لَهٗۤ اَهۡلَهٗ وَمِثۡلَهُمۡ مَّعَهُمۡ رَحۡمَةً مِّنَّا وَذِكۡرٰى لِاُولِى الۡاَلۡبَابِ ‏﴿۴۳﴾
৩৮-৪৩ : আমি তাহাকে দান করিলাম তাহার পরিজনবর্গ ও তাহাদের মত আরও, আমার অনুগ্রহস্বরূপ এবং বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্য উপদেশস্বরূপ।
আয়াত ৪৪
#
وَخُذۡ بِيَدِكَ ضِغۡثًا فَاضۡرِبْ بِّهٖ وَلَا تَحۡنَثۡ‌ؕ اِنَّا وَجَدۡنٰهُ صَابِرًا‌ ؕ نِعۡمَ الۡعَبۡدُ‌ ؕ اِنَّـهٗۤ اَوَّابٌ‏﴿۴۴﴾
৩৮-৪৪ : আমি তাহাকে আদেশ করিলাম, ‘একমুষ্টি তৃণ লও ও উহা দ্বারা আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করিও না।’ আমি তো তাহাকে পাইলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম বান্দা সে! সে ছিল আমার অভিমুখী।
আয়াত ৪৫
#
وَاذۡكُرۡ عِبٰدَنَاۤ اِبۡرٰهِيۡمَ وَاِسۡحٰقَ وَيَعۡقُوۡبَ اُولِى الۡاَيۡدِىۡ وَالۡاَبۡصَارِ ‏﴿۴۵﴾
৩৮-৪৫ : স্মরণ কর, আমার বান্দা ইব্‌রাহীম, ইস্‌হাক ও ইয়া‘কূবের কথা, উহারা ছিল শক্তিশালী ও সূক্ষ্মদর্শী।
আয়াত ৪৬
#
اِنَّاۤ اَخۡلَصۡنٰهُمۡ بِخَالِصَةٍ ذِكۡرَى الدَّارِ‌ۚ‏﴿۴۶﴾
৩৮-৪৬ : আমি তাহাদেরকে অধিকারী করিয়াছিলাম এক বিশেষ গুণের, উহা ছিল পরলোকের স্মরণ।
আয়াত ৪৭
#
وَاِنَّهُمۡ عِنۡدَنَا لَمِنَ الۡمُصۡطَفَيۡنَ الۡاَخۡيَارِؕ‏﴿۴۷﴾
৩৮-৪৭ : অবশ্যই তাহারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
আয়াত ৪৮
#
وَاذۡكُرۡ اِسۡمٰعِيۡلَ وَ الۡيَسَعَ وَذَا الۡكِفۡلِ‌ؕ وَكُلٌّ مِّنَ الۡاَخۡيَارِؕ‏﴿۴۸﴾
৩৮-৪৮ : স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল - ইয়াসা‘আ ও যুল - কিফ্‌লের কথা, ইহারা প্রত্যেকেই ছিল সজ্জন।
আয়াত ৪৯
#
هٰذَا ذِكۡرٌ‌ؕ وَاِنَّ لِلۡمُتَّقِيۡنَ لَحُسۡنَ مَاٰبٍۙ‏﴿۴۹﴾
৩৮-৪৯ : ইহা এক স্মরণীয় বর্ণনা। নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রহিয়াছে উত্তম আবাস
আয়াত ৫০
#
جَنّٰتِ عَدۡنٍ مُّفَتَّحَةً لَّهُمُ الۡاَبۡوَابُ‌ۚ‏﴿۵۰﴾
৩৮-৫০ : চিরস্থায়ী জান্নাত, যাহার দ্বার তাহাদের জন্য উন্মুক্ত।
আয়াত ৫১
#
مُتَّكِـــِٕيۡنَ فِيۡهَا يَدۡعُوۡنَ فِيۡهَا بِفَاكِهَةٍ كَثِيۡرَةٍ وَّشَرَابٍ‏﴿۵۱﴾
৩৮-৫১ : সেখানে তাহারা আসীন হইবে হেলান দিয়া, সেখানে তাহারা বহুবিধ ফলমূল ও পানীয় চাইবে।
আয়াত ৫২
