সূরা আত্ তালাক

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আত্ তালাক

৬৫-১ : হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর, উহাদেরকে তালাক দিও ‘ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া এবং তোমরা ‘ইদ্দতের হিসাব রাখিও এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌কে ভয় করিও। তোমরা উহাদেরকে উহাদের বাসগৃহ হইতে বহিষ্কার করিও না এবং উহারাও যেন বাহির না হয়, যদি না উহারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এইগুলি আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমা ; যে আল্লাহ্‌র সীমা লংঘন করে সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ্‌ ইহার পর কোন উপায় করিয়া দিবেন।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-২ : উহাদের ‘ইদ্দত পূরণের কাল আসন্ন হইলে তোমরা হয় যথাবিধি উহাদেরকে রাখিয়া দিবে, না হয় উহাদেরকে যথাবিধি পরিত্যাগ করিবে এবং তোমাদের মধ্য হইতে দুইজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখিবে আর তোমরা আল্লাহ্‌র জন্য সঠিক সাক্ষ্য দিবে। ইহা দ্বারা তোমাদের মধ্যে যে কেহ আল্লাহ্‌ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে তাহাকে উপদেশ দেওয়া হইতেছে। যে কেহ আল্লাহ্‌কে ভয় করে আল্লাহ্‌ তাহার পথ করিয়া দিবেন,

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৩ : এবং তাহাকে তাহার ধারণাতীত উৎস হইতে দান করিবেন রিযিক। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করে তাহার জন্য আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট। আল্লাহ্‌ তাঁহার ইচ্ছা পূরণ করিবেনই ; আল্লাহ্‌ সমস্ত কিছুর জন্য স্থির করিয়াছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৪ : তোমাদের যে সকল স্ত্রীর আর ঋতুমতী হইবার আশা নাই তাহাদের ‘ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করিলে তাহাদের ‘ইদ্দতকাল হইবে তিন মাস এবং যাহারা এখনও রজঃস্বলা হয় নাই তাহাদেরও ; আর গর্ভবতী নারীদের ‘ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আল্লাহকে যে ভয় করে আল্লাহ্‌ তার সমস্যা সমাধান সহজ করিয়া দিবেন।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৫ : ইহা আল্লাহ্‌র বিধান যাহা তিনি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন। আল্লাহ্‌কে যে ভয় করে তিনি তাহার পাপ মোচন করিবেন এবং তাহাকে দিবেন মহাপুরস্কার।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৬ : তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেইরূপ গৃহে বাস কর তাহাদেরকেও সেইরূপ গৃহে বাস করিতে দিবে; তাহাদেরকে উত্ত্যক্ত করিবে না সঙ্কটে ফেলিবার জন্য ; তাহারা গর্ভবতী হইয়া থাকিলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাহাদের জন্য ব্যয় করিবে। যদি তাহারা তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্য দান করে তবে তাহাদেরকে পারিশ্রমিক দিবে এবং সন্তানের কল্যাণ সম্পর্কে তোমরা সঙ্গতভাবে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করিবে। তোমরা যদি নিজ নিজ দাবিতে অনমনীয় হও তাহা হইলে অন্য নারী তাহার পক্ষে স্তন্য দান করিবে।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৭ : বিত্তবান নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করিবে এবং যাহার জীবনোপকরণ সীমিত সে আল্লাহ্‌ যাহা দান করিয়াছেন তাহা হইতে ব্যয় করিবে। আল্লাহ্‌ যাহাকে যে সামর্থ্য দিয়াছেন তদপেক্ষা গুরুতর বোঝা তিনি তাহার উপর চাপান না। আল্লাহ্‌ কষ্টের পর দিবেন স্বস্তি।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৮ : কত জনপদ উহাদের প্রতিপালক ও তাঁহার রাসূলগণের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিল! ফলে আমি উহাদের নিকট হইতে কঠোর হিসাব লইয়াছিলাম এবং উহাদেরকে দিয়াছিলাম কঠিন শাস্তি।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-৯ : অতঃপর উহারা উহাদের কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করিল; ক্ষতিই হইল উহাদের কর্মের পরিণাম।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-১০ : আল্লাহ্‌ উহাদের জন্য কঠোর শাস্তি প্রস্তুত রাখিয়াছেন। অতএব তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর, হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ! যাহারা ঈমান আনিয়াছ। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন উপদেশ -

সূরা আত্ তালাক

৬৫-১১ : এক রাসূল, যে তোমাদের নিকট আল্লাহ্‌র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, যাহারা মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ তাহাদেরকে অন্ধকার হইতে আলোতে আনিবার জন্য। যে কেহ আল্লাহে বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে ; আল্লাহ্‌ তাহাকে উত্তম রিযিক দিবেন।

সূরা আত্ তালাক

৬৫-১২ : আল্লাহ্‌ই সৃষ্টি করিয়াছেন সপ্ত আকাশ এবং উহাদের অনুরূপ পৃথিবীও, উহাদের মধ্যে নামিয়া আসে তাঁহার নির্দেশ ; যাহাতে তোমরা বুঝিতে পার যে, আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ্ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করিয়া আছেন।