← সব সূরা
surah035
surah-icon

৩৫. আল ফাতির

মাক্কী · ৪৫ আয়াত

বিসমিল্লাহ
#
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,
আয়াত ১
#
اَ لۡحَمۡدُ لِلّٰهِ فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ جَاعِلِ الۡمَلٰٓٮِٕكَةِ رُسُلًا اُولِىۡۤ اَجۡنِحَةٍ مَّثۡنٰى وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ؕ يَزِيۡدُ فِى الۡخَـلۡقِ مَا يَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرٌ‏﴿۱﴾
৩৫-১ : সকল প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌রই - যিনি বাণীবাহক করেন ফিরিশ্‌তাদেরকে যাহারা দুই দুই, তিন তিন অথবা চার চার পক্ষবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টিতে যাহা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ্‌ র্সববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
আয়াত ২
#
مَا يَفۡتَحِ اللّٰهُ لِلنَّاسِ مِنۡ رَّحۡمَةٍ فَلَا مُمۡسِكَ لَهَا ۚ وَمَا يُمۡسِكۡ ۙ فَلَا مُرۡسِلَ لَهٗ مِنۡۢ بَعۡدِه ؕ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ ‏﴿۲﴾
৩৫-২ : আল্লাহ্‌ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করিলে কেহ উহা নিবারণকারী নাই এবং তিনি কিছু নিরুদ্ধ করিতে চাহিলে তৎপর কেহ উহার উন্মুক্তকারী নাই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
আয়াত ৩
#
يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اذۡكُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰهِ عَلَيۡكُمۡؕ هَلۡ مِنۡ خَالِـقٍ غَيۡرُ اللّٰهِ يَرۡزُقُكُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَالۡاَرۡضِؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۖ فَاَنّٰى تُؤۡفَكُوۡنَ ‏﴿۳﴾
৩৫-৩ : হে মানুষ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ্‌ ব্যতীত কি কোন স্রষ্টা আছে, যে তোমাদেরকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী হইতে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। সুতরাং কোথায় তোমরা বিপথে চালিত হইতেছ?
আয়াত ৪
#
وَاِنۡ يُّكَذِّبُوۡكَ فَقَدۡ كُذِّبَتۡ رُسُلٌ مِّنۡ قَبۡلِكَؕ وَاِلَى اللّٰهِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ ‏﴿۴﴾
৩৫-৪ : ইহারা যদি তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তবে তোমার পূর্বেও রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করা হয়েছিল। আল্লাহ্‌র নিকটই সকল বিষয় প্রত্যানীত হইবে।
আয়াত ৫
#
يٰۤـاَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الۡحَيٰوةُ الدُّنۡيَاوَلَا يَغُرَّنَّكُمۡ بِاللّٰهِ الۡغَرُوۡرُ ‏﴿۵﴾
৩৫-৫ : হে মানুষ ! নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ্‌ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে।
আয়াত ৬
#
اِنَّ الشَّيۡطٰنَ لَـكُمۡ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوۡهُ عَدُوًّا ؕ اِنَّمَا يَدۡعُوۡا حِزۡبَهٗ لِيَكُوۡنُوۡا مِنۡ اَصۡحٰبِ السَّعِيۡرِؕ‏﴿۶﴾
৩৫-৬ : শয়তান তো তোমাদের শত্রু ; সুতরাং তাহাকে শত্রু হিসাবে গ্রহণ কর। সে তো তাহার দলবলকে আহ্বান করে কেবল এইজন্য যে, উহারা যেন জাহান্নামী হয়।
আয়াত ৭
#
اَ لَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِيۡدٌ ؕ وَّالَّذِيۡنَ اٰمَنُوا وَعَمِلُوۡا الصّٰلِحٰتِ لَهُمۡ مَّغۡفِرَةٌ وَّاَجۡرٌ كَبِيۡرٌ‏﴿۷﴾
৩৫-৭ : যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
আয়াত ৮
#
اَفَمَنۡ زُيِّنَ لَهٗ سُوۡٓءُ عَمَلِهٖ فَرَاٰهُ حَسَنًا ؕ فَاِنَّ اللّٰهَ يُضِلُّ مَنۡ يَّشَآءُ وَيَهۡدِىۡ مَنۡ يَّشَآءُ ‌ۖ  فَلَا تَذۡهَبۡ نَـفۡسُكَ عَلَيۡهِمۡ حَسَرٰتٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيۡمٌۢ بِمَا يَصۡنَـعُوۡنَ‏﴿۸﴾
৩৫-৮ : কাহাকেও যদি তাহার মন্দকর্ম শোভন করিয়া দেখান হয় এবং সে ইহাকে উত্তম মনে করে, সেই ব্যক্তি কি তাহার সমান যে সৎকর্ম করে? আল্লাহ্‌ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। অতএব ইহাদের জন্য আক্ষেপ করিয়া তোমার প্রাণ যেন ধ্বংস না হয়। উহারা যাহা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাহা জানেন।
আয়াত ৯
#
وَاللّٰهُ الَّذِىۡۤ اَرۡسَلَ الرِّيٰحَ فَتُثِيۡرُ سَحَابًا فَسُقۡنٰهُ اِلٰى بَلَدٍ مَّيِّتٍ فَاَحۡيَيۡنَا بِهِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا ؕ كَذٰلِكَ النُّشُوۡرُ ‏﴿۹﴾
৩৫-৯ : আল্লাহ্‌ই বায়ু প্রেরণ করিয়া উহা দ্বারা মেঘমালা সঞ্চারিত করেন। অতঃপর আমি উহা নির্জীব ভূখণ্ডের দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর আমি উহা দ্বারা ধরিত্রীকে উহার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করি। এইরূপেই মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করিয়া উঠানো হইবে।
আয়াত ১০
#
مَنۡ كَانَ يُرِيۡدُ الۡعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الۡعِزَّةُ جَمِيۡعًا ؕ اِلَيۡهِ يَصۡعَدُ الۡـكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالۡعَمَلُ الصَّالِحُ يَرۡفَعُهٗ ؕ وَ الَّذِيۡنَ يَمۡكُرُوۡنَ السَّيِّاٰتِ لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِيۡدٌ ؕ وَمَكۡرُ اُولٰٓٮِٕكَ هُوَ يَبُوۡرُ‏﴿۱۰﴾
৩৫-১০ : কেহ সম্মান ও ক্ষমতা চাহিলে সে জানিয়া রাখুক, সকল সম্মান ও ক্ষমতা তো আল্লাহ্‌রই। তাঁহারই দিকে পবিত্র বাণীসমূহ সমুত্থিত হয় এবং সৎকর্ম উহাকে উন্নীত করে, আর যাহারা মন্দ কাজের ফন্দি আঁটে তাহাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। তাহাদের ফন্দি ব্যর্থ হইবেই।
আয়াত ১১
#
وَاللّٰهُ خَلَقَكُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَةٍ ثُمَّ جَعَلَـكُمۡ اَزۡوَاجًا ؕ وَمَا تَحۡمِلُ مِنۡ اُنۡثٰى وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلۡمِهؕ وَمَا يُعَمَّرُ مِنۡ مُّعَمَّرٍ وَّلَا يُنۡقَصُ مِنۡ عُمُرِهٖۤ اِلَّا فِىۡ كِتٰبٍؕ اِنَّ ذٰلِكَ عَلَى اللّٰهِ يَسِيۡرٌ ‏﴿۱۱﴾
৩৫-১১ : আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে; অতঃপর শুক্রবিন্দু হইতে, অতঃপর তোমাদেরকে করিয়াছেন যুগল ! আল্লাহ্‌র অজ্ঞাতসারে কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং প্রসবও করে না। কোন দীর্ঘায়ু ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধি করা হয় না এবং তাহার আয়ু হ্রাস করা হয় না, কিন্তু তাহা তো রহিয়াছে ‘কিতাবে’। ইহা আল্লাহ্‌র জন্য সহজ।
আয়াত ১২
#
وَمَا يَسۡتَوِىۡ الۡبَحۡرٰنِ ‌ۖ  هٰذَا عَذۡبٌ فُرَاتٌ سَآٮِٕغٌ شَرَابُهٗ وَ هٰذَا مِلۡحٌ اُجَاجٌ ؕ وَمِنۡ كُلٍّ تَاۡكُلُوۡنَ لَحۡمًا طَرِيًّا وَّتَسۡتَخۡرِجُوۡنَ حِلۡيَةً تَلۡبَسُوۡنَهَا ۚ وَتَرَى الۡـفُلۡكَ فِيۡهِ مَوَاخِرَ لِتَبۡـتَـغُوۡا مِنۡ فَضۡلِهٖ وَلَعَلَّـكُمۡ تَشۡكُرُوۡنَ‏﴿۱۲﴾
৩৫-১২ : দরিয়া দুইটি একরূপ নয় : একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অপরটির পানি লোনা, খর। প্রত্যেকটি হইতে তোমরা তাজা গোশ্‌ত আহার কর এবং আহরণ কর অলংকার যাহা তোমরা পরিধান কর, এবং তোমরা দেখ উহার বুক চিরিয়া নৌযান চলাচল করে যাহাতে তোমরা তাঁহার অনুগ্রহ অনুসন্ধান করিতে পার এবং যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
আয়াত ১৩
#
يُوۡلِجُ الَّيۡلَ فِى النَّهَارِ وَيُوۡلِجُ النَّهَارَ فِى الَّيۡلِ ۙ وَسَخَّرَ الشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ ‌ۖ  كُلٌّ يَّجۡرِىۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّى ؕ ذٰ لِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمۡ لَـهُ الۡمُلۡكُ ؕ وَالَّذِيۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ مَا يَمۡلِكُوۡنَ مِنۡ قِطۡمِيۡرٍؕ‏﴿۱۳﴾
৩৫-১৩ : তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করান এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রিতে, তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করিয়াছেন নিয়মাধীন ; প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। তিনিই আল্লাহ্‌, তোমাদের প্রতিপালক। আধিপত্য তাঁহারই। এবং তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক তাহারা তো খর্জুর আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়।
আয়াত ১৪
#
اِنۡ تَدۡعُوۡهُمۡ لَا يَسۡمَعُوۡا دُعَآءَكُمۡ‌ ۚ وَلَوۡ سَمِعُوۡا مَا اسۡتَجَابُوۡا لَـكُمۡ ؕ وَيَوۡمَ الۡقِيٰمَةِ يَكۡفُرُوۡنَ بِشِرۡكِكُمۡ ؕ وَلَا يُـنَـبِّـئُكَ مِثۡلُ خَبِيۡرٍ‏﴿۱۴﴾
৩৫-১৪ : তোমরা তাহাদেরকে আহ্বান করিলে তাহারা তোমাদের আহ্‌বান শুনিবে না এবং শুনিলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দিবে না। তোমরা তাহাদেরকে যে শরীক করিয়াছ তাহা উহারা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করিবে। সর্বজ্ঞের ন্যায় কেহই তোমাকে অবহিত করিতে পারে না।
আয়াত ১৫
#
يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ اِلَى اللّٰهِۚ وَاللّٰهُ هُوَ الۡغَنِىُّ الۡحَمِيۡدُ ‏﴿۱۵﴾
৩৫-১৫ : হে মানুষ ! তােমরা তো আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী ; কিন্তু আল্লাহ্‌, তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসার্হ।
আয়াত ১৬
#
اِنۡ يَّشَاۡ يُذۡهِبۡكُمۡ وَيَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِيۡدٍۚ‏﴿۱۶﴾
৩৫-১৬ : তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদেরকে অপসৃত করিতে পারেন এবং এক নূতন সৃষ্টি আনয়ন করিতে পারেন।
আয়াত ১৭
#
وَمَا ذٰ لِكَ عَلَى اللّٰهِ بِعَزِيۡزٍ ‏﴿۱۷﴾
৩৫-১৭ : ইহা আল্লাহ্‌র পক্ষে কঠিন নয়।
আয়াত ১৮
#
وَ لَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزۡرَ اُخۡرَىٰ ؕ وَاِنۡ تَدۡعُ مُثۡقَلَةٌ اِلٰى حِمۡلِهَا لَا يُحۡمَلۡ مِنۡهُ شَىۡءٌ وَّلَوۡ كَانَ ذَا قُرۡبٰى ؕ اِنَّمَا تُنۡذِرُ الَّذِيۡنَ يَخۡشَوۡنَ رَبَّهُمۡ بِالۡغَيۡبِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ ؕ وَمَنۡ تَزَكّٰى فَاِنَّمَا يَتَزَكّٰى لِنَفۡسِهٖ ؕ وَاِلَى اللّٰهِ الۡمَصِيۡرُ‏﴿۱۸﴾
৩৫-১৮ : কোন বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করিবে না; কোন ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাহাকেও ইহা বহন করিতে আহবান করে তবে উহার কিছুই বহন করা হইবে না - সে নিকট - আত্মীয় হইলেও। তুমি কেবল তাহাদেরকেই সতর্ক করিতে পার যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে না দেখিয়া ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে কেহ নিজকে পরিশোধন করে সে তো পরিশোধন করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আল্লাহ্‌রই দিকে প্রত্যাবর্তন।
আয়াত ১৯
#
وَمَا يَسۡتَوِى الۡاَعۡمٰى وَالۡبَصِيۡرُ ۙ‏﴿۱۹﴾
৩৫-১৯ : সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান,
আয়াত ২০
#
وَلَا الظُّلُمٰتُ وَلَا النُّوۡرُۙ‏﴿۲۰﴾
৩৫-২০ : আর না অন্ধকার ও আলো,
আয়াত ২১
#
وَلَا الظِّلُّ وَلَا الۡحَـرُوۡرُۚ‏﴿۲۱﴾
৩৫-২১ : আর না ছায়া ও রৌদ্র,
আয়াত ২২
#
وَمَا يَسۡتَوِى الۡاَحۡيَآءُ وَلَا الۡاَمۡوَاتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ يُسۡمِعُ مَنۡ يَّشَآءُ ۚ وَمَاۤ اَنۡتَ بِمُسۡمِعٍ مَّنۡ فِى الۡقُبُوۡرِ‏﴿۲۲﴾
৩৫-২২ : এবং সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ্‌ই যাহাকে ইচ্ছা শ্রবণ করান; তুমি শোনাইতে সমর্থ হইবে না যাহারা কবরে রহিয়াছে তাহাদেরকে।
আয়াত ২৩
#
اِنۡ اَنۡتَ اِلَّا نَذِيۡرٌ ‏﴿۲۳﴾
৩৫-২৩ : তুমি একজন সতর্ককারী মাত্র।
আয়াত ২৪
#
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰكَ بِالۡحَـقِّ بَشِيۡرًا وَّنَذِيۡرًاؕ وَاِنۡ مِّنۡ اُمَّةٍ اِلَّا خَلَا فِيۡهَا نَذِيۡرٌ ‏﴿۲۴﴾
৩৫-২৪ : আমি তো তোমাকে সত্যসহ প্রেরণ করিয়াছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে; এমন কোন সম্প্রদায় নাই যাহার নিকট সতর্ককারী প্রেরিত হয় নাই।
আয়াত ২৫
#
وَاِنۡ يُّكَذِّبُوۡكَ فَقَدۡ كَذَّبَ الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ‌ۚ جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُهُمۡ بِالۡبَيِّنٰتِ وَبِالزُّبُرِ وَبِالۡكِتٰبِ الۡمُنِيۡرِ ‏﴿۲۵﴾
৩৫-২৫ : ইহারা যদি তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তবে ইহাদের পূর্ববর্তীগণও তো মিথ্যা আরোপ করিয়াছিল - তাহাদের নিকট আসিয়াছিল তাহাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শন, গ্রন্থাদি ও দীপ্তিমান কিতাবসহ।
আয়াত ২৬
#
ثُمَّ اَخَذۡتُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا فَكَيۡفَ كَانَ نَـكِيۡرِ ‏﴿۲۶﴾
৩৫-২৬ : অতঃপর আমি কাফিরদেরকে শাস্তি দিয়াছিলাম। কী ভয়ংকর আমার শাস্তি!
আয়াত ২৭
#
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ‌ۚ فَاَخۡرَجۡنَا بِهٖ ثَمَرٰتٍ مُّخۡتَلِفًا اَلۡوَانُهَاؕ وَمِنَ الۡجِبَالِ جُدَدٌۢ بِيۡضٌ وَّحُمۡرٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُهَا وَغَرَابِيۡبُ سُوۡدٌ ‏﴿۲۷﴾
৩৫-২৭ : তুমি কি দেখ না, আল্লাহ্‌ আকাশ হইতে বৃষ্টিপাত করেন; এবং আমি ইহা দ্বারা বিচিত্র বর্ণের ফলমূল উদ্‌গত করি। আর পাহাড়ের মধ্যে আছে বিচিত্র বর্ণের পথ - শুভ্র, লাল ও নিকষ কাল।
আয়াত ২৮
#
وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَآبِّ وَالۡاَنۡعَامِ مُخۡتَلِفٌ اَ لۡوَانُهٗ كَذٰلِكَ ؕ اِنَّمَا يَخۡشَى اللّٰهَ مِنۡ عِبَادِهِ الۡعُلَمٰٓؤُا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِيۡزٌ غَفُوۡرٌ‏﴿۲۸﴾
৩৫-২৮ : এইভাবে রং - বেরং - এর মানুষ, জন্তু ও আন‘আম রহিয়াছে। আল্লাহ্‌র বান্দাদের মধ্যে যাহারা জ্ঞানী তাহারাই তাঁহাকে ভয় করে ; আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
আয়াত ২৯
#
اِنَّ الَّذِيۡنَ يَتۡلُوۡنَ كِتٰبَ اللّٰهِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً يَّرۡجُوۡنَ تِجَارَةً لَّنۡ تَبُوۡرَۙ ‏﴿۲۹﴾
৩৫-২৯ : যাহারা আল্লাহ্‌র কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাহারাই আশা করে এমন ব্যবসায়ের, যাহার ক্ষয় নাই।
আয়াত ৩০
#
لِيُوَفِّيَهُمۡ اُجُوۡرَهُمۡ وَيَزِيۡدَهُمۡ مِّنۡ فَضۡلِهٖ ؕ اِنَّهٗ غَفُوۡرٌ شَكُوۡرٌ ‏﴿۳۰﴾
৩৫-৩০ : এইজন্য যে, আল্লাহ্‌ তাহাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাহাদেরকে আরও বেশি দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
আয়াত ৩১
#
وَالَّذِىۡۤ اَوۡحَيۡنَاۤ اِلَيۡكَ مِنَ الۡكِتٰبِ هُوَ الۡحَـقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِؕ اِنَّ اللّٰهَ بِعِبَادِهٖ لَخَبِيۡرٌۢ بَصِيۡرٌ ‏﴿۳۱﴾
৩৫-৩১ : আমি তোমার প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি তাহা সত্য, ইহা পূর্ববর্তী কিতাবের প্রত্যায়নকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের সমস্ত কিছু জানেন ও দেখেন।
আয়াত ৩২
#
ثُمَّ اَوۡرَثۡنَا الۡكِتٰبَ الَّذِيۡنَ اصۡطَفَيۡنَا مِنۡ عِبَادِنَاۚ فَمِنۡهُمۡ ظَالِمٌ لِّنَفۡسِهٖ‌ۚ وَمِنۡهُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ‌ۚ وَمِنۡهُمۡ سَابِقٌۢ بِالۡخَيۡرٰتِ بِاِذۡنِ اللّٰهِؕ ذٰلِكَ هُوَ الۡفَضۡلُ الۡكَبِيۡرُؕ‏﴿۳۲﴾
৩৫-৩২ : অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করিলাম আমার বান্দাদের মধ্য হইতে যাহাদেরকে আমি মনোনীত করিয়াছি; তবে তাহাদের কেহ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেহ মধ্যপন্থী এবং কেহ আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। ইহাই মহাঅনুগ্রহ -
আয়াত ৩৩
#
جَنّٰتُ عَدۡنٍ يَّدۡخُلُوۡنَهَا يُحَلَّوۡنَ فِيۡهَا مِنۡ اَسَاوِرَ مِنۡ ذَهَبٍ وَّلُـؤۡلُؤًا ۚ وَلِبَاسُهُمۡ فِيۡهَا حَرِيۡرٌ‏﴿۳۳﴾
৩৫-৩৩ : স্থায়ী জান্নাত, যাহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে, সেখানে তাহাদেরকে স্বর্ণ - নির্মিত কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হইবে এবং সেখানে তাহাদের পোশাক - পরিচ্ছদ হইবে রেশমের।
আয়াত ৩৪
#
وَقَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِىۡۤ اَذۡهَبَ عَـنَّا الۡحَزَنَ ؕ اِنَّ رَبَّنَا لَـغَفُوۡرٌ شَكُوۡرُ ۙ‏﴿۳۴﴾
৩৫-৩৪ : এবং তাহারা বলিবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র, যিনি আমাদের দুঃখ - দুর্দশা দূরীভূত করিয়াছেন; আমাদের প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী;