#
وَعِنۡدَهُمۡ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ اَتۡرَابٌ‏﴿۵۲﴾
৩৮-৫২ : এবং তাহাদের পার্শ্বে থাকিবে আনতনয়না সমবয়স্কাগণ।
আয়াত ৫৩
#
هٰذَا مَا تُوۡعَدُوۡنَ لِيَوۡمِ الۡحِسَابِ‏﴿۵۳﴾
৩৮-৫৩ : ইহা হিসাব দিবসের জন্য তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি।
আয়াত ৫৪
#
اِنَّ هٰذَا لَرِزۡقُنَا مَا لَهٗ مِنۡ نَّـفَادٍ ‌ۖ ‌ۚ‏﴿۵۴﴾
৩৮-৫৪ : ইহা তো আমার দেওয়া রিযিক যাহা নিঃশেষ হইবে না,
আয়াত ৫৫
#
هٰذَا‌ ؕ وَاِنَّ لِلطّٰغِيۡنَ لَشَرَّ مَاٰبٍ ۙ‏﴿۵۵﴾
৩৮-৫৫ : ইহাই। আর সীমালংঘনকারীদের জন্য রহিয়াছে নিকৃষ্টতম পরিণাম
আয়াত ৫৬
#
جَهَـنَّمَ‌ ۚ يَصۡلَوۡنَهَا‌ ۚ فَبِئۡسَ الۡمِهَادُ‏﴿۵۶﴾
৩৮-৫৬ : জাহান্নাম, সেখানে উহারা প্রবেশ করিবে, কত নিকৃষ্ট ঠিকানা!
আয়াত ৫৭
#
هٰذَا ۙ فَلۡيَذُوۡقُوۡهُ حَمِيۡمٌ وَّغَسَّاقٌ ۙ‏﴿۵۷﴾
৩৮-৫৭ : ইহা সীমালংঘনকারীদের জন্য। সুতরাং উহারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ।
আয়াত ৫৮
#
وَّاٰخَرُ مِنۡ شَكۡلِهٖۤ اَزۡوَاجٌ ؕ ‏﴿۵۸﴾
৩৮-৫৮ : আরও আছে এইরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি।
আয়াত ৫৯
#
هٰذَا فَوۡجٌ مُّقۡتَحِمٌ مَّعَكُمۡ‌ۚ لَا مَرۡحَبًۢـا بِهِمۡ‌ؕ اِنَّهُمۡ صَالُوا النَّارِ ‏﴿۵۹﴾
৩৮-৫৯ : ‘এই তো এক বাহিনী, তোমাদের সঙ্গে প্রবেশ করিতেছে।’ ‘উহাদের জন্য নাই অভিনন্দন, ইহারা তো জাহান্নামে জ্বলিবে।’
আয়াত ৬০
#
قَالُوۡا بَلۡ اَنۡتُمۡ لَا مَرۡحَبًۢـا بِكُمۡ‌ؕ اَنۡتُمۡ قَدَّمۡتُمُوۡهُ لَنَا‌ۚ فَبِئۡسَ الۡقَرَارُ‏﴿۶۰﴾
৩৮-৬০ : অনুসারীরা বলিবে, ‘বরং তোমরাও, তোমাদের জন্যও অভিনন্দন নাই। তোমরাই তো পূর্বে উহা আমাদের জন্য ব্যবস্থা করিয়াছ। কত নিকৃষ্ট এই আবাসস্থল!’
আয়াত ৬১
#
قَالُوۡا رَبَّنَا مَنۡ قَدَّمَ لَنَا هٰذَا فَزِدۡهُ عَذَابًا ضِعۡفًا فِى النَّارِ ‏﴿۶۱﴾
৩৮-৬১ : উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যে ইহা আমাদের সম্মুখীন করিয়াছে, জাহান্নামে তাহার শাস্তি তুমি দ্বিগুণ বর্ধিত কর।’
আয়াত ৬২
#
وَقَالُوۡا مَا لَنَا لَا نَرٰى رِجَالًا كُنَّا نَـعُدُّهُمۡ مِّنَ الۡاَشۡرَارِؕ‏﴿۶۲﴾
৩৮-৬২ : উহারা আরও বলিবে, ‘আমাদের কী হইল যে, আমরা যে সকল লোককে মন্দ বলিয়া গণ্য করিতাম তাহাদেরকে দেখিতে পাইতেছি না!
