সূরা আল জিন

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আল জিন

৭২-১ : বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, আল জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি,

সূরা আল জিন

৭২-২ : ‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না,

সূরা আল জিন

৭২-৩ : ‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা ; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান।

সূরা আল জিন

৭২-৪ : ‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্‌র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত।

সূরা আল জিন

৭২-৫ : ‘অথচ আমরা মনে করিতাম মানুষ ও আল জিন আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা আরোপ করিবে না।

সূরা আল জিন

৭২-৬ : ‘আরও এই যে, কতিপয় মানুষ কতক আল জিনের শরণ লইত, ফলে উহারা আল জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়াইয়া দিত।’

সূরা আল জিন

৭২-৭ : আরও এই যে, আল জিনেরা বলিয়াছিল, ‘তোমাদের মত মানুষও মনে করে যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ্‌ কাহাকেও পুনরুত্থিত করিবেন না।

সূরা আল জিন

৭২-৮ : ‘এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ ;

সূরা আল জিন

৭২-৯ : ‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্তু এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়।

সূরা আল জিন

৭২-১০ : ‘আমরা জানি না জগদ্বাসীর অমঙ্গলই অভিপ্রেত, না তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের মঙ্গল চান।

সূরা আল জিন

৭২-১১ : ‘এবং আমাদের কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক ইহার ব্যতিক্রম, আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী;

সূরা আল জিন

৭২-১২ : ‘এখন আমরা বুঝিয়াছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ্‌কে পরাভূত করিতে পারিব না এবং পলায়ন করিয়াও তাঁহাকে ব্যর্থ করিতে পারিব না।

সূরা আল জিন

৭২-১৩ : ‘আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনিলাম তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিলাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তাহার কোন ক্ষতি ও কোন অন্যায়ের আশংকা থাকিবে না।

সূরা আল জিন

৭২-১৪ : ‘আমাদের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী ; যাহারা আত্মসর্মপণ করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্যপথ বাছিয়া নেয়।

সূরা আল জিন

৭২-১৫ : ‘অপরপক্ষে সীমালংঘন - কারী তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।’

সূরা আল জিন

৭২-১৬ : উহারা যদি সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত থাকিত উহাদেরকে আমি প্রচুর বারি বর্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করিতাম,

সূরা আল জিন

৭২-১৭ : যদ্দ্বারা আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিতাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের স্মরণ হইতে বিমুখ হয় তিনি তাহাকে দুঃসহ শাস্তিতে প্রবেশ করাইবেন।

সূরা আল জিন

৭২-১৮ : এবং এই যে মসজিদসমূহ আল্লাহ্‌রই জন্য। সুতরাং আল্লাহ্‌র সঙ্গে তোমরা অন্য কাহাকেও ডাকিও না।

সূরা আল জিন

৭২-১৯ : আর এই যে, যখন আল্লাহ্‌র বান্দা তাঁহাকে ডাকিবার জন্য দণ্ডায়মান হইল তখন তাহারা তাহার নিকট ভিড় জমাইল।

সূরা আল জিন

৭২-২০ : বল, ‘আমি আমার প্রতিপালককেই ডাকি এবং তাঁহার সঙ্গে কাহাকেও শরীক করি না।’

সূরা আল জিন

৭২-২১ : বল, ‘আমি তোমাদের ইষ্ট - অনিষ্টের মালিক নই।’

সূরা আল জিন

৭২-২২ : বল, আল্লাহ্‌র শাস্তি হইতে কেহই আমাকে রক্ষা করিতে পারিবে না এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়ও পাইব না,

সূরা আল জিন

৭২-২৩ : ‘কেবল আল্লাহ্‌র পক্ষ হইতে পৌঁছান এবং তাঁহার বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। যাহারা আল্লাহ্‌ ও তাঁহার রাসূলকে অমান্য করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের অগ্নি, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে।

সূরা আল জিন

৭২-২৪ : যখন উহারা প্রতিশ্রুতি শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, বুঝিতে পারিবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়া দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প।

সূরা আল জিন

৭২-২৫ : বল, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা কি আসন্ন, না আমার প্রতিপালক ইহার জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করিবেন?’

সূরা আল জিন

৭২-২৬ : তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁহার অদৃশ্যের জ্ঞান কাহারও নিকট প্রকাশ করেন না,

সূরা আল জিন

৭২-২৭ : তাঁহার মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন,

সূরা আল জিন

৭২-২৮ : রাসূলগণ তাহাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছেন কি না জানিবার জন্য। রাসূলগণের নিকট যাহা আছে তাহা তাঁহার জ্ঞানগোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন।