সূরা মরিয়ম

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা মরিয়ম

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

সূরা মরিয়ম

كٓهٰيٰـعٓـصٓ‌ ۚ‏﴿۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১ : কাফ্ - হা - ইয়া - আইন - সোয়াদ ;

সূরা মরিয়ম

ذِكۡرُ رَحۡمَتِ رَبِّكَ عَـبۡدَهٗ زَكَرِيَّا ‌ ۖ ‌ۚ‏﴿۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২ : ইহা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁহার বান্দা যাকারিয়্যার প্রতি,

সূরা মরিয়ম

اِذۡ نَادٰى رَبَّهٗ نِدَآءً خَفِيًّا‏﴿۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩ : যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়াছিল নিভৃতে,

সূরা মরিয়ম

قَالَ رَبِّ اِنِّىۡ وَهَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّىۡ وَاشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَيۡبًا وَّلَمۡ اَكُنۡۢ بِدُعَآٮِٕكَ رَبِّ شَقِيًّا‏﴿۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪ : সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হইয়াছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হইয়াছে; হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহ্‌বান করিয়া আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই।

সূরা মরিয়ম

وَاِنِّىۡ خِفۡتُ الۡمَوَالِىَ مِنۡ وَّرَآءِىۡ وَكَانَتِ امۡرَاَتِىۡ عَاقِرًا فَهَبۡ لِىۡ مِنۡ لَّدُنۡكَ وَلِيًّا ۙ‏﴿۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫ : ‘আমি আশংকা করি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। সুতরাং তুমি তোমার নিকট হইতে আমাকে দান কর উত্তরাধিকারী,

সূরা মরিয়ম

يَّرِثُنِىۡ وَيَرِثُ مِنۡ اٰلِ يَعۡقُوۡبَ ۖ ‌ وَاجۡعَلۡهُ رَبِّ رَضِيًّا‏﴿۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬ : ‘যে আমার উত্তরাধিকারিত্ব করিবে এবং উত্তরাধিকারিত্ব করিবে ইয়া‘কূবের বংশের এবং হে আমার প্রতিপালক! তাহাকে করিও সন্তোষভাজন’।

সূরা মরিয়ম

يٰزَكَرِيَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلٰمِ اۨسۡمُهٗ يَحۡيٰى ۙ لَمۡ نَجۡعَلْ لَّهٗ مِنۡ قَبۡلُ سَمِيًّا‏﴿۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭ : তিনি বলিলেন, ‘ হে যাকারিয়্যা! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিতেছি, তাহার নাম হইবে ইয়াহ্ইয়া; এই নামে পূর্বে আমি কাহারও নামকরণ করি নাই।’

সূরা মরিয়ম

قَالَ رَبِّ اَنّٰى يَكُوۡنُ لِىۡ غُلٰمٌ وَّكَانَتِ امۡرَاَتِىۡ عَاقِرًا وَّقَدۡ بَلَـغۡتُ مِنَ الۡـكِبَرِ عِتِيًّا‏﴿۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮ : সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেমন করিয়া আমার পুত্র হইবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় উপনীত।’

সূরা মরিয়ম

قَالَ كَذٰلِكَ‌ۚ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌ وَّقَدۡ خَلَقۡتُكَ مِنۡ قَبۡلُ وَلَمۡ تَكُ شَيۡـًٔـا‏﴿۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯ : তিনি বলিলেন, ‘এইরূপই হইবে।’ তোমার প্রতিপালক বলিলেন, ‘ইহা আমার জন্য সহজসাধ্য ; আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।’

সূরা মরিয়ম

قَالَ رَبِّ اجۡعَلْ لِّىۡۤ اٰيَةً‌  ؕ قَالَ اٰيَتُكَ اَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلٰثَ لَيَالٍ سَوِيًّا‏﴿۱۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১০ : যাকারিয়্যা বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি নিদর্শন দাও।’ তিনি বলিলেন, ‘তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কাহারও সঙ্গে তিন দিন বাক্যালাপ করিবে না।’

সূরা মরিয়ম

فَخَرَجَ عَلٰى قَوۡمِهٖ مِنَ الۡمِحۡرَابِ فَاَوۡحٰٓى اِلَيۡهِمۡ اَنۡ سَبِّحُوۡا بُكۡرَةً وَّعَشِيًّا‏﴿۱۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১১ : অতঃপর সে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া তাহার সম্প্রদায়ের নিকট আসিল এবং ইঙ্গিতে তাহাদেরকে সকাল সন্ধায় আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করিতে বলিল।

সূরা মরিয়ম

يٰيَحۡيٰى خُذِ الۡكِتٰبَ بِقُوَّةٍ‌ ؕ وَاٰتَيۡنٰهُ الۡحُكۡمَ صَبِيًّا ۙ‏﴿۱۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১২ : ‘হে ইয়াহ্ইয়া! এই কিতাব দৃঢ়তার সঙ্গে গ্রহণ কর।’ আমি তাহাকে শৈশবেই দান করিয়াছিলাম জ্ঞান,

সূরা মরিয়ম

وَّحَنَانًـا مِّنۡ لَّدُنَّا وَزَكٰوةً  ‌ؕ وَّكَانَ تَقِيًّا ۙ‏﴿۱۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৩ : এবং আমার নিকট হইতে হৃদয়ের কোমলতা ও পবিত্রতা; সে ছিল মুত্তাকী,

সূরা মরিয়ম

وَّبَرًّۢا بِوَالِدَيۡهِ وَلَمۡ يَكُنۡ جَبَّارًا عَصِيًّا‏﴿۱۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৪ : পিতা - মাতার অনুগত এবং সে ছিল না উদ্ধত ও অবাধ্য।

সূরা মরিয়ম

وَسَلٰمٌ عَلَيۡهِ يَوۡمَ وُلِدَ وَيَوۡمَ يَمُوۡتُ وَيَوۡمَ يُبۡعَثُ حَيًّا‏﴿۱۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৫ : তাহার প্রতি শান্তি যেদিন সে জন্মলাভ করে, যেদিন তাহার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইবে।

সূরা মরিয়ম

وَاذۡكُرۡ فِى الۡـكِتٰبِ مَرۡيَمَ‌ۘ اِذِ انْتَبَذَتۡ مِنۡ اَهۡلِهَا مَكَانًا شَرۡقِيًّا ۙ‏﴿۱۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৬ : বর্ণনা কর এই কিতাবে উল্লিখিত মার্‌ইয়ামের কথা, যখন সে তাহার পরিবারবর্গ হইতে পৃথক হইয়া নিরালায় পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় লইল,

সূরা মরিয়ম

فَاتَّخَذَتۡ مِنۡ دُوۡنِهِمۡ حِجَابًا فَاَرۡسَلۡنَاۤ اِلَيۡهَا رُوۡحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا‏﴿۱۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৭ : অতঃপর উহাদের হইতে সে পর্দা করিল। অতঃপর আমি তাহার নিকট আমার রূহ্কে পাঠাইলাম, সে তাহার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করিল।

সূরা মরিয়ম

قَالَتۡ اِنِّىۡۤ اَعُوۡذُ بِالرَّحۡمٰنِ مِنۡكَ اِنۡ كُنۡتَ تَقِيًّا‏﴿۱۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৮ : মার্‌ইয়াম বলিল, আল্লাহ্‌কে ভয় কর যদি তুমি ‘মুত্তাকী হও’, আমি তোমা হইতে দয়াময়ের শরণ লইতেছি।

সূরা মরিয়ম

‌قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَا رَسُوۡلُ رَبِّكِ ‌ ۖ  لِاَهَبَ لَـكِ غُلٰمًا زَكِيًّا‏﴿۱۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-১৯ : সে বলিল, ‘আমি তো তোমার প্রতিপালক - প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করিবার জন্য।’

সূরা মরিয়ম

قَالَتۡ اَنّٰى يَكُوۡنُ لِىۡ غُلٰمٌ وَّلَمۡ يَمۡسَسۡنِىۡ بَشَرٌ وَّلَمۡ اَكُ بَغِيًّا‏﴿۲۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২০ : মার্‌ইয়াম বলিল, ‘কেমন করিয়া আমার পুত্র হইবে যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করে নাই এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই?’

সূরা মরিয়ম

قَالَ كَذٰلِكِ‌ ۚ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌ‌ ۚ وَلِنَجۡعَلَهٗۤ اٰيَةً لِّلنَّاسِ وَرَحۡمَةً مِّنَّا‌ ۚ وَكَانَ اَمۡرًا مَّقۡضِيًّا‏﴿۲۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২১ : সে বলিল, ‘এইরূপই হইবে।’ তোমার প্রতিপালক বলিয়াছেন, ‘ইহা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি উহাকে এইজন্য সৃষ্টি করিব যেন সে হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও আমার নিকট হইতে এক অনুগ্রহ; ইহা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।’

সূরা মরিয়ম

فَحَمَلَـتۡهُ فَانْتَبَذَتۡ بِهٖ مَكَانًا قَصِيًّا‏﴿۲۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২২ : তৎপর সে গর্ভে উহাকে ধারণ করিল; অতঃপর তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলিয়া গেল;

সূরা মরিয়ম

فَاَجَآءَهَا الۡمَخَاضُ اِلٰى جِذۡعِ النَّخۡلَةِ‌ۚ قَالَتۡ يٰلَيۡتَنِىۡ مِتُّ قَبۡلَ هٰذَا وَكُنۡتُ نَسۡيًا مَّنۡسِيًّا‏﴿۲۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৩ : প্রসব - বেদনা তাহাকে এক খর্জুর - বৃক্ষতলে আশ্রয় লইতে বাধ্য করিল। সে বলিল, ‘হায়, ইহার পূর্বে আমি যদি মরিয়া যাইতাম ও লোকের স্মৃতি হইতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হইতাম!’

সূরা মরিয়ম

فَنَادٰٮهَا مِنۡ تَحۡتِهَاۤ اَلَّا تَحۡزَنِىۡ قَدۡ جَعَلَ رَبُّكِ تَحۡتَكِ سَرِيًّا‏﴿۲۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৪ : ফিরিশ্‌তা তাহার নিম্নপার্শ্ব হইতে আহ্বান করিয়া তাহাকে বলিল, ‘তুমি দুঃখ করিও না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করিয়াছেন;

সূরা মরিয়ম

وَهُزِّىۡۤ اِلَيۡكِ بِجِذۡعِ النَّخۡلَةِ تُسٰقِطۡ عَلَيۡكِ رُطَبًا جَنِيًّا‏﴿۲۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৫ : ‘তুমি তোমার দিকে খর্জুর - বৃক্ষের কাণ্ডে নাড়া দাও, উহা তোমাকে সুপক্ব তাজা খর্জুর দান করিবে।

সূরা মরিয়ম

فَكُلِىۡ وَاشۡرَبِىۡ وَقَرِّىۡ عَيۡنًا‌ ۚ فَاِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الۡبَشَرِ اَحَدًا ۙ فَقُوۡلِىۡۤ اِنِّىۡ نَذَرۡتُ لِلرَّحۡمٰنِ صَوۡمًا فَلَنۡ اُكَلِّمَ الۡيَوۡمَ اِنۡسِيًّا ‌ۚ‏﴿۲۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৬ : সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও। মানুষের মধ্যে কাহাকেও যদি তুমি দেখ তখন বলিও, ‘আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতা অবলম্বনের মানত করিয়াছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করিব না।’

সূরা মরিয়ম

فَاَتَتۡ بِهٖ قَوۡمَهَا تَحۡمِلُهٗ‌ؕ قَالُوۡا يٰمَرۡيَمُ لَقَدۡ جِئۡتِ شَيۡـًٔـا فَرِيًّا‏﴿۲۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৭ : অতঃপর সে সন্তানকে লইয়া তাহার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হইল; উহারা বলিল, ‘হে মার্‌ইয়াম! তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করিয়া বসিয়াছ।

সূরা মরিয়ম

يٰۤـاُخۡتَ هٰرُوۡنَ مَا كَانَ اَ بُوۡكِ امۡرَاَ سَوۡءٍ وَّمَا كَانَتۡ اُمُّكِ بَغِيًّا‌ ۖ‌ ۚ‏﴿۲۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৮ : ‘হে হারূন - ভগ্নি! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।’

সূরা মরিয়ম

فَاَشَارَتۡ اِلَيۡهِ‌ ؕ قَالُوۡا كَيۡفَ نُـكَلِّمُ مَنۡ كَانَ فِى الۡمَهۡدِ صَبِيًّا‏﴿۲۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-২৯ : অতঃপর মার্‌ইয়াম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করিল। উহারা বলিল, ‘যে কোলের শিশু তাহার সঙ্গে আমরা কেমন করিয়া কথা বলিব?’

সূরা মরিয়ম

قَالَ اِنِّىۡ عَبۡدُ اللّٰهِ ؕ اٰتٰٮنِىَ الۡكِتٰبَ وَجَعَلَنِىۡ نَبِيًّا ۙ‏﴿۳۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩০ : সে বলিল, ‘আমি তো আল্লাহ্‌র বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়াছেন, আমাকে নবী করিয়াছেন,

সূরা মরিয়ম

وَّجَعَلَنِىۡ مُبٰـرَكًا اَيۡنَ مَا كُنۡتُ وَاَوۡصٰنِىۡ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ مَا دُمۡتُ حَيًّا ‌ۖ ‏﴿۳۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩১ : ‘যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করিয়াছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়াছেন যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করিতে -

সূরা মরিয়ম

وَّبَرًّۢابِوَالِدَتِىۡ وَلَمۡ يَجۡعَلۡنِىۡ جَبَّارًا شَقِيًّا‏﴿۳۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩২ : ‘আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে করেন নাই উদ্ধত ও হতভাগ্য;

সূরা মরিয়ম

وَالسَّلٰمُ عَلَىَّ يَوۡمَ وُلِدْتُّ وَيَوۡمَ اَمُوۡتُ وَيَوۡمَ اُبۡعَثُ حَيًّا‏﴿۳۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৩ : ‘আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব।’

সূরা মরিয়ম

ذٰ لِكَ عِيۡسَى ابۡنُ مَرۡيَمَ ‌ۚ قَوۡلَ الۡحَـقِّ الَّذِىۡ فِيۡهِ يَمۡتَرُوۡنَ‏﴿۳۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৪ : এই - ই মার্‌ইয়াম - তনয় ‘ঈসা। আমি বলিলাম সত্য কথা, যে বিষয়ে উহারা বিতর্ক করে।

সূরা মরিয়ম

مَا كَانَ لِلّٰهِ اَنۡ يَّتَّخِذَ مِنۡ وَّلَدٍ‌ۙ سُبۡحٰنَهٗ‌ؕ اِذَا قَضٰٓى اَمۡرًا فَاِنَّمَا يَقُوۡلُ لَهٗ كُنۡ فَيَكُوۡنُؕ‏﴿۳۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৫ : সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহ্‌র কাজ নহে, তিনি পবিত্র মহিমময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন সেই সম্পর্কে বলেন ‘হও’ এবং উহা হইয়া যায়।

সূরা মরিয়ম

وَاِنَّ اللّٰهَ رَبِّىۡ وَرَبُّكُمۡ فَاعۡبُدُوۡهُ ‌ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِيۡمٌ‏﴿۳۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৬ : আল্লাহ্‌ই আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক ; সুতরাং তোমরা তাঁহার ‘ইবাদত কর, ইহাই সরল পথ।

সূরা মরিয়ম

فَاخۡتَلَفَ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَيۡنِهِمۡ‌ۚ فَوَيۡلٌ لِّـلَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا مِنۡ مَّشۡهَدِ يَوۡمٍ عَظِيۡمٍ‏﴿۳۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৭ : অতঃপর দলগুলি নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করিল, সুতরাং দুর্ভোগ কাফিরদের জন্য মহাদিবস আগমনকালে।

সূরা মরিয়ম

اَسۡمِعۡ بِهِمۡ وَاَبۡصِرۡۙ يَوۡمَ يَاۡتُوۡنَنَا‌ لٰـكِنِ الظّٰلِمُوۡنَ الۡيَوۡمَ فِىۡ ضَلٰلٍ مُّبِيۡنٍ‏﴿۳۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৮ : উহারা যেদিন আমার নিকট আসিবে সেই দিন উহারা কত স্পষ্ট শুনিবে ও দেখিবে! কিন্তু জালিমরা আজ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।

সূরা মরিয়ম

وَاَنۡذِرۡهُمۡ يَوۡمَ الۡحَسۡرَةِ اِذۡ قُضِىَ الۡاَمۡرُ‌‌ۘ وَهُمۡ فِىۡ غَفۡلَةٍ وَّهُمۡ لَا يُؤۡمِنُوۡنَ‏﴿۳۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৩৯ : উহাদেরকে সতর্ক করিয়া দাও পরিতাপ দিবস সম্বন্ধে, যখন সকল সিদ্ধান্ত হইয়া যাইবে। এখন উহারা গাফিল এবং উহারা বিশ্বাস করে না।

সূরা মরিয়ম

اِنَّا نَحۡنُ نَرِثُ الۡاَرۡضَ وَمَنۡ عَلَيۡهَا وَاِلَـيۡنَا يُرۡجَعُوۡنَ‏﴿۴۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪০ : নিশ্চয়ই পৃথিবীর ও উহার উপর যাহারা আছে তাহাদের চূড়ান্ত মালিকানা আমারই রহিবে এবং উহারা আমারই নিকট প্রত্যানীত হইবে।

সূরা মরিয়ম

وَاذۡكُرۡ فِى الۡكِتٰبِ اِبۡرٰهِيۡمَ ۙ اِنَّهٗ كَانَ صِدِّيۡقًا نَّبِيًّا‏﴿۴۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪১ : স্মরণ কর, এই কিতাবে উল্লিখিত ইব্‌রাহীমের কথা; সে ছিলো সত্যনিষ্ঠ, নবী।

সূরা মরিয়ম

اِذۡ قَالَ لِاَبِيۡهِ يٰۤـاَبَتِ لِمَ تَعۡبُدُ مَا لَا يَسۡمَعُ وَلَا يُبۡصِرُ وَ لَا يُغۡنِىۡ عَنۡكَ شَيۡــًٔـا‏﴿۴۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪২ : যখন সে তাহার পিতাকে বলিল, ‘হে আমার পিতা! তুমি তাহার ‘ইবাদত কর কেন যে শুনে না, দেখে না এবং তোমার কোনই কাজে আসে না?’

সূরা মরিয়ম

يٰۤـاَبَتِ اِنِّىۡ قَدۡ جَآءَنِىۡ مِنَ الۡعِلۡمِ مَا لَمۡ يَاۡتِكَ فَاتَّبِعۡنِىۡۤ اَهۡدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا‏﴿۴۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৩ : ‘হে আমার পিতা! আমার নিকট তো আসিয়াছে জ্ঞান যাহা তোমার নিকট আসে নাই; সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাইব।

সূরা মরিয়ম

يٰۤـاَبَتِ لَا تَعۡبُدِ الشَّيۡطٰنَ‌ ؕ اِنَّ الشَّيۡطٰنَ كَانَ لِلرَّحۡمٰنِ عَصِيًّا‏﴿۴۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৪ : ‘হে আমার পিতা! শয়তানের ‘ইবাদত করিও না। শয়তান তো দয়াময়ের অবাধ্য।

সূরা মরিয়ম

يٰۤاَبَتِ اِنِّىۡۤ اَخَافُ اَنۡ يَّمَسَّكَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ فَتَكُوۡنَ لِلشَّيۡطٰنِ وَلِيًّا‏﴿۴۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৫ : ‘হে আমার পিতা! আমি তো আশংকা করি যে, তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করিবে, তখন তুমি হইয়া পড়িবে শয়তানের বন্ধু।’

সূরা মরিয়ম

قَالَ اَرَاغِبٌ اَنۡتَ عَنۡ اٰلِهَتِىۡ يٰۤاِبۡرٰهِيۡمُ‌ۚ لَٮِٕنۡ لَّمۡ تَنۡتَهِ لَاَرۡجُمَنَّكَ‌ وَاهۡجُرۡنِىۡ مَلِيًّا‏﴿۴۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৬ : পিতা বলিল, ‘হে ইব্‌রাহীম! তুমি কি আমার দেব - দেবী হইতে বিমুখ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও তবে আমি প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করিবই; তুমি চিরদিনের জন্য আমার নিকট হইতে দূর হইয়া যাও।’

সূরা মরিয়ম

قَالَ سَلٰمٌ عَلَيۡكَ‌ۚ سَاَسۡتَغۡفِرُ لَـكَ رَبِّىۡؕ اِنَّهٗ كَانَ بِىۡ حَفِيًّا‏﴿۴۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৭ : ইব্‌রাহীম বলিল, ‘তোমার প্রতি সালাম। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিব, নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল।

সূরা মরিয়ম

وَ اَعۡتَزِلُـكُمۡ وَمَا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَاَدۡعُوۡا رَبِّىۡ‌ ‌ۖ  عَسٰٓى اَلَّاۤ اَكُوۡنَ بِدُعَآءِ رَبِّىۡ شَقِيًّا‏﴿۴۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৮ : ‘আমি তোমাদের হইতে ও তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাহাদের ‘ইবাদত কর তাহাদের হইতে পৃথক হইতেছি; আমি আমার প্রতিপালককে আহ্বান করি; আশা করি, আমার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া আমি ব্যর্থকাম হইব না।’

সূরা মরিয়ম

فَلَمَّا اعۡتَزَلَهُمۡ وَمَا يَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ۙ وَهَبۡنَا لَهٗۤ اِسۡحٰقَ وَيَعۡقُوۡبَ‌ ؕ وَكُلًّا جَعَلۡنَا نَبِيًّا‏﴿۴۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৪৯ : অতঃপর সে যখন তাহাদের হইতে ও তাহারা আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাহাদের ‘ইবাদত করিত সেই সকল হইতে পৃথক হইয়া গেল তখন আমি তাহাকে দান করিলাম ইসহাক ও ইয়া‘কূব এবং প্রত্যেককে নবী করিলাম।

সূরা মরিয়ম

وَوَهَبۡنَا لَهُمۡ مِّنۡ رَّحۡمَتِنَا وَجَعَلۡنَا لَهُمۡ لِسَانَ صِدۡقٍ عَلِيًّا‏﴿۵۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫০ : এবং তাহাদেরকে আমি দান করিলাম আমার অনুগ্রহ ও তাহাদের নাম - যশ সমুচ্চ করিলাম।

সূরা মরিয়ম

وَاذۡكُرۡ فِى الۡكِتٰبِ مُوۡسٰٓى‌ اِنَّهٗ كَانَ مُخۡلَصًا وَّكَانَ رَسُوۡلًا نَّبِيًّا‏﴿۵۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫১ : স্মরণ কর, এই কিতাবে মূসার কথা, সে ছিল বিশেষ মনোনীত এবং সে ছিল রাসূল, নবী।

সূরা মরিয়ম

وَنَادَيۡنٰهُ مِنۡ جَانِبِ الطُّوۡرِ الۡاَيۡمَنِ وَقَرَّبۡنٰهُ نَجِيًّا‏﴿۵۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫২ : তাহাকে আমি আহ্বান করিয়াছিলাম আত্ তূর পর্বতের দক্ষিণ দিক হইতে এবং আমি অন্তরঙ্গ আল আলাপে তাহাকে নৈকট্য দান করিয়াছিলাম।

সূরা মরিয়ম

وَ وَهَبۡنَا لَهٗ مِنۡ رَّحۡمَتِنَاۤ اَخَاهُ هٰرُوۡنَ نَبِيًّا‏﴿۵۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৩ : আমি নিজ অনুগ্রহে তাহাকে দিলাম তাহার ভ্রাতা হারূনকে নবীরূপে।

সূরা মরিয়ম

وَاذۡكُرۡ فِى الۡـكِتٰبِ اِسۡمٰعِيۡلَ‌ اِنَّهٗ كَانَ صَادِقَ الۡوَعۡدِ وَكَانَ رَسُوۡلًا نَّبِيًّا‌ ۚ‏﴿۵۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৪ : স্মরণ কর, এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা, সে তো ছিল প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং সে ছিল রাসূল, নবী;

সূরা মরিয়ম

وَ كَانَ يَاۡمُرُ اَهۡلَهٗ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ وَكَانَ عِنۡدَ رَبِّهٖ مَرۡضِيًّا‏﴿۵۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৫ : সে তাহার পরিজনবর্গকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তাহার প্রতিপালকের সন্তোষভাজন।

সূরা মরিয়ম

وَاذۡكُرۡ فِى الۡكِتٰبِ اِدۡرِيۡسَ‌ اِنَّهٗ كَانَ صِدِّيۡقًا نَّبِيًّا ۙ ‏﴿۵۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৬ : স্মরণ কর, এই কিতাবে ইদ্‌রীসের কথা, সে ছিল সত্যনিষ্ঠ, নবী;

সূরা মরিয়ম

وَّرَفَعۡنٰهُ مَكَانًا عَلِيًّا‏﴿۵۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৭ : এবং আমি তাহাকে উন্নীত করিয়াছিলাম উচ্চ মর্যাদায়।

সূরা মরিয়ম

اُولٰٓٮِٕكَ الَّذِيۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰهُ عَلَيۡهِمۡ مِّنَ النَّبِيّٖنَ مِنۡ ذُرِّيَّةِ اٰدَمَ وَمِمَّنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوۡحٍ وَّمِنۡ ذُرِّيَّةِ اِبۡرٰهِيۡمَ وَاِسۡرَآءِيۡلَ وَمِمَّنۡ هَدَيۡنَا وَاجۡتَبَيۡنَا‌ ؕ اِذَا تُتۡلٰى عَلَيۡهِمۡ اٰيٰتُ الرَّحۡمٰنِ خَرُّوۡا سُجَّدًا وَّبُكِيًّا ۩‏﴿۵۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৮ : ইহারাই তাহারা, নবীদের মধ্যে যাহাদেরকে আল্লাহ্‌ অনুগ্রহ করিয়াছেন, আদমের বংশ হইতে ও যাহাদেরকে আমি সূরা নূহের সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করাইয়াছিলাম এবং ইব্‌রাহীম ও ইসরাঈলের বংশোদ্ভূত ও যাহাদেরকে আমি পথনির্দেশ করিয়াছিলাম ও মনোনীত করিয়াছিলাম; তাহাদের নিকট দয়াময়ের আয়াত আবৃত্তি করা হইলে তাহারা সিজ্‌দায় লুটাইয়া পড়িত ক্রন্দন করিতে করিতে।

সূরা মরিয়ম

فَخَلَفَ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ‌ فَسَوۡفَ يَلۡقَوۡنَ غَيًّا ۙ ‏﴿۵۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৫৯ : উহাদের পরে আসিল অপদার্থ পরবর্তীরা, তাহারা সালাত নষ্ট করিল ও লালসা - পরবশ হইল। সুতরাং উহারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে,

সূরা মরিয়ম

اِلَّا مَنۡ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًـا فَاُولٰٓٮِٕكَ يَدۡخُلُوۡنَ الۡجَـنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُوۡنَ شَيۡــًٔـا ۙ‏﴿۶۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬০ : কিন্তু উহারা নহে - যাহারা তওবা করিয়াছে, ঈমান আনিয়াছে ও সৎকর্ম করিয়াছে। উহারা তো জান্নাতে প্রবেশ করিবে। উহাদের প্রতি কোন জুলুম করা হইবে না।

সূরা মরিয়ম

جَنّٰتِ عَدۡنٍ اۨلَّتِىۡ وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ عِبَادَهٗ بِالۡغَيۡبِ‌ ؕ اِنَّهٗ كَانَ وَعۡدُهٗ مَاۡتِيًّا‏﴿۶۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬১ : ইহা স্থায়ী জান্নাত, যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দয়াময় তাঁহার বান্দাদেরকে দিয়াছেন। তাঁহার প্রতিশ্রুত বিষয় অবশ্যম্ভাবী।

সূরা মরিয়ম

لَّا يَسۡمَعُوۡنَ فِيۡهَا لَـغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا‌ؕ وَلَهُمۡ رِزۡقُهُمۡ فِيۡهَا بُكۡرَةً وَّعَشِيًّا‏﴿۶۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬২ : সেখানে তাহারা ‘শান্তি’ ব্যতীত কোন অসার বাক্য শুনিবে না এবং সেখানে সকাল - সন্ধ্যা তাহাদের জন্য থাকিবে জীবনোপকরণ।

সূরা মরিয়ম

تِلۡكَ الۡجَـنَّةُ الَّتِىۡ نُوۡرِثُ مِنۡ عِبَادِنَا مَنۡ كَانَ تَقِيًّا‏﴿۶۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৩ : এই সেই জান্নাত, যাহার অধিকারী করিব আমার বান্দাদের মধ্যে মুত্তাকীদেরকে।

সূরা মরিয়ম

وَمَا نَتَنَزَّلُ اِلَّا بِاَمۡرِ رَبِّكَ‌ ۚ لَهٗ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡنَا وَمَا خَلۡفَنَا وَمَا بَيۡنَ ذٰ لِكَ‌ ۚ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا‌ ۚ‏﴿۶۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৪ : ‘আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না; যাহা আমাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে আছে ও যাহা এই দুই - এর অন্তর্বর্তী তাহা তাঁহারই এবং আপনার প্রতিপালক ভুলিবার নন।’

সূরা মরিয়ম

رَّبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا فَاعۡبُدۡهُ وَاصۡطَبِرۡ لِـعِبَادَتِهٖ‌ؕ هَلۡ تَعۡلَمُ لَهٗ سَمِيًّا‏﴿۶۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৫ : তিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও তাহাদের অন্তর্বর্তী যাহা কিছু, তাহার প্রতিপালক। সুতরাং তাঁহারই ‘ইবাদত কর এবং তাঁহার ‘ইবাদতে ধৈর্যশীল থাক। তুমি কি তাঁহার সমগুণসম্পন্ন কাহাকেও জান?

সূরা মরিয়ম

وَيَقُوۡلُ الۡاِنۡسَانُ ءَاِذَا مَا مِتُّ لَسَوۡفَ اُخۡرَجُ حَيًّا‏﴿۶۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৬ : মানুষ বলে, ‘আমার মৃত্যু হইলে আমি কি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইব?’

সূরা মরিয়ম

اَوَلَا يَذۡكُرُ الۡاِنۡسَانُ اَنَّا خَلَقۡنٰهُ مِنۡ قَبۡلُ وَلَمۡ يَكُ شَيۡـًٔـا‏﴿۶۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৭ : মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাহাকে পূর্বে সৃষ্টি করিয়াছি যখন সে কিছুই ছিল না?

সূরা মরিয়ম

فَوَرَبِّكَ لَـنَحۡشُرَنَّهُمۡ وَالشَّيٰطِيۡنَ ثُمَّ لَــنُحۡضِرَنَّهُمۡ حَوۡلَ جَهَـنَّمَ جِثِيًّا‌ ۚ‏﴿۶۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৮ : সুতরাং শপথ তোমার প্রতিপালকের। আমি তো উহাদেরকে এবং শয়তানদেরকেসহ একত্র সমবেত করিবই ও পরে আমি উহাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চতুর্দিকে উপস্থিত করিবই।

সূরা মরিয়ম

ثُمَّ لَـنَنۡزِعَنَّ مِنۡ كُلِّ شِيۡعَةٍ اَيُّهُمۡ اَشَدُّ عَلَى الرَّحۡمٰنِ عِتِيًّا‌ ۚ‏﴿۶۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৬৯ : অতঃপর প্রত্যেক দলের মধ্যে যে দয়াময়ের প্রতি সর্বাধিক অবাধ্য আমি তাহাকে টানিয়া বাহির করিবই।

সূরা মরিয়ম

ثُمَّ لَـنَحۡنُ اَعۡلَمُ بِالَّذِيۡنَ هُمۡ اَوۡلٰى بِهَا صِلِيًّا‏﴿۷۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭০ : এবং আমি তো উহাদের মধ্যে যাহারা জাহান্নামে প্রবেশের অধিকতর যোগ্য তাহাদের বিষয় ভাল জানি।

সূরা মরিয়ম

وَاِنۡ مِّنْکُمْ اِلَّا وَارِدُهَا ‌ؕ كَانَ عَلٰى رَبِّكَ حَتۡمًا مَّقۡضِيًّا‌ ۚ‏﴿۷۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭১ : এবং তোমাদের প্রত্যেকেই উহা অতিক্রম করিবে; ইহা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত।

সূরা মরিয়ম

ثُمَّ نُـنَجِّى الَّذِيۡنَ اتَّقَوْا وَّنَذَرُ الظّٰلِمِيۡنَ فِيۡهَا جِثِيًّا ‏﴿۷۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭২ : পরে আমি মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করিব এবং জালিমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় রাখিয়া দিব।

সূরা মরিয়ম

وَاِذَا تُتۡلٰى عَلَيۡهِمۡ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ قَالَ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا لِلَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا ۙ اَىُّ الۡفَرِيۡقَيۡنِ خَيۡرٌ مَّقَامًا وَّاَحۡسَنُ نَدِيًّا‏﴿۷۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৩ : উহাদের নিকট আমার স্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্ত হইলে কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘দুই দলের মধ্যে কোন্‌টি মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর ও মজলিস হিসাবে উত্তম?’

সূরা মরিয়ম

وَكَمۡ اَهۡلَكۡنَا قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡنٍ هُمۡ اَحۡسَنُ اَثَاثًا وَّرِءۡيًا‏﴿۷۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৪ : উহাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি - যাহারা উহাদের অপেক্ষা সম্পদ ও বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিল।

সূরা মরিয়ম

قُلۡ مَنۡ كَانَ فِى الضَّلٰلَةِ فَلۡيَمۡدُدۡ لَهُ الرَّحۡمٰنُ مَدًّا ۚ‌ حَتّٰٓى اِذَا رَاَوۡا مَا يُوۡعَدُوۡنَ اِمَّا الۡعَذَابَ وَاِمَّا السَّاعَةَ ؕ فَسَيَـعۡلَمُوۡنَ مَنۡ هُوَ شَرٌّ مَّكَانًا وَّاَضۡعَفُ جُنۡدًا‏﴿۷۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৫ : বল, ‘যাহারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাহাদেরকে প্রচুর ঢিল দিবেন যতক্ষণ না তাহারা, যে বিষয়ে তাহাদেরকে সতর্ক করা হইতেছে তাহা প্রত্যক্ষ করিবে, উহা শাস্তি হউক অথবা কিয়ামতই হউক। অতঃপর তাহারা জানিতে পারিবে, কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও কে দলবলে দুর্বল।

সূরা মরিয়ম

وَيَزِيۡدُ اللّٰهُ الَّذِيۡنَ اهۡتَدَوۡا هُدًى‌ؕ وَالۡبٰقِيٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَيۡرٌ عِنۡدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَّخَيۡرٌ مَّرَدًّا‏﴿۷۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৬ : এবং যাহারা সৎপথে চলে আল্লাহ্‌ তাহাদেরকে অধিক হিদায়াত দান করেন; এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসাবেও শ্রেষ্ঠ।

সূরা মরিয়ম

اَفَرَءَيۡتَ الَّذِىۡ كَفَرَ بِاٰيٰتِنَا وَقَالَ لَاُوۡتَيَنَّ مَالًا وَّوَلَدًا ؕ‏﴿۷۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৭ : তুমি কি লক্ষ্য করিয়াছ সেই ব্যক্তিকে, যে আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করিয়াছে এবং সে বলে, ‘আমাকে ধনসম্পদ ও সন্তান - সন্ততি দেওয়া হইবেই?’

সূরা মরিয়ম

اَطَّلَعَ الۡغَيۡبَ اَمِ اتَّخَذَ عِنۡدَ الرَّحۡمٰنِ عَهۡدًا ۙ‏﴿۷۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৮ : সে কি অদৃশ্য সম্বন্ধে অবহিত হইয়াছে অথবা দয়াময়ের নিকট হইতে প্রতিশ্রুতি লাভ করিয়াছে?

সূরা মরিয়ম

كَلَّا ‌ ؕ سَنَكۡتُبُ مَا يَقُوۡلُ وَنَمُدُّ لَهٗ مِنَ الۡعَذَابِ مَدًّا ۙ‏﴿۷۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৭৯ : কখনই নহে, তাহারা যাহা বলে আমি তাহা লিখিয়া রাখিব এবং তাহাদের শাস্তি বৃদ্ধি করিতে থাকিব।

সূরা মরিয়ম

وَّنَرِثُهٗ مَا يَقُوۡلُ وَيَاۡتِيۡنَا فَرۡدًا‏﴿۸۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮০ : সে যে বিষয়ের কথা বলে তাহা থাকিবে আমার অধিকারে এবং সে আমার নিকট আসিবে একা।

সূরা মরিয়ম

وَاتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لِّيَكُوۡنُوۡا لَهُمۡ عِزًّا ۙ‏﴿۸۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮১ : তাহারা আল্লাহ্‌ ব্যতিত অন্য ইলাহ্‌ গ্রহন করে এইজন্য, যাহাতে উহারা তাদের সহায় হয় ;

সূরা মরিয়ম

كَلَّا‌ ؕ سَيَكۡفُرُوۡنَ بِعِبَادَتِهِمۡ وَيَكُوۡنُوۡنَ عَلَيۡهِمۡ ضِدًّا ‏﴿۸۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮২ : কখনই নহে; উহারা তো তাহাদের ‘ইবাদত অস্বীকার করিবে এবং তাহাদের বিরোধী হইয়া যাইবে।

সূরা মরিয়ম

اَلَمۡ تَرَ اَنَّاۤ اَرۡسَلۡنَا الشَّيٰـطِيۡنَ عَلَى الۡكٰفِرِيۡنَ تَؤُزُّهُمۡ اَزًّا ۙ‏﴿۸۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৩ : তুমি কি লক্ষ্য কর নাই যে, আমি কাফিরদের জন্য শয়তানদেরকে ছাড়িয়া রাখিয়াছি উহাদেরকে মন্দ কর্মে বিশেষভাবে প্রলুব্ধ করিবার জন্য?

সূরা মরিয়ম

فَلَا تَعۡجَلۡ عَلَيۡهِمۡ‌ ؕ اِنَّمَا نَـعُدُّ لَهُمۡ عَدًّا‌ ۚ‏﴿۸۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৪ : সুতরাং তাহাদের বিষয়ে তুমি তাড়াতাড়ি করিও না। আমি তো গণনা করিতেছি উহাদের নির্ধারিত কাল,

সূরা মরিয়ম

يَوۡمَ نَحۡشُرُ الۡمُتَّقِيۡنَ اِلَى الرَّحۡمٰنِ وَفۡدًا‌ ۙ‏﴿۸۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৫ : যেদিন দয়াময়ের নিকট মুত্তাকীদেরকে সম্মানিত মেহমানরূপে সমবেত করিব,

সূরা মরিয়ম

وَّنَسُوۡقُ الۡمُجۡرِمِيۡنَ اِلٰى جَهَـنَّمَ وِرۡدًا‌ ۘ‏﴿۸۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৬ : এবং অপরাধীদেরকে তৃষ্ণাতুর অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকাইয়া লইয়া যাইব।

সূরা মরিয়ম

لَا يَمۡلِكُوۡنَ الشَّفَاعَةَ اِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنۡدَ الرَّحۡمٰنِ عَهۡدًا‌ ۘ‏﴿۸۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৭ : যে দয়াময়ের নিকট প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করিয়াছে, সে ব্যতীত অন্য কাহারও সুপারিশ করিবার ক্ষমতা থাকিবে না।

সূরা মরিয়ম

وَقَالُوۡا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا ؕ‏﴿۸۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৮ : তাহারা বলে, ‘দয়াময় সন্তান গ্রহণ করিয়াছেন।’

সূরা মরিয়ম

لَـقَدۡ جِئۡتُمۡ شَيۡــًٔـا اِدًّا ۙ‏﴿۸۹﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৮৯ : তোমরা তো এমন এক জঘন্য বিষয়ের অবতারণা করিয়াছ;

সূরা মরিয়ম

تَكَادُ السَّمٰوٰتُ يَتَفَطَّرۡنَ مِنۡهُ وَتَـنۡشَقُّ الۡاَرۡضُ وَتَخِرُّ الۡجِبَالُ هَدًّا ۙ‏﴿۹۰﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯০ : যাহাতে আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হইয়া যাইবে, পৃথিবী খণ্ড - বিখণ্ড হইবে ও পর্বতমণ্ডলী চূর্ণ - বিচূর্ণ হইয়া আপতিত হইবে,

সূরা মরিয়ম

اَنۡ دَعَوۡا لِـلرَّحۡمٰنِ وَلَدًا‌ ۚ‏﴿۹۱﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯১ : যেহেতু তাহারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে।

সূরা মরিয়ম

وَمَا يَنۡۢبَـغِىۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ يَّتَّخِذَ وَلَدًا ؕ‏﴿۹۲﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯২ : অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভন নহে।

সূরা মরিয়ম

اِنۡ كُلُّ مَنۡ فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ اِلَّاۤ اٰتِى الرَّحۡمٰنِ عَبۡدًا ؕ‏﴿۹۳﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৩ : আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারূপে উপস্থিত হইবে না।

সূরা মরিয়ম

لَـقَدۡ اَحۡصٰٮهُمۡ وَعَدَّهُمۡ عَدًّا ‏﴿۹۴﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৪ : তিনি তাহাদেরকে পরিবেষ্টন করিয়া রাখিয়াছেন এবং তিনি তাহাদেরকে বিশেষভাবে গণনা করিয়াছেন,

সূরা মরিয়ম

وَكُلُّهُمۡ اٰتِيۡهِ يَوۡمَ الۡقِيٰمَةِ فَرۡدًا‏﴿۹۵﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৫ : এবং কিয়ামত দিবসে উহাদের সকলেই তাঁহার নিকট আসিবে একাকী অবস্থায়।

সূরা মরিয়ম

اِنَّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَيَجۡعَلُ لَهُمُ الرَّحۡمٰنُ وُدًّا‏﴿۹۶﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৬ : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে দয়াময় অবশ্যই তাহাদের জন্য সৃষ্টি করিবেন ভালবাসা।

সূরা মরিয়ম

فَاِنَّمَا يَسَّرۡنٰهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الۡمُتَّقِيۡنَ وَتُنۡذِرَ بِهٖ قَوۡمًا لُّدًّا‏﴿۹۷﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৭ : আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করিয়া দিয়াছি যাহাতে তুমি উহা দ্বারা মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার এবং বিতণ্ডাপ্রবণ সম্প্রদায়কে উহা দ্বারা সতর্ক করিতে পার।

সূরা মরিয়ম

وَكَمۡ اَهۡلَكۡنَا قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡنٍؕ هَلۡ تُحِسُّ مِنۡهُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَوۡ تَسۡمَعُ لَهُمۡ رِكۡزًا‏﴿۹۸﴾

সূরা মরিয়ম

১৯-৯৮ : তাহাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি! তুমি কি তাহাদের কাহাকেও দেখিতে পাও অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনিতে পাও?