আয়াত ৬৩
#
اَ تَّخَذۡنٰهُمۡ سِخۡرِيًّا اَمۡ زَاغَتۡ عَنۡهُمُ الۡاَبۡصَارُ ‏﴿۶۳﴾
৩৮-৬৩ : ‘তবে কি আমরা উহাদেরকে অহেতুক ঠাট্টা - বিদ্রপের পাত্র মনে করিতাম, না উহাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটিয়াছে?’
আয়াত ৬৪
#
اِنَّ ذٰ لِكَ لَحَقّ ٌ تَخَاصُمُ اَهۡلِ النَّارِ ‏﴿۶۴﴾
৩৮-৬৪ : ইহা নিশ্চিত সত্য - জাহান্নামীদের এই বাদ - প্রতিবাদ।
আয়াত ৬৫
#
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا مُنۡذِرٌ ‌‌ۖ  وَّمَا مِنۡ اِلٰهٍ اِلَّا اللّٰهُ الۡوَاحِدُ الۡقَهَّارُ‌ ۚ‏﴿۶۵﴾
৩৮-৬৫ : বল, ‘আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং কোন ইলাহ্ নাই আল্লাহ্‌ ব্যতীত, যিনি এক, যিনি প্রবল প্রতাপশালী,
আয়াত ৬৬
#
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا الۡعَزِيۡزُ الۡغَفَّارُ‏﴿۶۶﴾
৩৮-৬৬ : ‘যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, যিনি পরাক্রমশালী, মহাক্ষমাশীল।’
আয়াত ৬৭
#
قُلۡ هُوَ نَبَؤٌا عَظِيۡمٌۙ‏﴿۶۷﴾
৩৮-৬৭ : বল, ‘ইহা এক মহাসংবাদ,
আয়াত ৬৮
#
اَنۡتُمۡ عَنۡهُ مُعۡرِضُوۡنَ‏﴿۶۸﴾
৩৮-৬৮ : ‘যাহা হইতে তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইতেছ।
আয়াত ৬৯
#
مَا كَانَ لِىَ مِنۡ عِلۡمٍۢ بِالۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰٓى اِذۡ يَخۡتَصِمُوۡنَ‏﴿۶۹﴾
৩৮-৬৯ : ‘ঊর্ধ্বলোকে তাহাদের বাদানুবাদ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না।
আয়াত ৭০
#
اِنۡ يُّوۡحٰۤى اِلَىَّ اِلَّاۤ اَنَّمَاۤ اَنَا۟ نَذِيۡرٌ مُّبِيۡنٌ ‏﴿۷۰﴾
৩৮-৭০ : ‘আমার নিকট তো এই ওহী আসিয়াছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’
আয়াত ৭১
#
اِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلٰٓٮِٕكَةِ اِنِّىۡ خَالِـقٌ ۢ بَشَرًا مِّنۡ طِيۡنٍ‏﴿۷۱﴾
৩৮-৭১ : স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ফিরিশ্‌তাদেরকে বলিয়াছিলেন, ‘আমি মানুষ সৃষ্টি করিতেছি কর্দম হইতে,
আয়াত ৭২
#
فَاِذَا سَوَّيۡتُهٗ وَنَفَخۡتُ فِيۡهِ مِنۡ رُّوۡحِىۡ فَقَعُوۡا لَهٗ سٰجِدِيۡنَ‏﴿۷۲﴾
৩৮-৭২ : ‘যখন আমি উহাকে সুষম করিব এবং উহাতে আমার রূহ্ সঞ্চার করিব, তখন তোমরা উহার প্রতি সিজ্‌দাবনত হইও।’
আয়াত ৭৩
#
فَسَجَدَ الۡمَلٰٓٮِٕكَةُ كُلُّهُمۡ اَجۡمَعُوۡنَۙ‏﴿۷۳﴾
৩৮-৭৩ : তখন ফিরিশ্‌তারা সকলেই সিজ্দাবনত২১ হইল -
আয়াত ৭৪
#
اِلَّاۤ اِبۡلِيۡسَؕ اِسۡتَكۡبَرَ وَكَانَ مِنَ الۡكٰفِرِيۡنَ‏﴿۷۴﴾
৩৮-৭৪ : কেবল ইবলীস ব্যতীত, সে অহংকার করিল এবং কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হইল।
আয়াত ৭৫
#
قَالَ يٰۤـاِبۡلِيۡسُ مَا مَنَعَكَ اَنۡ تَسۡجُدَ لِمَا خَلَقۡتُ بِيَدَىَّ‌ ؕ اَسۡتَكۡبَرۡتَ اَمۡ كُنۡتَ مِنَ الۡعَالِيۡنَ‏﴿۷۵﴾
৩৮-৭৫ : তিনি বলিলেন, ‘হে ইবলীস! আমি যাহাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করিয়াছি, তাহার প্রতি সিজ্‌দাবনত হইতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি কি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিলে, না তুমি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন?’
আয়াত ৭৬
#
قَالَ اَنَا خَيۡرٌ مِّنۡهُ‌ ؕ خَلَقۡتَنِىۡ مِنۡ نَّارٍ وَّخَلَقۡتَهٗ مِنۡ طِيۡنٍ‏﴿۷۶﴾
৩৮-৭৬ : সে বলিল, ‘আমি উহা হইতে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহাকে সৃষ্টি করিয়াছেন কর্দম হইতে।’
আয়াত ৭৭
#
قَالَ فَاخۡرُجۡ مِنۡهَا فَاِنَّكَ رَجِيۡمٌ ۖ‌ ۚ‏﴿۷۷﴾
৩৮-৭৭ : তিনি বলিলেন, ‘তুমি এখান হইতে বাহির হইয়া যাও, নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত।
আয়াত ৭৮
#
وَّاِنَّ عَلَيۡكَ لَعۡنَتِىۡۤ اِلٰى يَوۡمِ الدِّيۡنِ‏﴿۷۸﴾
৩৮-৭৮ : ‘এবং তোমার উপর আমার লা‘নত স্থায়ী হইবে, কর্মফল দিবস পর্যন্ত।’
আয়াত ৭৯
#
قَالَ رَبِّ فَاَنۡظِرۡنِىۡۤ اِلٰى يَوۡمِ يُبۡعَثُوۡنَ‏﴿۷۹﴾
৩৮-৭৯ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে অবকাশ দিন উত্থান দিবস পর্যন্ত।’
আয়াত ৮০
#
قَالَ فَاِنَّكَ مِنَ الۡمُنۡظَرِيۡنَۙ‏﴿۸۰﴾
৩৮-৮০ : তিনি বলিলেন, ‘তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হইলে -
আয়াত ৮১
#
اِلٰى يَوۡمِ الۡوَقۡتِ الۡمَعۡلُوۡمِ‏﴿۸۱﴾
৩৮-৮১ : ‘অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’
আয়াত ৮২
#
قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَاُغۡوِيَنَّهُمۡ اَجۡمَعِيۡنَۙ‏﴿۸۲﴾
৩৮-৮২ : সে বলিল, ‘আপনার ক্ষমতার শপথ! আমি উহাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করিব,
আয়াত ৮৩
#
اِلَّا عِبَادَكَ مِنۡهُمُ الۡمُخۡلَصِيۡنَ‏﴿۸۳﴾
৩৮-৮৩ : ‘তবে উহাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে নয়।’
আয়াত ৮৪
#
قَالَ فَالۡحَقُّ  وَالۡحَقَّ اَ قُوۡلُ‌ ۚ‏﴿۸۴﴾
৩৮-৮৪ : তিনি বলিলেন, ‘তবে ইহাই সত্য, আর আমি সত্যই বলি -
আয়াত ৮৫
#
لَاَمۡلَئَنَّ جَهَنَّمَ مِنۡكَ وَمِمَّنۡ تَبِعَكَ مِنۡهُمۡ اَجۡمَعِيۡنَ ‏﴿۸۵﴾
৩৮-৮৫ : ‘তোমার দ্বারা ও তোমার অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করিবই।’
আয়াত ৮৬
#
قُلۡ مَاۤ اَسۡـَٔــلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ وَّمَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُتَكَلِّفِيۡنَ‏﴿۸۶﴾
৩৮-৮৬ : বল, ‘আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না এবং যাহারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত নই।’
আয়াত ৮৭
#
اِنۡ هُوَ اِلَّا ذِكۡرٌ لِّلۡعٰلَمِيۡنَ‏﴿۸۷﴾
৩৮-৮৭ : ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র।
আয়াত ৮৮
#
وَلَتَعۡلَمُنَّ نَبَاَهٗ بَعۡدَ حِيۡنِ‏﴿۸۸﴾
৩৮-৮৮ : ইহার সংবাদ তোমরা অবশ্যই জানিবে, কিয়ৎকাল পরে।