সূরা আন্ নাজম

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১ : শপথ নক্ষত্রের, যখন উহা হয় অস্তমিত,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২ : তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩ : এবং সে মনগড়া কথাও বলে না।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪ : ইহা তো ওহী, যাহা তাহার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫ : তাহাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৬ : প্রজ্ঞাসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে স্থির হইয়াছিল,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৭ : তখন সে ঊর্ধ্বদিগন্তে,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৮ : অতঃপর সে তাহার নিকটবর্তী হইল, অতি নিকটবর্তী,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৯ : ফলে তাহাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রহিল অথবা উহারও কম।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১০ : তখন আল্লাহ্‌ তাঁহার বান্দার প্রতি যাহা ওহী করিবার তাহা ওহী করিলেন।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১১ : যাহা সে দেখিয়াছে, তাহার অন্তঃকরণ তাহা অস্বীকার করে নাই;

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১২ : সে যাহা দেখিয়াছে তোমরা কি সে বিষয়ে তাহার সঙ্গে বিতর্ক করিবে?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৩ : নিশ্চয়ই সে তাহাকে আরেকবার দেখিয়াছিল

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৪ : প্রান্তবর্তী বদরী বৃক্ষের নিকট,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৫ : যাহার নিকট অবস্থিত বাসোদ্যান।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৬ : যখন বৃক্ষটি, যদ্দ্বারা আচ্ছাদিত হইবার তদ্দ্বারা ছিল আচ্ছাদিত,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৭ : তাহার দৃষ্টিবিভ্রম হয় নাই, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয় নাই।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৮ : সে তো তাহার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখিয়াছিল;

সূরা আন্ নাজম

৫৩-১৯ : তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ ‘লাত’ ও ‘উয্‌যা’ সম্বন্ধে

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২০ : এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২১ : তবে কি তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান এবং আল্লাহ্‌র জন্য কন্যা সন্তান ?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২২ : এই প্রকার বণ্টন তো অসংগত।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৩ : এইগুলি কতক নামমাত্র যাহা তোমাদের পূর্বপুরুষগণ ও তোমরা রাখিয়াছ, যাহার সমর্থনে আল্লাহ্‌ কোন দলীল প্রেরণ করেন নাই। তাহারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাহাদের নিকট তাহাদের প্রতিপালকের পথনির্দেশ আসিয়াছে।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৪ : মানুষ যাহা চায় তাহাই কি সে পায়?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৫ : বস্তুত ইহকাল ও পরকাল আল্লাহ্‌রই।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৬ : আকাশে কত ফিরিশ্‌তা রহিয়াছে ; উহাদের সুপারিশ কিছুমাত্র ফলপ্রসূ হইবে না, তবে আল্লাহ্‌র অনুমতির পর ; যাহার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন ও যাহার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৭ : যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারাই নারীবাচক নাম দিয়া থাকে ফিরিশ্‌তাদেরকে;

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৮ : অথচ এই বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান নাই, উহারা তো কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করে; কিন্তু সত্যের মুকাবিলায় অনুমানের কোনই মূল্য নাই।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-২৯ : অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ তুমি তাহাকে উপেক্ষা করিয়া চল; সে তো কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩০ : উহাদের জ্ঞানের দৌড় এই পর্যন্ত। তোমার প্রতিপালকই ভাল জানেন কে তাঁহার পথ হইতে বিচ্যুত, তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথপ্রাপ্ত।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩১ : আকাশমণ্ডলীতে যাহা কিছু আছে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা আল্লাহ্‌রই। যাহারা মন্দ কর্ম করে তাহাদেরকে তিনি দেন মন্দ ফল এবং যাহারা সৎকর্ম করে তাহাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩২ : উহারাই বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হইতে, ছোটখাট অপরাধ করিলেও। তোমার প্রতিপালকের ক্ষমা অপরিসীম ; আল্লাহ্‌ তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত - যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছিলেন মৃত্তিকা হইতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রণরূপে ছিলে। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করিও না, তিনিই সম্যক জানেন মুত্তাকী কে।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৩ : তুমি কি দেখিয়াছ সেই ব্যক্তিকে যে মুখ ফিরাইয়া নেয়;

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৪ : এবং দান করে সামান্যই, পরে বন্ধ করিয়া দেয়?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৫ : তাহার কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে প্রত্যক্ষ করে?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৬ : তাহাকে কি অবগত করা হয় নাই যাহা আছে মূসার কিতাবে,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৭ : এবং ইব্‌রাহীমের কিতাবে, যে পালন করিয়াছিল তাহার দায়িত্ব?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৮ : উহা এই যে, কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করিবে না,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৩৯ : আর এই যে, মানুষ তাহাই পায় যাহা সে করে,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪০ : আর এই যে, তাহার কর্ম অচিরেই দেখান হইবে -

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪১ : অতঃপর তাহাকে দেওয়া হইবে পূর্ণ প্রতিদান,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪২ : আর এই যে, সমস্ত কিছুর সমাপ্তি তো তোমার প্রতিপালকের নিকট,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৩ : আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৪ : আর এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৫ : আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল - পুরুষ ও নারী

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৬ : শুক্রবিন্দু হইতে, যখন উহা স্খলিত হয়,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৭ : আর এই যে, পুনরুত্থান ঘটাইবার দায়িত্ব তাঁহারই,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৮ : আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৪৯ : আর এই যে, তিনি শি‘রা নক্ষত্রের মালিক।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫০ : আর এই যে, তিনিই প্রাচীন ‘আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করিয়াছিলেন

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫১ : এবং সামূদ সম্প্রদায়কেও; কাহাকেও তিনি বাকি রাখেন নাই

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫২ : আর ইহাদের পূর্বে সূরা নূহের সম্প্রদায়কেও, উহারা ছিল অতিশয় জালিম ও অবাধ্য।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৩ : উল্টানো আবাসভূমিকে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৪ : উহাকে আচ্ছন্ন করিল কী সর্বগ্রাসী শাস্তি!

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৫ : তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করিবে?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৬ : অতীতের সতর্ককারীদের ন্যায় এই নবীও এক সতর্ককারী।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৭ : কিয়ামত আসন্ন,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৮ : আল্লাহ্‌ ব্যতীত কেহই ইহা ব্যক্ত করিতে সক্ষম নয়।

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৫৯ : তোমরা কি এই কথায় বিস্ময় বোধ করিতেছ!

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৬০ : এবং হাসিঠাট্টা করিতেছ! ক্রন্দন করিতেছ না?

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৬১ : তোমরা তো উদাসীন,

সূরা আন্ নাজম

৫৩-৬২ : অতএব আল্লাহ্‌কে সিজ্‌দা কর এবং তাঁহারই ‘ইবাদত কর।