আয়াত ৩৫
#
اۨلَّذِىۡۤ اَحَلَّنَا دَارَ الۡمُقَامَةِ مِنۡ فَضۡلِهٖ‌ۚ لَا يَمَسُّنَا فِيۡهَا نَصَبٌ وَّلَا يَمَسُّنَا فِيۡهَا لُـغُوۡبٌ ‏﴿۳۵﴾
৩৫-৩৫ : ‘যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়াছেন যেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
আয়াত ৩৬
#
وَالَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا لَهُمۡ نَارُ جَهَنَّمَ‌ۚ لَا يُقۡضٰى عَلَيۡهِمۡ فَيَمُوۡتُوۡا وَلَا يُخَفَّفُ عَنۡهُمۡ مِّنۡ عَذَابِهَا ؕ كَذٰلِكَ نَـجۡزِىۡ كُلَّ كَفُوۡرٍۚ‏﴿۳۶﴾
৩৫-৩৬ : কিন্তু যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে জাহান্নামের আগুন। উহাদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হইবে না যে, উহারা মরিবে এবং উহাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হইবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়া থাকি।
আয়াত ৩৭
#
وَهُمۡ يَصۡطَرِخُوۡنَ فِيۡهَا ‌ۚ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا نَـعۡمَلۡ صَالِحًـا غَيۡرَ الَّذِىۡ كُـنَّا نَـعۡمَلُؕ اَوَلَمۡ نُعَمِّرۡكُمۡ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيۡهِ مَنۡ تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيۡرُؕ فَذُوۡقُوۡا فَمَا لِلظّٰلِمِيۡنَ مِنۡ نَّصِيۡرٍ ‏﴿۳۷﴾
৩৫-৩৭ : সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্‌ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’
আয়াত ৩৮
#
اِنَّ اللّٰهَ عٰلِمُ غَيۡبِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِؕ اِنَّهٗ عَلِيۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ‏﴿۳۸﴾
৩৫-৩৮ : নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় অবগত আছেন। অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে তিনি সবিশেষ অবহিত।
আয়াত ৩৯
#
هُوَ الَّذِىۡ جَعَلَـكُمۡ خَلٰٓٮِٕفَ فِى الۡاَرۡضِ ؕ فَمَنۡ كَفَرَ فَعَلَيۡهِ كُفۡرُهٗ ؕ وَلَا يَزِيۡدُ الۡـكٰفِرِيۡنَ كُفۡرُهُمۡ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ اِلَّا مَقۡتًا ۚ وَلَا يَزِيۡدُ الۡـكٰفِرِيۡنَ كُفۡرُهُمۡ اِلَّا خَسَارًا‏﴿۳۹﴾
৩৫-৩৯ : তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করিয়াছেন। সুতরাং কেহ কুফরী করিলে তাহার কুফরীর জন্য সে নিজেই দায়ী হইবে। কাফিরদের কুফরী কেবল উহাদের প্রতিপালকের ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফিরদের কুফরী উহাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
আয়াত ৪০
#
قُلۡ اَرَءَيۡتُمۡ شُرَكَآءَكُمُ الَّذِيۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ اَرُوۡنِىۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ اَمۡ لَهُمۡ شِرۡكٌ فِى السَّمٰوٰتِ‌ ۚ اَمۡ اٰتَيۡنٰهُمۡ كِتٰبًا فَهُمۡ عَلٰى بَيِّنَتٍ مِّنۡهُ ۚ بَلۡ اِنۡ يَّعِدُ الظّٰلِمُوۡنَ بَعۡضُهُمۡ بَعۡضًا اِلَّا غُرُوۡرًا‏﴿۴۰﴾
৩৫-৪০ : বল, ‘তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক সেই সকল শরীকের কথা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি? তাহারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করিয়া থাকিলে আমাকে দেখাও; অথবা আকাশমণ্ডলীর সৃষ্টিতে উহাদের কোন অংশ আছে কি? না কি আমি উহাদেরকে এমন কোন কিতাব দিয়াছি যাহার প্রমাণের উপর ইহারা নির্ভর করে?’ বস্তুত জালিমরা একে অপরকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়া থাকে। -
আয়াত ৪১
#
اِنَّ اللّٰهَ يُمۡسِكُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ اَنۡ تَزُوۡلَا ۚوَلَٮِٕنۡ زَالَــتَاۤ اِنۡ اَمۡسَكَهُمَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِهٖ ؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِيۡمًا غَفُوۡرًا‏﴿۴۱﴾
৩৫-৪১ : আল্লাহ্‌ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন, যাহাতে উহারা স্থানচ্যুত না হয়, উহারা স্থানচ্যুত হইলে তিনি ব্যতীত কে উহাদেরকে রক্ষা করিবে? তিনি তো অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
আয়াত ৪২
#
وَاَ قۡسَمُوۡا بِاللّٰهِ جَهۡدَ اَيۡمَانِهِمۡ لَٮِٕنۡ جَآءَهُمۡ نَذِيۡرٌ لَّيَكُوۡنُنَّ اَهۡدٰى مِنۡ اِحۡدَى الۡاُمَمِۚ فَلَمَّا جَآءَهُمۡ نَذِيۡرٌ مَّا زَادَهُمۡ اِلَّا نُفُوۡرًا ۙ‏﴿۴۲﴾
৩৫-৪২ : ইহারা দৃঢ়তার সঙ্গে আল্লাহ্‌র শপথ করিয়া বলিত যে, ইহাদের নিকট কোন সতর্ককারী আসিলে ইহারা অন্য সকল সম্প্রদায় অপেক্ষা সৎপথের অধিকতর অনুসারী হইবে; কিন্তু ইহাদের নিকট যখন সতর্ককারী আসিল তখন তাহা কেবল উহাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করিল -
আয়াত ৪৩
#
اۨسۡتِكۡبَارًا فِى الۡاَرۡضِ وَمَكۡرَ السَّيّیٴِؕ وَلَا يَحِيۡقُ الۡمَكۡرُ السَّيِّـئُ اِلَّا بِاَهۡلِهٖ ؕ فَهَلۡ يَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا سُنَّتَ الۡاَوَّلِيۡنَ ۚ فَلَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَبۡدِيۡلًا ۚ وَلَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَحۡوِيۡلًا‏﴿۴۳﴾
৩৫-৪৩ : পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে। কূট ষড়যন্ত্র উহার উদ্যোক্তাদেরকেই পরিবেষ্টন করে। তবে কি ইহারা প্রতীক্ষা করিতেছে পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রযুক্ত বিধানের? কিন্তু তুমি আল্লাহ্‌র বিধানের কখনও কোন পরিবর্তন পাইবে না এবং আল্লাহ্‌র বিধানের কোন ব্যতিক্রমও দেখিবে না।
আয়াত ৪৪
#
اَوَلَمۡ يَسِيۡرُوۡا فِى الۡاَرۡضِ فَيَنۡظُرُوۡا كَيۡفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ وَكَانُوۡۤا اَشَدَّ مِنۡهُمۡ قُوَّةً ؕ وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعۡجِزَهٗ مِنۡ شَىۡءٍ فِى السَّمٰوٰتِ وَلَا فِى الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّهٗ كَانَ عَلِيۡمًا قَدِيۡرًا‏﴿۴۴﴾
৩৫-৪৪ : ইহারা কি পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে নাই ? তাহা হইলে ইহাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হইয়াছিল তাহা দেখিতে পাইত। উহারা তো ইহাদের অপেক্ষা অধিকতর বলশালী ছিল। আল্লাহ্‌ এমন নন যে, আকাশমণ্ডলী এবং পৃথিবীর কোন কিছুই তাঁহাকে অক্ষম করিতে পারে; তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
আয়াত ৪৫
#
وَلَوۡ يُـؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوۡا مَا تَرَكَ عَلٰى ظَهۡرِهَا مِنۡ دَآ بَّةٍ وَّلٰـكِنۡ يُّؤَخِّرُهُمۡ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّىۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمۡ فَاِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِعِبَادِهٖ بَصِيۡرًا‏﴿۴۵﴾
৩৫-৪৫ : আল্লাহ্‌ মানুষকে তাহাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিলে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব - জন্তুকেই রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নিদির্ষ্ট কাল পর্যন্ত তাহাদেরকে অবকাশ দিয়া থাকেন। অতঃপর তাহাদের নির্দিষ্ট কাল আসিয়া গেলে আল্লাহ্‌ তো আছেন তাঁহার বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা।